এই ভূপালীপন্থীদের মধ্যে আবদুল্লাহ চাকড়ালুভী নামক এক ব্যক্তির আবির্ভাব হয়। চলাফেরায় অক্ষম, পঙ্গু এবং যথার্থ শিক্ষা হতে বঞ্চিত, দিকভ্রান্ত হওয়া সত্বেও সে আহলে কুরআন দাবী করতঃ কুরআন, হাদিস, ফিকাহ্ শাস্ত্রের সমস্ত গ্রন্থাদিকে অস্বীকার করে বসে। এ নরাধম উল্লেখ করেছে যে, হাদিস বা ফিকাহ্ শাস্ত্রানুযায়ী আমলকারী কুরআন বিরোধী। (নাউযুবিল্লাহ) মুনাফিকরা তাদের এ মতের সপক্ষে দলিল উপস্থাপন করে যে, কুরআনের
(রাসুল ﷺ এর অনুগত হও) এর মধ্যস্থিত الرسول দ্বারা কুরআনুল করীম উদ্দেশ্য।
مَا اٰتُکُمُ الرَّسُول
(যা রাসুল ﷺ তোমাদের প্রদান করেছেন।) এ আয়াতে ও অনুরূপভাবে রাসুল দ্বারা কোরআন উদ্দেশ্য। যদি রাসুল (ﷺ) উদ্দেশ্য হয়ও, তবে তা যুদ্ধলব্ধ সম্পদের বেলায়ই প্রযোজ্য হবে, সাধারণ বিধিবিধানের ক্ষেত্রে নয়।
নামাজের বেলায় ও নতুন (ভ্রান্ত) অর্থের আবিস্কার করতঃ একে নাম করণ করেছে
صَلٰوةُ القُراٰنِ بِاٰیَاتِ الفُرقَان
(সালাতুল কুরান বি আয়াতিল ফোরকান) পরবর্তীতে ঐ আবদুল্লাহ চাকঢ়ালুভী অন্যের মারফত কোরআনের ক’টি পারার ব্যাখ্যা লিখিয়ে সেটার নাম
تَفسِیرُ القُراٰنِ بِاٰیَاتِ الرَّحمٰنِ
(তাফসীরুল কুরান বি আ-য়া-তির রাহমান) রাখে। এতে ব্যক্ত করে যে, নবী (ﷺ) নিছক একজন দূত মাত্র, নাম ও সংবাদের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের কোন অধিকারই বাহকের নেই। (নাউযুবিল্লাহ)।
অবশেষে আবদুল্লাহ চাকঢ়ালুভী লাঞ্ছিত অপদস্ত হয়ে লাহোর থেকে নির্বাসিত হয়। চাকঢ়ালুভী বিপথগামী ভন্ড ও নিরেট মুর্খ হওয়া সত্বেও কতেক ওয়াহাবীদের সহযোগিতায় পীর বনে যায়। অতঃপর মুলতানে গমন করতঃ নিজের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে অপকর্মে লিপ্ত অবস্থায় ধরা পড়ে ভীষণ শাস্তি ভোগ করে এ আঘাতেই সে ধ্বংস প্রাপ্ত হয় এবং সর্বশেষে জাহান্নামে গিয়ে পৌঁছে।
_______________
কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।
মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।
ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন