তারাবীর নামাজ বা রমজানের রাত্রে কিয়াম

 

তারাবীর নামাজ বা রমজানের রাত্রে কিয়াম

صلاة التراويح اوقيام رمضان

صلوٰة التراويح سنة للرجال والنساء تؤدى بعد صلاة العشاء وقبل الوتر ركعتين ركعتين – ويجوز ان تؤدى بعده ولكنه خلاف الافضل – ويستمرو قتها الى آخر الليل .



নর-নারী উভয়ের জন্যে তারাবীর নামাজ সুন্নাত। ইহা এশার নামাজের পর বিতির নামাজের পূর্বে দু’রাকাত করে আদায করতে হয়। বিতিরের পরেও জায়েজ তবে, আফজলিয়াতের খেলাপ। ইহার সময় শেষ রাত্রি পর্যন্ত বহাল থাকে।




তারাবীর রাকাতে সংখ্যার বর্ণনা



بيان عدد ركعات التراويه



وهذا الذى بيّنه عمرُ بن الخطاب رضى الله عنه بفعله عند ماجمع الناس أخبرا فى المسجد – ووافقه الصحابة على ذلك ولم يكن لهم مخالف ممن بعدهم من الخلفاء الراشدين وقد قال النبى صلى الله عليه وسلم عليكم بسنتى وسنة الخلفاء الراشدين المهديين من بعدى عُضُّوا عليها بالنواجذ (ابوداؤد شريف) .



عن عبدالله بن عباس رضى الله عنهما ان النبى صلى الله عليه وسلم كان يصلى فى رمضان عشرين ركعة سوى الوتررواه البغوى ابن ابى شيبة – طبرانى فى الكبير – بيهقى, عبدا بن حميد كان الناس يقومون فى زمان عمر ابن الخطاب رضى الله عنه فى رمضان بثلث وعشرين ركعة رواه مالك عن يزيد بن رمان عن سائب ابن يزيد قال كنا نقوم فى عهد عمر بعشرين ركعة والوتر – رواه البيهقى باسناد صحيح فى المعرفة عن ابى ابن كعب رضى الله عنه ان عمر بن الخطاب رضى الله عنه امره ان يصلى بالليل فى رمضان قال ان الناس يصومون النهار ولا يحتسبون ان يقرء فلو قرأت عليهم بالليل قال ياامبر المؤمنين هذا شئ لم يكن فقال قد علمت ولكنه حسَنُ فصلى بهم عشرين ركعة (رواه ابن منيع ) .



عن ابى عبد الرحمن سلمى ان على بن ابى طالب رضى الله عنه دعا القرّاء فى رمضان وامر رجلا يصلى بالناس خمس ترويحات عشرين ركعة وكان علىّ يوتربهم (رواه البيهقى فى سننه ) .



وايضًا عن ابى الحسناء ان على بن ابى طالب امر رجلا يصلى باالناس خمس ترويحات عشرين ركعة (رواه البيهقى) وتسن الجماعة فيها كما تصلى فرادى.



فعن عائشة رضى الله عنها قالت صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فى المسجد فصلى بصلاته ناس كثير, ثم صلى من القابلة فكثروا, ثم اجتمعوا من الليلة الثالثة فلم يخرج اليهم – فلما اصبح قال قد رأيت صنيعكم فلم يمنعنى من الخروج اليكم الاانى خشيت ان تفرض عليكم وذلك فى رمضان (اخرجه الستة الا الترمذى) .



তারাবী নামাজের রাকাত সম্পর্কে হযরত ওমর বিন খাত্তাব (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, মসজিদে লোকজন একত্রিত হয়ে নামাজ পড়তে দেখে স্বীয় মতামত পেশ করেছিলেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণ এতে তাকে সমর্থন করেছিলেন, পরবর্তীতে তাঁদের মধ্য হতে ও খোলাফায়ে রাশেদীনের কেউ কাজে ও বক্তব্যে বিরোধিতা করেন নি। অবশ্যই নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন তোমাদের উপর আমার সুন্নাত ও আমার খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত আবশ্যক। তোমরা তা মজবুত করে বড় দাঁত দ্বারা কামড়ায়ে ধর। (আবু দাউদ শরীফ)



হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) রমজান মাসে বিতির ছাড়া বিশ রাকাত পড়তেন। বগবী, ইবনু আবি শাইবা, তাবরানি কবিরে, বাইহাকী ও আবদু বিন হামিদ বর্ণনা করেন। হযরত ওমর বিন খাত্তাব (رضي الله عنه) এর খেলাফতকালে লোকেরা রমজান মাসে তেইশ রাকাত কিয়ামে লাইল করতেন। হযরত মালেক ইয়াজিদ বিন রুমান হতে তিনি সায়েব বিন ইয়াজিদ হতে, তিনি বলেন আমরা হযরত ওমর (رضي الله عنه) এর সময় বিশ রাকাত ও বিতিরের সাথে কিয়াম করতাম। ইমাম বাইহাকী ইহা বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন। মারেফাহ নামক কিতাবে উবাই বিন কাব রা.) হতে বর্ণিত ওমর বিন খাত্তাব (رضي الله عنه) তাঁকে রমজানের রাতে কিয়াম করার জন্যে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, অবশ্যই লোকজন দিনে রোজা রাখেন তারা তেলাওয়াত করে সাওয়াব অর্জন করছে না। আপনি যদি রাত্রে তাদের তেলাওয়াতের ব্যবস্থা করেন। তখন তিনি আরজ করেন, হে আমীরুল মুমেনীন ইহা এমন বিষয় যা নবী যুগে ছিল না। তিনি বলেন আমি সে বিষয়ে অবগত আছি কিন্তু ইহা উত্তম। অত:পর তিনি তাঁদেরকে নিয়ে বিশ রাকাত আদায় করেছেন। (ইবনু মানি রেওয়ায়েত করেন)



হযরত আবদুর রহমান সলমি (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত অবশ্যই আলী বিন আবু তালেব (رضي الله عنه) রমজানে ক্বারীদের আহবান করলেন এবং লোকজনদের নিয়ে পাঁচ তারাবীহায় বিশ রাকাত তারাবী পড়ানোর জন্যে এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিলেন এবং হযরত আলী (رضي الله عنه) তাঁদেরকে নিয়ে বিতির পড়তেন। (বাইহাকী সুনানে বর্ণনা করেছেন)



আবুল হাসানা হতেও অনুরূপ বর্ণিত যে, তিনি বলেন, হযরত আলী বিন আবু তালেব (رضي الله عنه) এক ব্যক্তিকে লোকজনদের নিয়ে পাঁচ তারবিহায় বিশ রাকাত পড়ার জন্য হুকুম দিয়েছেন। (বাইহাকী শরীফ)



এতে জামাত সুন্নাত যেমন একাকী পড়া সুন্নাত। হযরত আয়শা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মসজিদে নামাজ পড়েন তখন তার পিছনে অনেক লোক নামাজ পড়েছেন অত:পর পরদিন অনুরূপ আরো বেশী লোকের জমায়েত হয় অত:পর তৃতীয় দিনেও লোক জমায়েত হয় কিন্তু নবী (ﷺ) তশরীফ নেননি। যখন সকাল হয় তিনি বলেন, অবশ্যই আমি তোমাদের অবস্থা দেখেছি কিন্তু আমাকে তোমাদের দিকে যেতে বাধা দিয়েছে শুধুমাত্র তোমাদের উপর তা ফরজ হয়ে যাওয়ার ভয়ই। ইহা ছিল রমজান মাস। (তিরিমিজি ব্যতীত সিহাসিত্তার সকলই বর্ণনা করেছেন)।

___________________

কিতাবঃ তরিকুস সালাত আ’লা ছাবিলিল ইজাজ বিল্-মাযহাবিল হানাফী

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

অনুবাদক: মাওলানা ছালেহ আহমদ

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন