বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ

 

বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ


ইসতেসকা বলা হয় পানি সংগ্রহ করা, দু:সাধ্য হওয়ার সময় ও বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পানি প্রার্থনা করাকে, ইহা মনদুব। এ নামাজের জামাত নেই, ইহা দ্বারা মাগফিরাত কামনা করা হয়। এ নামাজে অতিরিক্ত তাকবীর নেই তবে সেখানে খুতবা দেয়ার সময় ঈদের খুতবার তাকবীরগুলো জমিনের উপর দাঁড়িয়ে দিবে মিম্বরের উপর নয়। এতে চতুষ্পদ জন্তু, আবাল বৃদ্ধ, শিশু সবাই যাওয়া মুস্তাহাব। ইমাম কিবামুখী হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় হাত উত্তোলন করবে লোকজন বসা অবস্থায় কিবলামুখী হয়ে হাত উত্তোলন করে বৃষ্টির জন্য দোয়া করবে এবং বলবে হে আল্লাহ! আমাদের এমন বৃষ্টির পানি দান করুন যা আমাদের জন্য উপকার হয় আমাদের ক্ষেতখোলা তরুতাজা হয়, অতিশয় অদিক বৃষ্টি হয় যা সারা দেশে অবিরাম বর্ষণ করে, সর্বদা আমাদের অনুকুলে চাহিদা মোতাবেক হয়। অনুরূপ অন্যান্য দোয়া উচ্চস্বরে ও চুপে চুপে করবে। (ইবনু মাজা ও আবু আওয়ানা রেওয়ায়ত করেন)



অথবা- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্যে যিনি সারা বিশ্বের প্রতিপালক, অতি দয়ালু পরম করুণাময় বিচার দিনের মালিক। আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই তিনি যা ইচ্ছা তা করেন। হে আল্লাহ! তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। তুমি ধনী আমরা গরীব। আমাদের জন্য বৃষ্টি বর্ষণ করুন এবং আমাদের উপর যা অবতীর্ণ করবেন তা যেন অতিশয় জীবিকা পৌঁছায় বা জীবিকা বহনকারী হয়।



অথবা- হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টির পানি দান করুন, নৈরাশ্যদের অন্তর্ভূক্ত কর না। হে আল্লাহ! নিশ্চয় তোমার বান্দা, তোমার দেশ, তোমার জীব-জন্তু তোমার সৃষ্টি বহু কষ্টে দুঃখে দুর্বল কাতর হয়ে আছে যার অভিযোগ একমাত্র তোমার নিকটই করি। হে আল্লাহ! আমাদের জন্য শস্য ফসল উৎপন্ন করুন, স্তনে দুধ ভর্তি করুন, আকাশের বরকাত দিয়ে পিপাসা মিটিয়ে দিন, জমিনের বরকাত বৃদ্ধি করে দিন। হে আল্লাহ! আমাদের থেকে দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভিক্ষ দূরীভূত করুন, আমাদের থেকে এমন সংকট, মুসিবত দূর করে দিন যা আপনি ছাড়া কেউ দূর করতে সক্ষম নয়। হে আল্লাহ! আমরা তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল। আকাশকে আমাদের জন্যে বর্ষণ মুখর করুন। আল্লাহর জন্য ভীত, কোমল, অপমানিত অবস্থায় পুরাতন কাপড় পরিহিত পায়দল চলে বের হওয়া মুস্তাহাব। তাদের সাথে শিশুরা, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ও চতুষ্পদ জন্তু থাকবে এবং নবজাতক শিশুদেরকে তাদের মাতাদের থেকে দূরে রাখবে যেন ক্রন্দন অধিক হয় ইহা বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমত অধিক ধাবিত করে। অত:পর তাদেরকে নিয়ে ইস্তেসকার নামাজ আদায় রকবে। এ সবের পূর্বে তাওবা করে নেয়া, জুলুম করে নেয়া মাল ফিরায়ে দেয়া, শত্র“দের মুয়ামালা নিষ্পত্তি করে নেয়া এবং তিন দিন রোজা রাখা মুস্তাহাব। যদি বৃষ্টি বর্ষণে দেরী হয় তাহলে উপরোক্ত নিয়মে বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নামাজ বার বার পড়বে।

___________________

কিতাবঃ তরিকুস সালাত আ’লা ছাবিলিল ইজাজ বিল্-মাযহাবিল হানাফী

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

অনুবাদক: মাওলানা ছালেহ আহমদ

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন