আপত্তি ও তার জবাব
আপত্তি নং ১ঃ
হাদিস শরীফে আছে,
-"রাসূলে পাক (ﷺ) কবরে চুনকাম, ইমারত তৈরী করা ও কবরের উপর বসা নিষেধ করেছেন। তাহলে রাসূল (ﷺ) নিষেধ অমান্য করে কবর পাকা করা কিভাবে জায়েয হল?
জবাবঃ আল্লাহর হাবীব (ﷺ) সর্বসাধারণের কবর ঢালাওভাবে পাকা করতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু হক্কানী উলামা-মাসাইখগণের কবর পাকা করতে নিষেধ করেননি, যা অন্যান্য সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। ইতিপূর্বে আমরা কিছু হাদিস উল্লেখ করেছি, প্রয়ােজনে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিন। নবীজি (ﷺ) কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন আবার স্বীয় পুত্র হজরত ইব্রাহিম (رضي الله عنه) এর মাজার শরীফে কাকর স্থাপন করেছেন। এতে বুঝা যায় রাসূলে পাক (ﷺ) এর বংশধরের কবর পাকা করলে অসুবিধা নেই। রাসূল (ﷺ) কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন, আবার সিদ্দিকে আকবর আবু বকর (رضي الله عنه), হজরত উমর (رضي الله عنه) সহ অনেক সাহাবীগণ কবর পাকা করেছেন ও কবর পাকা করে দেওয়ার জন্য ওছিয়াত করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় আল্লাহর হাবীব (ﷺ) এর বিশেষ উম্মতগণের কবর পাকা করা নিষেধ নয়। সকল হাদিস বিশ্লেষণ করে যুগের ইমাম, ফকিহ ও মােজাদ্দেদগণ খাছ বান্দাগণের কবর পাকা জায়েয বলে ফাতওয়া দিয়েছেন।
আপত্তি নং ২ঃ
দ্বীনের ফকিহগণ কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন কেন? তারা কি আপনাদের উল্লিখিত দলিল গুলাে জানতেন না?
জওয়াব: দ্বীনের কোন ফকিহ কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন তা আপনারা উল্লেখ করতে পারেননি। যেখানে হিজরী ১১ শ শতাব্দির মােজাদ্দিদ আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী (رحمة الله), ১০ ম শতাব্দির অন্যতম মােজাদ্দেদ আল্লামা শায়েখ আব্দুল হক মােহাদ্দেছ দেহলভী (رحمة الله), এমনকি ইমামে আজম আবু হানিফা (رحمة الله), বিখ্যাত হানাফী ফকিহ আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله), দূরুল মােখতারের কাতিব আল্লামা শেখ আলাউদ্দিন হাসকাফী (رحمة الله), আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী বলছয়ী (رحمة الله), বাদাউছ ছানায়ের কাতিব আল্লামা আলাউদ্দিন আবু বকর আল কাছানী (رحمة الله), আল্লামা আমজাদ আলী আজমী (রহঘ), ১৪ শ শতাব্দির মােজাদ্দেদ আল্লামা আহমদ রেজা খান বেরলভী (رحمة الله) সহ অসংখ্য ফোকাহা ও মাশাইখগণ কবর পাকার পক্ষে ফাতওয়া দিয়েছেন। ৮ ম ও নবম শতাব্দির মােজাদ্দেদ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله), ও আল্লামা ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (রাহঃ) উভয়ের মাজার পাকা করা। চার মাজহাবের ইমামগণের মাজার পাকা করা। অসংখ্য নবীগণের মাজার পাকা করা। ৬ ষ্ঠ শতাব্দির মােজাদ্দিদ আল্লামা ইমাম গাজ্জালী (رحمة الله), ৭ শ শতাব্দির মােজাদ্দিদ আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাজী (رحمة الله), অষ্টম শতাব্দির মােজাদ্দিদ আল্লামা ইমাম তক্বী উদ্দিন ছুবুকী (رحمة الله) সহ চার ত্বরিকার ইমামগণের মাজারসমূহ পাকা করা। তাহলে আপনারা কোন ফকিহ'র কথা বলছেন? কোথাও মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর ও তার চেলাদের কথা বলছেন না তাে?
আপত্তি নং ৩ঃ
হজরত হায়্যাজ আসাদী (رحمة الله) বর্ণনা করেন, হজরত আলী (رضي الله عنه) আমাকে বললেন, আমি তােমাকে ঐ কাজের জন্য পাঠাব যে কাজের জন্য হুজুর (ﷺ) আমাকে পাঠিয়েছেন? কাজটি হল কোন ফটো বিনষ্ট করা ব্যতীত ছেড়ে দিবে না, আর কোন উচু কবর সমান করা ব্যতীত ছেড়ে দিবে না। এই হাদিস দ্বারা প্রমাণ হয় কবর উচু এবং পাকা করা জায়েয নয়।
জওয়াবঃ শেরে খােদা হজরত আলী (رضي الله عنه) কে অধিক উচু কবর ভাঙ্গতে বলেছেন, কিন্তু সুন্নাত পরিমান উচু কবর ভাঙ্গতে বলেননি। তাছাড়া যে সকল উচু কবর ভাঙ্গতে বলা হয়েছে সে গুলাে ছিল ইহুদী ও নাছারাদের কবর, কোন মুসলমানের কবর ছিল না। যেমন সহিহ হাদিসে উল্লেখ আছে,
الرواية الصحيحة قوله فأمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بقبور المشركين فنبشت
--"নবী করিম (ﷺ) মুশরিকদের কবর উপড়ে ফেলার হুকুম দিয়েছিলেন।"(ইমাম আসকালানী ; ফাতহুল বারী, ৭ ম খন্ড, ২৬৬ পৃঃ ; সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৯৩২)
এ ব্যাপারে হিজরী ৮ ম শতাব্দির মােজাদ্দেদ, আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) ও ইমাম বদরুদ্দিন আইনী হানাফী (রাহঃ) বলেন:
أي دون غيرها من قبور الأنبياء وأتباعهم لما في ذلك من الإهانة لهم
(আয় দুনা গায়রিহা মিন কুবুরিল আম্বিয়া ওয়া ইত্তেবাইহিম লিমা ফি জালিকা ইহানাতু লাহুম)
-"নবী করিম (ﷺ) তাঁর অনুসারি (মুসলমানদের) কবর বাদ দিয়ে (বাকিগুলো) উপড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। কেননা এটা তাদের জন্য তিরস্কারের মত।"
(ফাতহুল বারী শরহে বুখারী ; উমদাতুল কারী, ৪ র্থ খন্ড, ১৭২ পৃঃ)
কারণ মুসলমান সাহাবীদের কবর তৈরী করা হয়েছিল রাসূল (ﷺ) এর শিক্ষা মােতাবেক। এ জন্যে ঐ কবরগুলাে মুসলমানের হতে পারেনা। নাকি সাহাবীরা রাসূলের (ﷺ) শিক্ষার বিপরীত নিয়মে কবর তৈরী করতেন? (নাউজুবিল্লাহ) এমনকি আল্লাহর নবী (ﷺ) এর রওজা মােবারকও উচু ছিল, যেমন:
حدثنا أحمد بن صالح ، حدثنا ابن أبي فديك ، أخبرني عمرو بن عثمان بن هانئ ، عين القاسم بن مير قال: دخل على ابنة قلت: يا أماه اکښفي لي عن قبر النبي صلى الله علیه وسلم وصاحبيه فكشف لي عن ثلاثة بور لا مشرقة ولا لاطئة مبطوحة ببطحاء المميزة الحمراء .
-"হজরত কাশিম (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন, একদা আমি মা আয়েশা (رضي الله عنه) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ওহে মা! আপনি আমার জন্যে রাসূল (ﷺ) ও তাঁর দুই সাহাবীর মাজারদ্বয় উন্মোচন করুন এবং তিনি তাই করলেন। আমি দেখি ঐ কবর শরীফ গুলাে বেশী উচুও ছিলনা আবার নিচুও ছিলনা। কবর গুলাের উপর ময়দানের লাল কাকর ছড়ানাে ছিল।"
(সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৩২২০ ; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ১৩৬৮ ; ইমাম বায়হাক্বী: সুনানুল বর, হাদিস নং ৬৭৫৮ ; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৪৫৭১ ; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, ৫ ম খন্ড, ৪০২ পৃঃ ; মেসকাত শরীফ, ১৪৯ পৃঃ; ইমাম মােত্মা আলী মেরকাত শরহে মেসকাত, ৪ র্থ খন্ড, ১৬৯ পৃঃ ; আশিয়াতুল লুময়াত।
যেমন অপর রেওয়াতে আছে,
أخبرنا أبو عمرو الأديب ، أنبأ أبو بكر الإسماعيل ، ثنا محمد بن عمران المقابري ، ثنا أحمد بن يوس ، ثنا أبو بكر بن عياش ، ثنا شفيا التمار قال: أي قبر النبي صلى الله عليه وسلم مسنما
-“হজরত ছুফিয়ান তাম্মার (رضي الله عنه) বলেন, রাসূল (ﷺ) এর রওজা মােবারক উটের পিঠের মত কূজ দেখেছি।"
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৩৯০ নং হাদিসের শেষে ; ইমাম বায়হাকী ; মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, হাদিস নং ৭৭২৯ ; ইমাম বায়হাকী: সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ৬৭৬০ ; মেসকাত শরীফ, ১৪৮ পৃঃ ; ইমাম মােল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৪ র্থ খন্ড, ১৫৪ পৃ:)
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়াত লক্ষ্য করুন,
حدثنا أبو بكر قال: ثنا أبو داود الطيالي ، عن خالي ، عن أبي عثمان ، عن رجل ، قال: رأيت قبر ابن عمر بعدما في أيام ممسنما
-"আবী উছমান এক ব্যক্তি বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর কবরকে উটের পিঠের ন্যায় কূজ উচু দেখেছি।"
(মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ১১৭৩৭)
حدثنا أبو بكر قال: ثنا حيي بن سعيد، عن سفيان، عن أبي حصين، عن ااسعبي، قال: رأيت قبور شهداء أحد حيي مسنمت
-"হজরত শাবী (رحمة الله) বলেন, আমি উহুদের যুদ্ধে শহিদদের মাজার সমূহ উটের পিঠের ন্যায় কূজ উচু দেখেছি।"(মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ১১৭৩৬)
ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) বলেছেন: কবর অধিক উচু হবে না আবার জমীনের সাথে সমানও হবেনা। ইমামে আজম আবু হানিফা (رحمة الله) বলেছেন: কবর এক হাত উচু করা সুন্নাত। এমনকি কবর জমীনের সাথে সমান করা সুন্নাতের খেলাফ, অথচ আলী (رضي الله عنه) এর হাদিসে বলা আছে কবর জমীনের সাথে সমান করে দেওয়ার জন্য, তাহলে কি হজরত আলী (رضي الله عنه) সুন্নাতের খেলাফ কাজ করেছেন? অবশ্যই না। সুতরাং স্পষ্ট হয়ে গেল যে, হজরত আলী (رضي الله عنه) যে কবর গুলাে ভাঙ্গতে নির্দেশিত হয়েছিলেন এগুলাে ইহুদী নাছারাদের কবর ছিল, নচেৎ অনেক সাহাবীদের মাজার উচু ছিল সেগুলাে আলী (رضي الله عنه) ভাঙ্গলেন না। প্রমাণিত হল: মুসলমানের কবর জমীনের সাথে সমান করা সুন্নাতের খেলাফ, তাই যথা নিয়মে মুসলমানের কবর উচু করা সুন্নাত। আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, কোন মুসলমানের কবরে আঘাত করা নাজায়েয ভাঙ্গাত দূরের কথা। যেমন হাদিস শরীফে আছে:
حدثنا القعنبي ، حدثنا عبد العزيز بن محمد ، عن غير يغني ابن سعيد ، عن عمرة بنت عبد المني ، عن عاﺉشة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال گر عظم الميت گگنبرو حيا
-"হজরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা জিবীত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গার সমান।"
(মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ২৪৭৩৯ ; সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৩২০৭ ; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৬১৬ ; মুসনাদে বাজ্জার, হাদিস নং ২৮৫ ; সহিহ্ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং ৩১৬৭ ; সুনানে দারে কুতনী, হাদিস নং ৩৪১৫ ; ইমাম আবু নুয়াইম: হিলইয়াতুল আউলিয়া, ৭ ম খন্ড, ৯৫ পৃ:; শরহে সুন্নাহ, ৫ ম খন্ড, ৩৯৩ পৃ:; ইমাম বায়হাক্বী: মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার, হাদিস নং ৭৭৫৫ ; মেসকাত শরীফ, ১৪৯ পৃঃ ; ইমাম মােল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৪ র্থ খন্ড, ১৭০ পৃ:) সনদ সহিহ।
এ বিষয়ে অপর হাদিসে উল্লেখ আছে,
حدثنا يحيى بن إسحاق ، حنا ابن لهيعة ، عن بكر بني سوادة ، عن زياد بن تعم ، وعن عمرو بن محترم قال: رآني النبي صلى الله عليه وسلم ما على قبر فقال: لا تؤذ صاحب هذا القبر أولا تؤذه .
-"হজরত আমর ইবনে হাজম (رضي الله عنه) বলেন, নবী করিম (ﷺ) আমাকে একটি কবরের সাথে হেলান দেওয়া দেখে বলেন, কবর বাসীকে (হেলান দেওয়ার মাধ্যমে) কষ্ট দিওনা।"(মুসনাদে আহমদ, ৩৯ তম খন্ড, ৪৭৬ পৃ: ; মেসকাত শরীফ, ১৪৯ পৃ:; ইমাম মােল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ৪ র্থ খন্ড, ১৭৬ পৃঃ)
সহিহ হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) এর সনদকে সহিহ বলেছেন। (মুবারকপুরীঃ তুহফাতুল আহ ওয়াজী, ৪ র্থ খন্ড, ১৩১ পৃঃ ৫৬ নং রাবীর ব্যাখ্যায়)
হাদিসটির আরেকটি সনদ রয়েছে যেমন,
حدثنا علي بن عبد الله ، كدنا ابن وهب ، أخبرني عمرو بن الحارث ، عن بكر بن شوذاة الجاي ، عن زياد بن نعيم الحضري ، عن عمرو بن حزم ،
-"আলী ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ওহাব-আমর ইবনে হারেছ-বাকর ইবনে ছুওয়াদা জুযামী-যিয়াদ ইবনে নাঈম হারামী-আমর ইবনে গাজম (رضي الله عنه) ...।"
(মুসনাদে আহমদ, ৩৯ তম খন্ড, ৪৭৬ পৃ: ৫)
হজরত আমর ইবনে হাজম (رضي الله عنه) যে কবরে হেলান দিয়েছিলেন সেটা অবশ্যই জমিনের সাথে সমান ছিলনা, কারণ জমীনের সাথে সমান এমন কবরে হেলান দেওয়া যায় না। এখানেও প্রমাণিত হয়ে গেল সাহাবীদের কবর। উচু করা ছিল আর তা রাসূলের (ﷺ) সম্মতিতেই। সুতরাং আল্লাহর হাবীব (ﷺ) নির্দেশ মােতাবেক মুসলমানদের কবরে আঘাত করা এবং মৃত ব্যক্তির গায়ে আঘার করা উভয় নিষেধ। তাহলে হজরত আলী (رضي الله عنه) যে কবর গুলাে ভেঙ্গেছেন সেগুলাে অবশ্যই মুসলমানের কবর ছিলনা, কারণ মুসলমানের কবর ভাঙ্গা'ত দূরের কথা সেখানে হেলান দিয়ে বসা পর্যন্ত নিষেধ।
আপত্তি নং ৪ঃ কবর পাকা করা ও এর উপর গিলাফ দেওয়া অপচয়, আর অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
জওয়াবঃ আপনাদের ধৃষ্টতা দেখে আশ্চর্য্য হচ্ছি! তাহলে কি প্রিয় নবীজির সাহাবীগণ (رضي الله عنه) রাসূলে পাক (ﷺ) এর রওজা মােবারক পাকা করে দিয়ে অপচয় করেছেন? (নাউজুবিল্লাহ। তাঁরা কি অপচয় বুঝতেন না? অথচ সাহাবীগণের কর্ম আমাদের জন্য সুন্নাত। অসংখ্য ফকিহ, মােজাদ্দেদ ও মুজতাহিদগণের ফাতওয়া দিয়েছেন নেক বান্দাহগণের কবরে গিলাফ দেওয়া জায়েয আর আপনারা বলছেন অপচয়। আপনাদের কথায় বুঝা যাচ্ছে, অপচয় কাকে বলে দ্বীনের মুজতাহিদ, মােজাদ্দেদ ও ফোকাহাগণ জানতেন। জেনে রাখা আবশ্যক যে, হজরত মুজাহিদ (رحمة الله) বলেন: নেক কাজে যত বেশী খরচ হউক তা অপচয় হয় না।
_______________
সহিহ হাদিসের আলােকে মাজার যিয়ারত পূজা নয় ও কদমবুছির সমাধান
গ্রন্থনায়ঃ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন