মৌলভী ইসমাঈল দেহলভী

মৌলভী ইসমাঈল দেহলভী


সে ওয়াহাবীদের দ্বিতীয় গুরু মৌং ইসমাঈল দেহলভী (১৭৭৯ খ্রীঃ১৮৩১খ্রীঃ) তাদের।

 ▪ প্রথম ইমামের (মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব নজদী) লিখিত “কিতাবুত তাওহীদ” এর ভারতীয় সংস্করণ করে তাকবিয়াতুল ঈমান' নাম দিয়েছে। ঐ ফেরকার নাম দিয়েছে তাওহীদপন্থী ।


▪ আর শেখ নজদীর পদাংক অনুসরণ করে সকল উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ) কে কাফির-মুশরিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। নবী (ﷺ) ও নবীগণ আলাইহিমুস সালাম,  এমন কি স্বয়ং খোদা তায়ালার শানেও মানহানিকর উক্তি এবং গালমন্দ করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি।

▪ নবীগণ আলাইহিমুস সালামকে মেথর, চামার, অকর্মন্য এবং অকেজো লোকদের সাথে তুলনা করেছে।' (তাকবীয়াতুল ঈমান পৃঃ নং ১০,১১,২৯, কৃত- ইসমাঈল দেহলভী)

▪ আল্লাহ তায়ালার সত্ত্বা এবং গুণাবলীতে দুষনীয় ও অসংহতিপূর্ণ শব্দ প্রয়গকে বৈধ সাব্যস্ত করেছে। আল্লাহ তায়ালা আপন উঁচু মর্যাদা রক্ষার্থে এবং লোক জানাজানির ভয়ে মিথ্যা বলা থেকে বিরত রয়েছে বলে জঘন্য মন্তব্য করেছে।

[এক রোযী পৃঃ নং ১৪৪, ১৪৫ কৃত মৌং ইসমাঈল দেহলভী]।

 ▪ নামাযের মধ্যে নবী (ﷺ) ’র খেয়াল আসা গরু ও গাধার খেয়াল আসার চেয়ে নিকৃষ্টতম। [সিরাতে মুস্তাকীম পৃঃ নং ৯৫, অন্য সংস্করণে পৃঃ নং ৮৬ কৃতঃ মৌং ইসমাঈল দেহলভী]

▪ নবুয়ত দাবীর ভিত্তি স্থাপন করতঃ এ স্তরে অধিষ্ঠিত হয়ে প্রাথমিকভাবে এ মন্তব্য উপস্থাপন করেছে যে, শরীয়তের পুংখানুপুংখ বিধিমালা কতেক মানুষের নিকট নবীগণের মাধ্যম ব্যতীত কলবী নূর দ্বারা সরাসরি পৌঁছে থাকে, এ প্রেক্ষিতে একদিকে ওরা নবীগণের ছাত্র, ডেকে নবীর সমপর্যায়ের। কখনাে শিক্ষক ও বটে।

(সিরাতে মুস্তাকীম পৃঃ নং-৩৯ কত-মৌং ইসমাঈল দেহলভী)

 ▪ মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র সম্মান বড়জোর বড় ভাইয়ের মত। (তাকুবীয়াতুল ঈমান পৃঃ নং-৬০ কৃত-মৌং ইসমাঈল দেহলভী।)

▪ ছরকারে দো’আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা হায়াতুন্নবী নন, মৃত্যু বরণ করতঃ মাটি হয়ে গেছেন। (তাবীয়াতুল ঈমান পৃঃ নং-৬০ কৃত-ঐ)।

▪ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র কোন কুদরত নেই। তিনি দূর থেকে শুনতে ও পাননা। (তাক্বীয়াতুল ঈমান-পৃঃ নং-২৯, ২৩)

▪ রাসুলল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র নিকট আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়ব আছে বলে মনে করা ও শির্ক। (তাক্বীয়াতুল ঈমান পৃঃ নং-২৭, ২৬, ১০ কৃত- প্রাগুক্ত।)

▪ অধিকাংশ মানুষ মিথ্যা বলার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ যদি বলতে না পারেন, তাহলে মানুষের শক্তি খোদার শক্তির চেয়ে বেড়ে যাবে। (এক রোযী পৃঃ নং-১৮,১৭, মুলতান থেকে মুদ্রিত কৃত- প্রাগুক্ত।)

▪ হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কথাও গায়ব জানে মনে করা শির্ক। (তাক্বীয়াতুল ঈমান পৃঃনং-২৭)।

▪ শুধুমাত্র মাহবুবে খােদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র রওজা শরীফের যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা শির্ক ।( তাকবীয়াতুল ঈমান পৃঃ নং-১০)

▪ রাসুলে পাকের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রওজায়ে আত্বহারের সামনে দন্ডায়মান হওয়া শির্ক; সম্মান করার উদ্দেশ্যে হলে। (তাকূবীয়াতুল ঈমান পৃঃ-৪০, ৪১কৃত- ঐ)।

▪ উম্মতের কান্ডারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইয়া মুহাম্মদু! অথবা ইয়া রাসুলাল্লাহ! আহবান করা শির্ক। (তাকূবীয়াতুল ঈমান পৃঃ-২৩)।

▪ নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সমতুল্য অন্য কেউ জন্ম লাভ করা সম্ভব। (তাকূবীয়াতুল ঈমান পৃষ্ঠা নং- ৩১)।

অবশেষে সে দেহলভী সম্পদের মোহে ও বাদশাহীর নেশায় শিখদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় এবং পরাজয়ের আশংকায় পলায়ন করতে গেলে আফগানীদের ক্ষুরধার তরবারীর আঘাতেই সে মৃত্যু মুখে পতিত হয়। এ কাপুরুষোচিত কেলেংকারীতে মৃত্যু বরণকারীকে ও অনেক ভ্রান্ত ঐতিহাসিক শহীদ বলে চালাতে চায়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এদেশে সুন্নী বলে পরিচয়দাতাদের অনেকেও এ তথ্যকে দলীল মনে করে। لَعَنَةُ اللّٰهِ عَلٰی الکَاذِبِينَ  (মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর অভিশম্পাত)। 

________________

কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।

মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।

ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন