শেখ নজদী প্রসংগে


এ অত্যাচারী সম্প্রদায়ের বিধান কি? যাদের প্রথম নেতা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব নজদী (১১১১ হিজরী-১২০৬ হি.),

 ▪ যে তৎকালীন বাদশাহের সাথে বিদ্রোহ করে মক্কা শরীফের উপর প্রভুত্ব স্থাপন করেছে।

▪ তথাকার আলেম সমাজের উপর চালিয়েছে বেপরওয়া হত্যাযজ্ঞ। 

▪ আউলিয়া কেরামের মাজারসমূহকে বানিয়েছে শৌচাগার।

▪ হযরত রাসুলে করীমের (ﷺ)  রাওযায়ে আক্বদসকে বৃহত্তম প্রতিমা রূপে আখ্যায়িত করেছে।

▪ আইম্মায়ে মুজতাহিদীন এবং ফুকাহায়ে মুকাল্লিদীনকে (তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং অপরকে পথভ্রষ্ট করেছে) এ বাণীর আওতাভুক্ত করেছে।

▪ নিজের কুপ্রবৃত্তিকে স্থির করেছে সত্য মিথ্যার মাপকাঠি।

▪ বিভিন্ন অলংকারিক বর্ণনা দ্বারা হুজুর পুর নূর (ﷺ) ’র অবমাননা করতো।

▪ এ বদ আকীদার উপর নিজ বংশধর এবং অনুসারীদেরকে লাগিয়ে রাখত।

▪ নিজ অনুগামী ব্যতীত অন্যদেরকে মনে করতো মুশরিক।

▪ দরূদ শরীফ পড়াতে অনেক কষ্টদায়ক শাস্তি পেতে হত । এমনকি এক অন্ধ ব্যক্তি আযানের পর মসজিদের মিনারায় সালাত সালাম পড়ার কারণে তাকে শহীদ করে দিয়েছে।

 ▪ আর সে বজ্র কণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছেঃ


একজন পতিতার ঘরে বাদ্য-বাজনা করা মসজিদের মিনারায় দরূদ শরীফ পাঠ করার গুনাহর চেয়ে অধিকতর কম।

অর্থাৎ নবী (ﷺ) ’র উপর দরূদ পড়া পতিতার ঘরে বাদ্য-বাজনা করার চেয়েও মারাত্মক গুনাহ। (আদুরারুস্ সানিয়া ফীররদ্দে আলাল ওয়াহাবিয়া পৃঃ নং ৪১)

 ▪ তাঁর শিষ্যরা বিভিন্ন ভাবে নবী (ﷺ) ’র শানে মানহানিকর উক্তি করতো আর সে তা শুনে আনন্দিত হতো। যেমনিভাবে উল্লেখ করা হয়েছেঃ


শেখ নজদীর এক অনুসারী বলেছিল আমার এ লাঠি মুহাম্মদ ﷺ এর চেয়ে উত্তম। কেননা তা সাপ ইত্যাদি নিধনে উপকারে আসে, আর মুহাম্মদ (ﷺ)  নিশ্চয় মরে গেছেন। তাঁর মধ্যে আদৌ কোন ফায়দা অবশিষ্ট নেই; তিনি শুধুমাত্র একজন দূত। আর তিনি তো চলেই গেছেন।             [কৃতঃ আল্লামা ছৈয়্যদ আহমদ ইবনে যিনী দাহলান (রহঃ) : আদুরার সানিয়া ফীররদ্দি আলাল ওয়াহাবিয়্যাহ পৃষ্ঠা নং-৪২]


▪ রাসুলের (ﷺ) শানে কটুক্তি করার মধ্যেই তার বেয়াদবী সীমাবদ্ধ ছিলনা বরং সে মাযহাবের ইমামদের সাথেও প্রতারণা করেছে। বাহ্যিকভাবে সে (শেখ নজদী) হাম্বলী মতাবলম্বী দাবী করলেও প্রকৃতপক্ষে হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রাহমাতুল্লাহি তায়ালা আলায়হির সাথে তার কোন সম্পর্কই ছিলনা।

 নবুয়ত দাবী করার অভিলাষী ছিল বটে, তবে তা ব্যক্ত করার পূর্বেই মৃত্যু বরণ করতঃ মন্দ কর্মের পরিনাম ভোগ করে। আর নিম্নোক্ত আয়াত শরীফের আওতায় গণ্য হয়ে যায়।

নিশ্চয়ই যারা কষ্ট দেয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলকে, তাদের উপর আল্লাহর অভিসম্পাত দুনিয়া ও আখিরাতে।(সুরা আল আহযাব ৫৭)              

________________

কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।

মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।

ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন