সাধারণত: ঈদের নামায খোলা ময়দানে জামাতে আদায় করা আবশ্যক। বৃদ্ধ ও দূর্বল ব্যক্তি যদি শহরের বড় মসজিদে আদায় করে তা জায়েজ। নামাযীদের করণীয় হচ্ছে, প্রথমে সবাই যথা নিয়মে কাতারবন্দী হওয়া। যখন ইমাম সাহেব তাকবীরে তাহরীমা বলবে তখন মুক্তাদীগণ উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবীরে তাহরীমা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে বাম হাতের উপরে ডান হাত দিয়ে নাভির নিচে হাত বাঁধবে, এরপর ছানা পাঠ করবে। উল্লেখ্য যে, ইমাম সাহেব উচ্চস্বরে তাকবীর বলবে আর মুক্তাদিগণ নিম্ন স্বরে তাকবীর বলে হাত বাঁধবে। ছানা পাঠের পর ইমাম উচ্চস্বরে প্রথম তাকবীর বলে উভয় হাত কান পর্যন্ত নিয়ে ছেড়ে দিবে, হাত বাঁধবে না, মুক্তাদীগণও অনুরূপ করবে, অতঃপর দ্বিতীয় বার ইমাম তাকবীর বলে পূর্বের ন্যায় হাত ছেড়ে দিবে, মুক্তাদীগণও অনুরূপ করবে, এরপর তৃতীয়বার ইমাম ছাহেব তাকবীর বলে হাত বাঁধবে, সাথে সাথে মুক্তাদীগণও হাত বাঁধবে। তারপর ইমাম সাহেব নিম্নস্বরে তা‘উয ও তাসমীয়া (আ‘উযু বিল্লাহ ও বিছমিল্লাহ) পাঠ করে উচ্চস্বরে সূরায়ে ফাতেহা ও ক্বিরাত পাঠ করবে। মুক্তাদীগণ নীরব থেকে ইমামের ক্বিরাত শ্রবণ করবে এবং ইমাম ছাহেবের অনুসরণে রুকু-সিজদা করবে। রুকু-সিজদা করার সময় মুক্তাদীগণ নিম্নস্বরে তাকবীর বলবে এবং এভাবে রুকু- সিজদার তাসবীহ পাঠ করবে। রুকু-সিজদা শেষে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য ইমাম সাহেব সূরা ফাতিহা ও ক্বেরাত পাঠ করবে আর মুক্তাদীগণ তা নীরবে শ্রবণ করবে। দ্বিতীয় রাকাতের ক্বিরাত পাঠ শেষে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে ইমাম সাহেব ‘আল্লাহু আকবর’ তাকবীর বলে উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে ছেড়ে দিবে, মুক্তাদীগণও অনুরূপ করবে, তেমনি ভাবে দ্বিতীয় তাকবীর বলে ইমাম-মুক্তাদী উভয়ই হাত ছেড়ে দিবে, অতঃপর তৃতীয়বার তাকবীর বলে ইমাম সাহেব হাত উঠাবে এবং ছেড়ে দিবে, মুক্তাদীগণও ছেড়ে দিবে। এরপর চতুর্থ তাকবীর বলে ইমাম সাহেবের সাথে রুকুতে চলে যাবে। এরপর তাসমি তাহমীদ শেষে উভয় সিজদা ও সিজদার তাসবীহ পাঠ শেষে বসে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ ও দু‘আ পাঠ শেষে উভয় দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে। নামায শেষে ইমাম সাহেব খোতবা পাঠ করবে, মুক্তাদীগণ তা শ্রবণ করা সুন্নাত। জুমার খোতবার ন্যায় ঈদের নামাযেও খোতবা দু’টি, তবে জুমার খোতবা নামাযের পূর্বে, আর ঈদের খোতবা নামাযের পরে।
ঈদুল ফিতর নামাযের নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّـىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَـىْ صَلٰوةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتَّةِ تَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالٰى اِقْتَدَيْتُ بِهٰذَالْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ .
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা‘আলা রাক্য়াতাই সালাতিল্ ঈ’দীল্ ফিত্র মা‘আ ছিত্তাতে তাক্বী-রাতে ওয়াজিবুল্লাহে তা‘আলা ইক্তাদায়ীতু বিহা-যাল ইমামী মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ্ শারীফাতে আল্লাহু আক্বর।
ঈদুল আযহার নামাযের নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّـىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَـىْ صَلٰوةِ الْعِيْدِ الْاَضْحٰـى مَعَ سِتَّةِ تَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالٰى اِقْتَدَيْتُ بِهٰذَالْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ .
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা‘আলা রাক্‘আতাই সালাতিল্ ঈ’দীল্ আয্হা মা‘আ ছিত্তাতে তাক্বী-রাতে ওয়াজিবুল্লাহে তা‘আলা ইক্তাদায়ীতু বিহা-যাল ইমামী মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ্ শারীফাতে আল্লাহু আক্বর।
নফল নামাযের বর্ণনা
নফল নামায হচ্ছে- সুন্নাতে গায়রে মোয়াক্কাদা। যা আদায় করলে অসংখ্য সাওয়াব পাওয়া যাবে। এ নামায সমূহের নিয়ত করার সময় সুন্নাতও বলা যাবে, নফলও বলা যাবে অথবা সুন্নাত, নফল কিছুই উল্লেখ না করে কেবল মাত্র নামাযের নামের উল্লেখ করলে হয়ে যাবে। যেমন- লাইলাতুল ক্বদরের নামায, লাইলাতুল বরাতের নামায, এশ্রাক কিংবা সালাতুদ্ দোহার নামায ইত্যাদি।
___________________
গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন