ইসমাইল দেহলভীর বংশধর


যখন গায়রে মুকাল্লিদীন ও ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত মতবাদ ও বিদয়াত পুরােপুরি ভাবে প্রকাশ পেয়ে যায় এবং প্রত্যন্ত এলাকার ওলামায়ে কেরাম কর্তৃক তার খন্ডনে কিতাব রচিত হতে থাকে, তখন তাদের দ্বিতীয় ইমাম (ইসমাইল দেহলভী) এর বংশধরেরা অন্য একটি চক্রান্ত এঁটে বসে। তারা নিজেদেরকে হানফী ও মুকাল্লিদ সাজিয়ে উপস্থাপন করে। একদিকে তাক্ববিয়াতুল ঈমান’ এ লিখিত বদ্ আকীদার উপর অটল থেকে ঐ সমস্ত কুফরী মতবাদকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে চলেছে, অপরদিকে আমলগত বিষয়সমূহে হানাফী মতাবলম্বী রূপে নিজদের প্রকাশ করেছে। এটা ঠিক এরূপ বিষয়, যেরূপ তাদের। প্রথম দলপতি শেখ নজদী বাহ্যিকভাবে হাম্বলী মতাবলম্বীর দাবীদার হয়ে (প্রকৃতপক্ষে সে কোন মাযহাবের অনুসারী ছিলনা)


 গায়রে মুকাল্লিদীনের বিরুদ্ধে অনেক কিতাব রচনা করেছে। গায়রে মুকাল্লিদীনের স্বপক্ষে সে জোরালো বক্তব্য রেখেছে যে, শরীয়তের অনেক মাসআলার ক্ষেত্রে তৎসময়ে সাহাবায়ে কেরামের মাঝেও মতানৈক্য ছিল। কাজেই মাযহাব না মানার কারণে গায়রে মুকাল্লিদীন ও ওয়াহাবীদের সমালোচনা করা বৈধ নয়। (ছাবীলুর রাশাদ ও অন্যান্য মৌং রশীদ আহমদ গাংগুহী)


হুজুর (ﷺ) এর এলম সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মৌলভী খলিল আহমদ আন্বিটভী লিখেছে যে,


▪ ছরকারে দো আলম (ﷺ)’র জ্ঞান থেকে শয়তানের জ্ঞান অধিক। (বারাহীনে কাত্বিয়া পৃঃ ন- ৫১ কৃত মৌং খলীল আহমদ আম্বিটভী)


▪ আল্লাহর হাবীব সমস্ত আদম সন্তানের সম-মর্যাদাবান। (বারাহীনে কৃাত্বীয়াহ পৃঃ নং- ৩ কৃত- মৌঃ খলিল আহমদ)।


▪ রাসুলে খোদার মিলাদ করা এবং সম্মানসূচক কিয়াম করা বিদয়াত ও শির্ক। (ফতওয়ায়ে রশীদিয়াহ পৃঃ নং- ১৩ কৃত- মৌঃ রশীদ আহমদ বারাহীনে ক্বাত্বীয়াহ পৃঃ নং- ২২৮ কৃত- ঐ)


▪ আরো প্রলাপ বকেছে যে, নবী (ﷺ)র নিকট দেওয়ালের পিছনের ইলম কি তা জানা নেই। (নাউযুবিল্লাহ)


 এ ধরনের মন্তব্যকারী নিজের শেষাবস্থা কি হবে জানে না। তাদের এ ভ্রান্ত মতবাদের প্রত্যুত্তরে অনেকগুলো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

  ________________

কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।

মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।

ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন