কোরআন করীম বলেন, হযরত ইউছুফ (আলাইহিস সালাম) তার মেহমান ভাইদের থেকে সম্মানিত পিতা হযরত ইয়াকুব(আলাইহিস সালাম) এর কুশল জিজ্ঞেস করেছেন। উল্লেখ্য যে, তিনি ইউছুফ (আলাইহিস সালাম) এর বিচ্ছেদে ক্রন্দন করতে করতে দৃষ্টিশক্তি হারায়ে ফেলেছিলেন।
তাই তিনি বললেন
اذهبوا بقميصي هذا فالقوه على وجه ابي يات بصيرا
আমার এ কামিছ (জামা) টি নিয়ে যাও, আব্বাজানের চেহারার উপর আচ্ছাদান করবে, তিনি দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন হয়ে যাবেন।
কোরআন করীম হযরত আয়ুব (আলাইহিস সালাম) এর সম্বন্ধে বলেন
اركض برجلك هذا مغتسل بارض و شراب
অর্থাৎ আপন পাদ্বয় জমিনের উপর ঘর্ষণ কর, এতে সৃষ্ট পানি গােসলের জন্য এবং পান করার জন্যও। অর্থাৎ এতে আপনার জন্য জাহেরী বাতেনী শেফা বা আরােগ্য নিহিত রয়েছে।
হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম বলতেন-
ابرئ اكمه و الابرص و احى الموت باذن الله
অর্থাৎ আমি আল্লাহর নির্দেশে জন্মগত অন্ধ ও কুষ্ঠরােগাক্রান্ত লােকদের ভাল করি এবং মৃতকে জিন্দা করি)
দেখুন শেফা দান করা, মৃতদের জীবন দান করা প্রতিপলকের কাজ
واذا مرضت فهو يشفين
(এবং যখন আমি রােগাক্রান্ত হই, তখন তিনি আরােগ্য দান করেন)এবং
يحيى و يميت
(তিনি জীবন এবং মৃত্যু দান করেন)
কিন্তু ঐ সব আয়াত দ্বারা প্রতিয়মান হচ্ছে যে, আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্ত বান্দারা পরওয়ারেদেগারের অনুমতিক্রমে রােগ-ব্যাধি ভাল করেন এবং মৃতদের জীবন দান করে থাকেন।
কোরআন করিমের ঐ ঘটনাটাও স্মরণ রাখুন যে, চার জবেহকৃত কিমা তৈরী পাখি হযরত ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) এর আহবানে জীবিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিল। যেমন
ثم ادعهن ياتينك سعيا
(অতঃপর তুমি এদের আহবান করলে, তারা তােমার নিকট জীবিত হয়ে দৌড়ে আসবে)
কিন্তু তা সত্ত্বেও রব রবই রয়েছে, আর বান্দা বান্দাই। বান্দাদের হাতে রাব্বানী কার্য প্রকাশিত হয়। কিন্তু বান্দা, বান্দাই রয়ে যায়। ইলাহ শব্দের উল্লেখিত বর্ণনা দ্বারা প্রতিভাত হয় যে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আয়ুব আলাইহিস সালাম ও ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ইলাহ হয়ে গেছেন।নাউযুবিল্লাহ।
_________________
কিতাবঃ ইসলামের মৌলিক চারটি বিষয়।
মূলঃ হাকিমুল উম্মাহ মুফতি ইয়ার খান নঈমী (রহঃ)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন