স্যার সৈয়্যদ আহমদ খান কৌলী


যখন ভারতীয় ওয়াহাবীদের নেতা ও গুরুজন সৈয়্যদ আহমদ বেরলভীর (মৃত্যু ১৮৩১ খৃঃ) মৃত্যুতে তাদের প্রলাপ বকনী এবং ভবিষ্যদ্বাৰ্তা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়, তখন তার বংশধর থেকে স্যার সৈয়দ আহমদ খান কৌলী (১৮১৭ খ্রীঃ - ১৮৯৮ খ্রীঃ) নামক এক ব্যক্তি তার অনুগামী ও উত্তরসূরী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সে তাফসীর, হাদিস, ফিক্‌হ সংক্রান্ত গ্রন্থরাজীকে অস্বীকার করে বসে। ধর্মের সকল আবশ্যকীয় বিধিবিধান থেকে বিমুখ হয়ে নির্লজ্জ ভাবে বলেছেঃ 


(১) কিয়ামত দিবস, পুণঃরুথান, স্বর্গ, নরক, ফিরিশতা, জিব্রাইল এবং পুলসিরাত বলতে কিছুই নেই। 


(২) ফিরিশতা এক প্রকার শক্তির নাম।


(৩) বেহেস্ত, দোযখ, কিয়ামত, পুনঃরুত্থান এ সবগুলো আধ্যাত্মিক, আক্তগত বা শারীরিক কিছু নয়।


(৪) কারামত (অলৌকিক ঘটনা), মুজিযা (ঐশ্বরিক ঘটনা) এসব বাজে কথা।


(৫) যে কেউ আপন চেষ্টার বদৌলতে নবী হতে পারে।


(৬) স্বয়ং আল্লাহ রাব্বল আলামীন ও প্রকৃতির শৃংখলে আবদ্ধ।


(৭) সর্বনিম্ন পর্যায়ের চিন্তাগ্রস্থতার নামই দোযখ। তাইতো সে সৈয়দ আহমদ খান কৌলী নিজ কল্পিত নরকের পথ বেয়ে নিম্ন থেকে নিম্নতম স্তরের দিকে পৌঁছেছে। জীবনের ইতি সে এভাবে টানল যে, তার খাজাঞ্চী (ক্যাশ সংরক্ষক) অনেক সঞ্চিত টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করার সংবাদ পেলে সে এমন চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়ে, যার ফলে পানাহার বন্ধ হয়ে ঐ মমঘাতেই তার জীবনাবসান হয়। 


 ________________

কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।

মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।

ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন