মেীলভী আহমদ গাংগুহী


তাক্বলীদের (ইমাম অনুসারী) দাবীদার ওয়াহাবী ফের্কার ধারা বেয়ে আগমন করেছে মৌং রশীদ আহমদ গাংগুহী, যার ভ্রান্ত আক্বীদার পিচ্ছিলতায় মুসলিম জাতির পদস্খলন ঘটে । তার বিভ্রান্তমূলক আক্বীদার একটি দৃষ্টান্ত হল যে,একদা জনৈক ভক্ত তার কাছে জিজ্ঞেস করে-হুজুর! দু'ব্যক্তি পরস্পর বাদানুবাদ করে। একজন বলল- আল্লাহ তায়ালা মিথ্যা বলতে পারে। একথা শুনে আরেকজন বলে উঠে, আল্লাহ কখনো মিথ্যা আচরণ করেন না। তৃতীয় ব্যক্তি মিমাংসার উদ্দেশ্যে বলল- আমিও তো আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারার পক্ষে। ওহে গুরুজন! আপনি মেহেরবানী করে ফরমান, তৃতীয় ব্যক্তি কি মুসলমান না কাফির? বিদয়াতী সুন্নতপন্থী? উত্তরে গাংগুহী বলল-তৃতীয় ব্যক্তিকে কাফির, বেদয়াতী কিংবা বিভ্রান্ত কিছুই বলা উচিত নয়। তার উক্তি আল্লাহ মিথ্যা বলতে পারেন-এটা ঠিকই আছে। সেই তৃতীয় ব্যক্তির উপর কঠোরতা প্রদর্শন করা অনুচিত। আরে তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আমরা হানাফী শাফেয়ী কাউকে দোষারোপ করিনা, এটাও সেরূপ একটা মতবিরোধ। সে তৃতীয় ব্যক্তিকে ফাসিক কিংবা গোমরাহ বলা থেকে বিরত থাক। ওহে মুসলিম জাতি! আমি (আলা হযরত) ঘোষনা দিচ্ছি যে, গাংগুহী কতইনা গুরুতর ধর্মত্যাগী হয়ে গেছে। যে আল্লাহ তায়ালা থেকে মিথ্যা সম্পাদিত হওয়ার প্রবক্তা। গাংগুহী উপরোক্ত তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কে ফতওয়া দিয়েছে। তাকে (তৃতীয় ব্যক্তি) কাফির বা মুরতাদ বলা তো দুরের কথা ফাসিক কিংবা গোমরাহ ও বলা উচিত হবেনা। সে আরো তুলনা করেছে হানাফী-শাফেয়ী পারস্পরিক মতবিরোধের সাথে। যেমনিভাবে হানাফীরা বলে থাকে, “আমিন” চুপে বলতে, শাফেয়ীরা বলে তার উল্টো। যেরূপভাবে এদের সমালোচনা। করা যায়না, অনুরূপভাবে ঝগড়াটে ব্যক্তিবর্গকে ও সমালোচনার উর্ধে রাখা প্রয়োজন। পরোক্ষভাবে সে একথা মেনে নিয়েছে যে, আল্লাহকে সত্যবাদী বা মিথ্যাবাদী দুটোই বলা যাবে। নাউযুবিল্লাহ! (ফতওয়ায়ে গাংগুহী তৃতীয় খন্ড)।


  ________________

কিতাবঃ ওয়াহাবীদের ভ্রান্ত আকিদাহ ও তাদের বিধান।

মুলঃ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজেলে বেরলভী (রহঃ)।

ভাষান্তরঃ মাওলানা মুহাম্মদ ইছমাইল।

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন