হুযুরের পাদুকা শরীফের নক্বশার বরকতসমূহ
** ওলামা - ই কেরাম বলেছেন:
১/ যার নিকট এ নক্বশা মুবারক থাকবে,সে যালিমদের যুলুম ; শয়তানের অনিষ্ট এবং
হিংসুকদের যখমকারী দৃষ্টি থেকে মুক্ত থাকবে।
২/ গর্ভবতী নারী প্রসব - বেদনার সময় যদি তা
আপন ডান হাতে নেয়, তবে সহজে সন্তান
প্রসব করবে।
৩/ যে সব সময় সাথে রাখবে, সে আল্লাহর
কৃপাদৃষ্টিতে সম্মানিত থাকবে।
৪/ রওযা - ই মুক্বাদ্দাসের যিয়ারতের সৌভাগ্য লাভ করবে; কিংবা স্বপ্নে হুযুর আক্বদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া।সাল্লাম এর সাক্ষাত পেয়ে ধন্য হবে।
৫/ যে সৈন্যদলের মধ্যে থাকবে ওই দল পলায়ন করবে না।
৬/ যে কাফেলায় থাকবে তা লুন্ঠিত হবে না।
৭/ যে নৌযানে থাকবে তা ডুববে না।
৮/ যে মালের মধ্যে থাকবে তা চুরি হবে না।
৯/ যে প্রয়োজনে সেটাকে ওসীলা বা মাধ্যম
করা হবে তা পূরণ হবে।
১০/ যে উদ্দেশ্যেই সেটা কাছে রাখবে,তা
হাসিল হবে।
১১/ ব্যাথা ও রোগাক্রান্ত স্থানে রাখার ফলে তা থেকে শেফা ( আরোগ্য) লাভ হয়েছে।
১২/ যেসব মারাত্মক বিপদাপদ সেটার ওসীলা
গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো থেকে নাজাতও
সাফল্যের রাস্তা খুলে গেছে।
এ প্রসঙ্গে বুযুর্গদের আরো বহু ঘটনা ও ওলামা
- ই কেরামের বর্ণনা রয়েছে।(আল - আনওয়ার
ফী আ -দাবিল আ -সার,পৃ:- ২৮ -২৯;
মুবারকপুর থেকে মুদ্রিত। সূত্র :- ইরশাদাত - ই আলা হযরত রহমাতুল্লাহি তায়ালা আলাইহি,সংকলক: ভারতের প্রখ্যাত আলিম -ই দীন ও সু প্রসিদ্ধ লেখক মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মুবীন নু'মানী মিসবাহী সাহেব,অন্যতম কর্মকর্তা - ইসলামী কমপ্লেক্স,মুবারকপুর, আ'যমগড় (ভারত)।
__________________
ফয়যানে শরিয়ত ও মারফত (আমলের ভান্ডার)
লেখক : মুহাম্মাদ আবদুল কাদির মাহী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন