সৈয়দ আহমদ খান কৌলীর অনুসারীদের মাঝে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী জন্ম লাভ করে ১৮৩৫ খ্রীস্টাব্দে। সে সুস্পষ্টভাবে নবুয়তের দাবী করতঃ সুরাহ্ সাফ- এ বর্ণিত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামা’র সু-সংবাদ সম্পর্কিত ১৫ (ইছমুহ আহমদু) আয়াতাংশকে নিজের প্রতিই সম্পর্কিত করে প্রচার করেছে। এমনিভাবে জাহান্নামের সর্বস্তর অতিক্রম করে সর্বনিম্নে পতিত হয়ে কুফরী বাক্য উচ্চারণ করতে দ্বিধা করেনি—
آنچہ داد است ہر نبی را جام داد آں جام را مر اد ہتمام پر شد از نور من زمان وز مین سر ہنوزت بہ آسمان از کیں باخدا اجنگہا ہیہات ایں چہ جور وجفا کنی ہیہات (نزول مسیح)
অর্থাৎ প্রত্যেক নবীকে যে শরবতের পেয়ালা দেয়া হয়েছে, ঐ পেয়ালাকে পরিপূর্ণতার উদ্দেশ্যে প্রদত্ত হয়েছে। আমার দূর থেকে যমীন (স্থান) ও যমান (কাল) পূর্ণ হয়েছে। কখনো তার (মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী) ভেদ আসমান পর্যন্ত পৌঁছেছে। এ (ভেদ) থেকে একটি হল যে, তুমি (মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী) খোদার সাথে যুদ্ধ করেছে। আফসোস! আফসোস! তুমি এটা জুলুম- অত্যাচার করেছো।
(নুযূলে মসীহ)।
এই শিষ্য (গোলাম আহমদ কাদিয়ানী) জন্ম লাভের সময় বলা হয়েছে ।
کَانَ اللّٰهُ نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ
(আল্লাহ আসমান থেকে তাকে নাযিল করেছে)
পরবর্তীতে সে ব্যক্ত করেছে যে, আমাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে এলহাম বা অন্তকরণে জানিয়ে দেয়া। হয়েছে যে-
اَنتَ مِنّٸ بِمُنزَلَةِ اَولاَدِی اَنتَ مِنّی وَاَنَا مِنكَ
অর্থাৎ তুমি আমার তুলনায় আমার সন্তান-সন্ততির পর্যায়ে, তুমি আমার থেকে প্রকাশিত আর আমি তোমার থেকে প্রকাশিত। (ওয়াকিউল বলদ পৃঃ নং-৭৭৬)
(হযরত ইমাম মাহদী (আ.) এর আহবান পৃঃ নং -২১ সংযোজিত)।
মোদ্দাকথা কুরানকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, সকল নবীদের (আলাইহিমুসসালাম) মানহানি করা, বিশেষতঃ হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে বিশ্রীভাবে গালমন্দ করার ক্ষেত্রে সে কার্পন্য করেনি। শেষকালে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি-
فَلاَ یَستَطِیعُونَ تَوصِیَةً وَلاَ اِلٰی اَھلِھِم یَرجِعُونَ
(যখন তারা না ওসীয়ত করতে পারবে এবং না আপন ঘরে ফিরে যেতে পারবে)। (সুরা ইয়াসীন আয়াত নং- ৫০)।
এ আয়াতের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়। আর নিজ মতের বিরোধী ওলামায়ে কেরামের মোকাবেলায় সে (কুখ্যাত কাদিয়ানী) ফেরআউনের মত জাহান্নামে পৌঁছে যায়। তার এ ঘটনা মুসলমানদের সম্মুখে
وَاَغرَقنَا اٰلَ فِرعَونَ وَاَنتُم تَنظُرُونَ
(আর ফিরআউনী সম্প্রদায়কে তোমাদের চোখের সামনে ডুবিয়ে দিয়েছি।) (সুরা বাকারাহ আয়াত নং- ৫০)।
এ বাণীর বাস্তব প্রমাণ হয়ে রয়েছে। চতুর্দিক থেকে মুসলমানরা এমনকি হিন্দুরা পর্যন্ত তার ধিকৃত লাশের উপর তাকে ঘৃণা প্রকাশ করে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে এবং
اُولٰٸِكَ عَلَیھِم لَعنَةُ اللّٰهِ وَالمَلاَٸِکَةِ وَالنَّاسِ اَجمَعِینَ
অর্থাৎ তাদের উপর অভিশম্পাত রয়েছে আল্লাহ, ফিরিশতাকুল এবং মানবকুল সবারই। (সুরাহ বাক্বারাহ্ আয়াত নং-১১১)। এ আয়াতের বাস্তব চিত্র মানসপটে অংকিত হয়ে থাকে।
(হে চক্ষুঃম্মানেরা ! তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।)
فَاعتَبِرُوا یَااُولِي الاَبصَارِ
________________
কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।
মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।
ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন