আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ: এর দৃষ্টিতে উচ্চ সুরে জিকির

 

 আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহ: এর দৃষ্টিতে উচ্চ সুরে জিকির:

فقال بعض أهل العلم: إن الجهر أفضل لأنه أكثر عملا ولتعدي فائدته إلى السامعين

-"অনেক আহলে ইলিমগণ বলেছেন উচ্চ আওয়াজে জিকির উত্তম। কেননা ইহা অধিক পরিমানে আমলের দ্বারা শ্রোতাগণ ফায়দা হাছিল করেন। (ফতোয়ায়ে শামী,২য় খন্ড,৪৩৪পৃ:; ফতোয়ায়ে রশিদিয়া, ৩য় খন্ড ১০৪ পৃ:)



আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী(رحمة الله) এই মর্মে আরাে বলেন:



وفي حاشية الحموي عن الإمام الشعراني: أجمع العلماء سلفا وخلفا على استحباب ذكر الجماعة في المساجد وغيرها إلا أن يشوش جهرهم على تائم أو مصل أو قاري إلخ




-"হাশিয়ায়ে হামাভী গ্রন্থে ইমাম শারানী(رحمة الله) থেকে উল্লেখ রয়েছে, পূর্বসূরী ও পরবর্তী উলামাদের মাঝে ইজমা বা ঐক্যমত হয়েছে যে, মসজিদের ভিতরে বা বাহিরে জিকিরের জামাত করা মুস্তাহাব। তবে ঘুমন্ত ব্যক্তি নামাজী ও কোরআন তেলাওয়াতকারীর যদি বিরক্তি না করে।(ফতোয়ায়ে শামী ২য় খন্ড,৪৩৪ পৃ:)



আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী(رحمة الله) এই মর্মে আরাে বলেন:-




فقد روي أنه كان في غزاة ولعل رفع الصوت يجر بلاء والحزب ځذعة ولهذا نهى عن الجرس في المغازي ، وأما رفع الصوت بالذكر فجائژ كما في الأذان والخطبة والجمعة والحج




"আর বর্ণিত আছে যে, নিশ্চয় রাসূলে পাক (ﷺ) কোন যুদ্ধে ছিলেন, সম্ভবত তখন উচ্চস্বরে জিকির বা তাকবীর যুদ্ধের জন্য ক্ষতিকারক ছিল তাই যুদ্ধক্ষেত্রে এরুপ উচ্চ আওয়াজ করতে নিষেধ করেছেন। অন্যথায় উচ্চস্বরে জিকির করা জায়েয যেমনটি আযান, খুতবায়, জুময়ায় ও হাজ্বের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।(ফতোয়ায়ে শামী,৬ষ্ঠ খন্ড,৩৯৮ পৃ:)



শায়েখ আব্দুল হাক্ব মুহাদ্দেছ দেহলভী(رحمة الله) উচ্চস্বরে জিকির অস্বীকার কারীকে মূর্খ বলেছেন।

______________________

শরীয়তের দৃষ্টিতে ক্বালবী জিকির ও ছামার বৈধ্যতা

রচনা ও সংকলনেঃ মুফতি মাওলানা আলাউদ্দিন জেহাদী

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন