যদি সৃষ্টিতে নির্দেশজারী করা এবং পানি, চাঁদ সূর্য উলুহিয়াতের কব্জায় হয়; তবে কোরআন মজিদের দৃষ্টিতে হযরত সােলায়মান আলাইহিস সালামকে ইলাহ মানতে হবে। কারণ তাঁর (আলাইহিস সালাম) সম্বন্ধে কোরআন করীম বলেন-
و سخرنا له الريح تجرى بأمره رخاه حيث أصاب
অর্থাৎ তখন আমি তার অধীন করেছিলাম বায়ুকে যা তার আদেশে যেখানে ইচ্ছে সেথায় প্রবাহিত হতাে। আরও বলা হয়েছে
له الريح عاصفة تجرى بأمره
অর্থাৎ আমি তাঁর অধীনে করেছিলাম তেজস্সী বায়ুকে, যা তাঁর নির্দেশে প্রবাহিত হতাে।
প্রতিয়মান হলাে যে, আল্লাহতায়ালা প্রবল এবং স্বাভাবিক বায়ু সমূহেকে (পূর্বের হােক কিংবা, পশ্চিমের, দক্ষিণের হােক কিংবা উত্তরের) হযরত সােলাইমান (আলাইহিস সালাম) এর ফরমান পালনে বাধ্য করে দিয়েছেন। এটাও বুঝা গেল যে, বৃষ্টি দ্বারা (ফসল) উৎপাদন হয়, যার উপর তামাম জীবজন্তুর জীবন নির্ভরশীল। এ যুক্তির আলােকে সমস্ত সৃষ্টির রীতি-নীতি হক তায়ালা হযরত সােলাইমান আলাইহিস সালাম এর নির্দেশাধীন করে দিয়েছেন।
উলুহিয়াতের এ দৃষ্টিকোণ থেকে তাঁকেও ইলাহু মানতে হবে। (নাউযুবিল্লাহ মিন মিনহু।
_________________
কিতাবঃ ইসলামের মৌলিক চারটি বিষয়।
মূলঃ হাকিমুল উম্মাহ মুফতি ইয়ার খান নঈমী (রহঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন