সহিহ হাদিসের আলোকে কদমবুছি বা পদচুম্বন (১)

 

সহিহ হাদিসের আলোকে কদমবুছি বা পদচুম্বন (১)


প্রথমেই কদমবুছি শব্দের অর্থ স্পষ্ট করা প্রয়ােজন। ' কদম ' অর্থ পদ বা পা বুছি যা ফার্সী শব্দ এবং এর অর্থ ‘ চুম্বন ’। তাই কদমবুছির অর্থ হল ‘ পদচুম্বন করা ’। ইসলামী শরিয়াতে কদমবুছী একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল, যা হজরত রাসূলে করিম (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের আমল এবং ছালফে-ছালেহীনের আমল থেকে প্রমাণিত। আজ পর্যন্ত সূফী-সাধক, হক্কানী উলামায়ে কেরাম ও সুন্নী মু'মীন-মুসলমানের কাছে এরূপ শরিয়ত সম্মত কদমবুছী প্রচলিত আছে। বড়দের ও কোন পবিত্র জিনিসের প্রতি সম্মান বা আদব প্রদর্শন। ইসলামী শিষ্টাচারের মূল ভিত্তি গুলাের একটি। তাই শরিয়ত সম্মতভাবে বড়দের সম্মান প্রদর্শনার্থে কদমবুছি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আমল। যেহেতু বিষয়টি রাসূলে পাক (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে সহিহ হাদিস থেকে ও নির্ভরযােগ্য ভাবে প্রমাণিত আছে, সেহেতু এ আমলের বিরুদ্ধে কথা বলা মূলত রাসূল (ﷺ) ও সাহাবায়ে কেরামের বিরুদ্ধে কথা বলারই নামান্তর, যা প্রকাশ্য কুফুরী। নিচে কদমবুছী সম্পর্কে দলিল ভিত্তিক আলােচনা তুলে ধরা হল:-পবিত্র হাদিস শরীফে আছে,




হাদিস নং ১



دنا محمد بن عيسى بن الطاع ، حدثنا مطر بن عبد الرحمن الأعتق ، حي أم أبان بنت الوازع بن زارع ، عن جدها ، زارع وكان في وقد عبد القيس عن زارع وكان في وفي عبد القيس قال: لما قدمنا المدينة فجعلنا نتبادر من رواجلنا ، فقبل يد النبي صلى الله عليه وسم ورجله ،



-"হজরত জারেইন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বনী কায়েছ গােত্রের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি বলেন: যখন আমরা মদিনায় আগমন করলাম, দ্রুতগতিতে ছাওয়ারী থেকে নামলাম। তিনি বলেন অত: পর আমরা আল্লাহর নবী (ﷺ) এর হাত মােবারকে চুম্বন করলাম ও তার কদম মােবারকে চুম্বন করলাম।"


(সুনানে আবী দাউদ, হাদিস নং ৫২২৫ ; ইমাম বায়হাকী: আল-আদাব, হাদিস নং ২২৬ ; বায়হাকী শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ৮৫৬০ ; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, ১২ তম খন্ড, ২৯২ পৃ: ইমাম বায়হাকী: সুনানুল কুবরা, হাদিস নং ১৩৫৮৭ ; ইমাম আসকালানী ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ৮ ম খন্ড, ৮৫ পৃঃ ; ইমাম মােল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, হাদিস নং ৪৬৮৮ ; মুবারকপুরীঃ তুহফাতুল আহওয়াজী, ৭ ম খন্ড, ৪৩৭ পৃঃ ; শরহে ত্বাৰী, ৪৬৮৮ ; ইমাম আসকালানী: তালখিসুল হাবির, ২১৮১ ; মেসকাত শরীফ, হাদিস নং ৪৬৮৮ ; শরফুল মােস্তফা, ৪ র্থ খন্ড, ৫৪৯ পৃঃ ; ইমাম বায়হান্ধী: দালায়েলুন্নবুয়াত, ৫ ম খন্ড, ৩২৭ পৃঃ ; ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ৬ ষ্ঠ খন্ড, ৩৬৭ পৃঃ ; জমেউল উছুল, হাদিস নং ৯৩২৫ ; ইমাম যায়লায়ী: নাছবুর রায়, ৪ র্থ খন্ড, ২৫৮ পৃ:; ইমাম নববী: আল আজকার, হাদিস নং ৭৫১)



এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله)  বলেছেন,



-"ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ১১/৫৭, সনদ ' জায়্যেদ তথা অতি-উত্তম।"(রওদ্বাতুল মােহাদ্দেছীন, হাদিস নং ২৪৮০ ; ইমাম আসকালানী: ফাতহুল বারী শরহে বুখারী, ১১ তম খন্ড, ৫৭ পৃ: ৬২৬৫ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)



অতএব, সহিহ সনদের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হল, সাহাবায়ে কেরাম রাসূলে পাক (ﷺ) এর পবিত্র হস্ত ও পদ চুম্বন করতেন। সুতরাং, কদমবুছী শরিয়াতে ভিত্তিহীন কোন বিষয় নয় বরং ইহা একটি সুন্নাত আমল যা মাশহুর পর্যায়ের সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। এ বিষয়ে আরেকটি হাদিসে,



 হাদিস নং ২



 حدثنا أبو بكر ، حدثنا عبد الله بن إدريس وممد وأبو أسامة ، عن شعبة ، عن الله عمرو بن ميرة ، عن عبد الله بن سلمة عن صفوان بن عابر رضی أين قوما من اليهود قبلوا يد النبي صلى الله عليه وسلم ورجليه



-"হজরত ছাফওয়ান ইবনে আছছাল (رضي الله عنه) বলেন, নিশ্চয় একদল ইয়াহুদী নবী করিম (ﷺ) এর হাত মােবারক ও কদম মােবারকে চুম্বন করেছেন।"


(ইমাম ইবনে আবী শায়বাহ: আল-আদাব, হাদিস নং ৩ ; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ২৭৩৩ ; সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং ৪০৭৮ ; মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৮০৯২ ; ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৩৫২৭ ; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৩৭০৫ ; মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ, ২৬২০৭ ; ইমাম যায়লায়ী: নাছবুর রায়া, ৪ র্থ খন্ড, ২৫৮ পু ; ইমাম আসকালানী: আদ দেরায়া, ২ য় খন্ড, ২৩২ পৃঃ ; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ২০ ; জামেউল উছুল, হাদিস নং ৮৯২৯ ; ইমাম আসকালানী: তালখিছুল হাবির, ৪ র্থ খন্ড, ১৭৩ পৃঃ ; ইমাম নববী: আল-আজকার, হাদিস নং ৭৫৭ ; ইমাম নববী: রিয়াদুস ছালেহীন, হাদিস নং ৮৮৯।



এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম তিরমিজি (رحمة الله) বলেন:



ه‍ذا حديث حسن صحيح



-"এই হাদিস হাছান সহিহ।"(তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ২৭৩৩)



এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে হাফিজ ইবনে হাজার আস্কালানী (رحمة الله) বলেন:



رواه أصحاب السنن بإسناد قوي.



-"আসহাবে সুনান এই হাদিস শক্তিশালী সনদে বর্ণনা করেছেন।"(ইমাম আসকালানী: তালখিচুল হাবির, ৪ র্থ খন্ড, ১৭৩ পৃঃ)



এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে রওজাতুল মােহাদ্দেছীন ' কিতাবে আছে,



إسناده صحيح قال الإمام النووي في الرياض ۱ / ۲۸۸ رواه الترمذي وغيره بأسانيد صحيحة .



-"এই হাদিসের সনদ সহিহ। ইমাম নববী (رحمة الله) তদীয় রিয়াদ্ব ' গ্রন্থে বলেন: ইমাম তিরমিজি ও অন্যান্যরা সহিহ সনদে ইহা বর্ণনা করেছেন।"



এই হাদিসের সনদ সম্পর্কে আল্লামা সিরাজুদ্দিন আবু হাফছ উমর ইবনে আলী ইবনে আহমদ আল মিছরী (رحمة الله) { ওফাত ৮০৪ হিজরী } বলেন:



رواه الترمذي والنساي وابن ماجه بأسانيد صحيحة .



--"ইমাম তিরমিজি (رحمة الله), নাসাঈ (رحمة الله) ও ইবনে মাজাহ (رحمة الله) স্ব স্ব সহিহ সনদে বর্ণনা করেছেন।"(আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন: বাদরুল মুনীর, ৯ ম খন্ড, ৪৮ পৃ:)



 সুতরাং আবারাে সহিহ রেওয়াত দ্বারা প্রমাণিত হল, সাহাবায়ে কেরাম কদমবুছী করেছেন এবং আল্লাহর নবী (ﷺ) কদমবুছী গ্রহণ করেছেন। উল্লেখ্য যে, ইহুদীরা ইসলাম কুবুল করার উদ্দেশ্যই এসেছিলেন। তাই বিষয়টি দিবালােকের ন্যায় স্পষ্ট যে, রাসূলে পাক (ﷺ) এর শরিয়াতে কদমবুছীর আমল রয়েছে। এর সমর্থনে আরেকটি রেওয়াত রয়েছে,



হাদিস নং ৩



حديث ابن عمر في قمم قال: فدنونا من التي صلى الله عليه وسلم فقلنا يده ورجله رواه أبو داود .



"হজরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) এর রেওয়াতের মধ্যে লম্বা কাহিনীর পরে উল্লেখ আছে, তিনি বলেন: অত: পর তারা রাসূলে পাক (ﷺ) এর নিকটবর্তী হলেন এবং প্রিয় নবীজি (ﷺ) এর হস্ত ও পদচুম্বন করলেন। ইমাম আবু দাউদ (رحمة الله) এই হাদিস বর্ণনা করেছেন।"(আল্লামা ইবনে মুলাক্কিন ; বাদরুল মুনীর, ৯ ম খন্ড, ৪৮ পৃঃ ; ইমাম অস্কালানী: তালখিচুল হাবির, ৪ র্থ খন্ড, ২৪৬ পৃ:)



আবারাে সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণ হল, স্বয়ং দ্বীনের নবী রাসূলে পাক (ﷺ) কদমবুছীর পক্ষে ছিলেন। কারণ লােকেরা নবী পাক (ﷺ) এর কদমবুছী করেছেন আর প্রিয় নবীজি (ﷺ) তাদেরকে বাধা দেননি বরং কদমবুছী গ্রহণ করেছেন। এতেই প্রমাণ হয়, ইহা রাসূল (ﷺ) এর অনুমােদিত সুন্নাত।



হাদিস নং ৪



এ বিষয়ে ইমাম বুখারী (رحمة الله) তদীয় কিতাবে একটি রেওয়াত উল্লেখ করেছেন,



حدثنا موسى بن إسماعيل قال: حدثنا مطر بن عبد الرحمن الأعتق قال: حدتني امرأة من صباح عبد القيس يقال لها: أم أبان ابه الوازع ، عن حدها ، أين جدها الربيع بن عامر قال: قما قيل: دا شول الله فأخذنا بيديه ورجلي نقبلها



-"হজরত ওয়াজে ইবনে আমের (رضي الله عنه) বলেন, আমরা দয়াল নবীজির কাছে আগমন করলাম, কেউ একজন বললেন: এই যে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! অত: পর আমরা নবী পাকের মােবারক হস্তদ্বয় ও পদদ্বয় ধরে চুমু খেলাম।"


(ইমাম বুখারী: আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৯৭৫)



এই হাদিসের সনদে  "উম্মু আবান ' নামক একজন রাবী রয়েছে, যাকে লা-মাজহাবীরা ' মজহুল বা অপরিচিত রাবী বলতে চান। অথচ হাফিজুল  হাদিস ইমাম শামছুদ্দিন যাহাবী (رضي الله عنه) তাঁর সম্পর্কে বলেন:



أم أبان بنت الوازع بن زارع . عن جدها أنه قبل يدي النبي صلى الله عليه وسلم ورجليه .



-"উম্মে আবান হল ‘ অজাইন ইবনে জিরাইন (رضي الله عنه) ' এর কন্যা। সে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন: লােকেরা আল্লাহর নবী (ﷺ) এর হাত ও পা মােবারকে চুম্বন করেছেন।"


(ইমাম যাহাবী: মিযানুল এ'তেদাল, রাবী নং ৯৯২৯)



এই রাবী সম্পর্কে শারিহে বুখারী হাফিজ ইবনে হাজার আস্কালানী (رحمة الله) বলেন:



أم أبان بنت الوازع ابن الزارع مقبولة



-"উম্মু আবান হল ‘ অজাইন ইবনে জিরাইন (رضي الله عنه) এর কন্যা, আর সে মকবুলা বা গ্রহণযােগ্য রাবী।"(ইমাম আসকালানী: তাকরীবুত তাহজিব, রাবী নং ৮৭০০।



স্বয়ং ইমাম বুখারী (رحمة الله) তাঁর ‘ আল আদাবুল মুফরাদ ' কিতাবে এই হাদিসের সনদে তার নাম উল্লেখ করেছেন এভাবে:



امرأة من صباح عبد القيس يقال لها: أتم بان ابنه الوازع ، عن جدها ،



-"আব্দুল কায়েছ গােত্রের একজন মহিলা যাকে ‘ উম্মু আবান ' বলা হয় আর তিনি ‘ অজাইন (رضي الله عنه) ' এর কন্যা।"(ইমাম বুখারী: আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৯৭৫ এর সনদ লক্ষ্য করুন।



আফসোসের বিষয় হল, মাকতাবায়ে শামেলার মধ্যে হাদিসটি সনদবিহীন উল্লেখ করে বলা হয়েছে ' উম্মে আবান ' একজন অপরিচিত রাবী। অথচ আদাবুল মুফরাদে ' সনদ সহ এই হাদিসটি সমালােচনা বিহীন উল্লেখ আছে। যার একটি মূল কপি আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। যারা এরূপ ছলচাতুরী করছেন, আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন।


অতএব, হাদিসটি আপত্তিহীন ভাবে সহিহ প্রমাণিত। তাই আবারাে সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হল, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) কদমবুছীর পক্ষে ছিলেন। কারণ সাহাবায়ে কেরাম প্রিয় নবীজির কদমবুছী করেছেন এবং নবী পাক (ﷺ) কদমবুছী গ্রহণ করেছেন। সুতরাং কদমবুছী করা রাসূলে পাক (ﷺ) কর্তৃক অনুমােদিত সুন্নাত।



 হাদিস নং ৫



এ বিষয়ে ইমাম নূখারী (رحمة الله) তদীয় কিতাবে আরেকটি রেওয়াত উল্লেখ,



حدثنا عبد الرحمن بن المباري قال: حدثنا سفيان بن حبيب قال: حدثنا شعبه قال: حدثنا عمرو ، عن دوان ، عن صهيب قال: رأيت عليها قبل يد العباس ورجليه



-"হজরত ছুহাইব (رضي الله عنه) বলেন ; নিশ্চয় আমি হজরত আলী (رضي الله عنه) কে হজরত আব্বাস (رضي الله عنه) এর হস্ত ও পদ চুম্বন করতে দেখেছি।"


(ইমাম বুখারী: আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং ৯৭৬ ; ইমাম ইবনে আসাকিনা ; তারিখে দামেস্ক, ২৬ তম খন্ড, ৩৭৬ পৃঃ ইমাম মিযীঃ তহিজিরুল কামাল, ১৩ তম খন্ড, ২০ পূ ; ইমাম যাহাবী ; তারিখে ইসলামী, ২ য় খন্ড, ২০২ পৃঃ ; ইমাম যাহাবী: সিয়ারে আলামী নুবালা, ৩ য় খণ্ড, ৪০০ পৃঃ ; মুবারকপুরী: তুহফাতুল আহওয়াজী, ৭ ম খন্ড, ৪৩৭ পূ ; ইমাম হিন্দী: কানজুল উম্মাল, হাদিস নং ৩৭৩৩০ ; ইমাম ছিয়তীঃ জামেউল আহাদিস, হাদিস নং ৩৩৪ ১২।



এই হাদিসের সনদে-' হজরত ছুহাইব (رضي الله عنه) সম্পর্কে লা-মাজহাবীরা সমালােচনা করে, অথচ তিনি নবীজির চাচা হজরত আব্বাস (رضي الله عنه) এর গােলাম ও একজন বিশিষ্ট সাহাবী ছিলেন। আর সাহাবীদের সমালোচনা করাই ওহাবীদের চিরাচরিত স্বভাব। হজরত ছুহাইব (رضي الله عنه) সম্পর্কে ইমাম যাহাবী (রাহঃ) ও আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার আস্কালানী (রাহঃ) বলেন:



ذكره ابن حبان في كتاب الثقات



-"ইমাম ইবনে হিব্বান তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।"(ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৭৭০, ইমাম যাহাবী: সিয়া আলামী নুবালা, ৩ য় খন্ড, ৪০০ পৃঃ)



এই হাদিসের সনদ প্রসঙ্গে ইমাম যাহাবী (رحمة الله) সিয়ারে আলামী নুবালা ’ গ্রন্থে বলেন: -"এই হাদিসের সনদ হাছান।"



অতএব, হাছান সহিহ পর্যায়ের হাদিস দ্বারা আবারাে প্রমাণিত হল, হজরত আলী ইবনে আবু তালেব (رضي الله عنه) প্রিয় নবীজির চাচা হজরত আব্বাস (رضي الله عنه) এর হস্ত ও পদচুম্বন করেছেন। পাশাপাশি আরাে দুইটি বিষয় প্রমাণিত হল ; একটি-পিতার মত। আর অপরটি সম্মানী ব্যক্তির অথবা কোন বুযুর্গ ব্যক্তির কদমবুছী করা সুন্নাতে সাহাবা, হল-কদমবুছী শুধু নবী করিম (ﷺ) এর জন্য খাছ নয়, বরং অন্যান্য বুযুর্গ ব্যক্তির বেলায়ও জায়েয।

_______________

সহিহ হাদিসের আলােকে মাজার যিয়ারত পূজা নয় ও কদমবুছির সমাধান

গ্রন্থনায়ঃ  মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জিহাদী 

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন