জান্নাতের জামিন

 

জান্নাতের জামিন


** হযরত আবু উমামা বাহেলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন," যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোন ইয়াতিমের মাথায় হাত বুলাবে, যে সমস্ত চুলের উপর দিয়ে তার হাত অতিক্রম করবে,তার প্রতিটির বিনিময়ে তার জন্য সাওয়াব লিখা হবে।আর যে ব্যক্তি তার তত্বাবধানে লালিত- পালিত ইয়াতিম বালক - বালিকার সাথে ভাল আচরণ করবে; আমি ও সে ব্যক্তি বেহেশতে এ দু'টির মত হবে।এটা বলে তিনি নিজের অঙ্গুলী দু'টি মিলিত করলেন। (মুসনাদে আহমদ ও তিরমিযী শরীফ,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ৪৭৫৭,পৃ:- ৬৯৬)।


** রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন," তোমরা আমার ছয়টি কথার জামিন হও।আমি তোমাদের জান্নাতের জামিন হবো।যখন তোমাদের কেউ কথা বলে,মিথ্যা না বলা।যদি কারো কাছে আমানত রাখা হয়; খেয়ানত না করে। যদি কেউ ওয়াদা করে,তা যেন ভঙ্গ না করে; নিজের হাত দুটো অপরকে আঘাত ও কষ্ট দেয়া থেকে বিরত রাখে ও নিজ লজ্জাস্থানকে ব্যভিচার থেকে বাঁচিয়ে রাখে।(আল - ফাতহুর রব্বানী, পৃ:- ৪৬৮)।


** হযরত আনাছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু

বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম বলেছেন," যে ব্যক্তি আমার উম্মতের কারও অভাব পূরণ করবে,তাতে তার উদ্দেশ্য হল সে ঐ ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবে; প্রকৃতপক্ষে সে আমাকেই সন্তুষ্ট করল।আর যে ব্যক্তি আমাকে সন্তুষ্ট করল,সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকেই সন্তুষ্ট করল।আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করল,আল্লাহ তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।(বায়হাকী শুআবুল ঈমান,মিশকাত শরীফ,হাদীস নং- ৪৭৭৯, পৃ:- ৬৯৯)।

__________________

ফয়যানে শরিয়ত ও মারফত (আমলের ভান্ডার)

লেখক : মুহাম্মাদ আবদুল কাদির মাহী

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন