হযরত সায়্যিদুনা আবূ নসর তামার (رحمة الله) বলেন: “اَلْحَمْدُ اللهِ عَزَّوَجَلَّ একদা রাত্রিবেলা হযরত সায়্যিদুনা বিশৃরে হাফী (رحمة الله) আমাদের ঘরে তাশরীফ আনলেন। আমি ওলী-এ-কামিলের আগমনে আল্লাহর শােকর আদায় করলাম। অতঃপর আরয করলাম: “ইয়া সায়্যিদী!(رحمة الله) আমাদের এখানে খােরাসান থেকে তুলা এসেছিল, তা দিয়ে আমার মেয়ে সুতা কেটে সেগুলাে বিক্রি করে মাংস ক্রয় করেছে। দয়া করে! আমাদের ঘরে ইফতার করে নিন। “তিনি বললেন: যদি আমি কারাে ঘরে খাবার খাওয়ার ইচ্ছা করি তাহলে আপনার এখানেই খাব।” অতঃপর বলতে লাগলেন, “দীর্ঘদিন যাবত বেগুন খাওয়ার ইচ্ছা পােষণ করছি কিন্তু এখনাে খাওয়া হল না।” আমি বললাম: “ইয়া সায়্যিদী! (رحمة الله) সৌভাগ্যবশতঃ এ গােস্তে হালাল উপার্জনের বেগুনও দেয়া হয়েছে। তিনি (رحمة الله) বললেন: “আমিতাে ঐ সময় বেগুন খাব যখন সেটার ভালবাসা আমার অন্তর থেকে বের হয়ে যাবে।” (রিসালাতুল কুশাইরিয়া, ১৪৩ পৃষ্ঠা)।
আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তাে! আল্লাহর ওলী (رحمة الله) নফসের কামনার অনুসরণ করা থেকে কি পরিমাণ সংযমী ! ছিলেন নফসের দাবীর কারণে হযরত সায়্যিদুনা বিশর হাফী (رحمة الله) দীর্ঘদিন হয়ে গেল, বেগুন খাচ্ছেন না! এসব মহান সত্ত্বাগণের মাদানী ধারণা হচ্ছে এরূপ নফস যখন বলে খাও, তখন না খাওয়া, আর যদি বলে খেয়াে না' তখন খেয়ে নেয়া। মােটকথা তার নফসের ইচ্ছার বিপরীত করতেন।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন