তারাবীহর নামায


তারাবীহ নামায পুরুষ, মহিলা উভয়ের উপর সুন্নাত। রমযান শরীফের মাসে এশার নামাযের ফরয ও সুন্নাত আদায়ের পর ২০ রাকাত তারাবীহ্’র নামায, ২ রাকাত করে জামাতে আদায় করা। তারাবীহর নামাযের পর বিতর জামাতে পড়া হয়। যদি কারো তারাবীহর নামায কয়েক রাকাত বাকী থাকা অবস্থায় বিতর নামাযের জামাত আরম্ভ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে বিতর জামাতে পড়া আবশ্যক। বিতরের পর বাকী তারাবীহর নামায একাভাবে আদায় করে নিবে। তারাবীহর নামাযের প্রতি ৪ রাকাত পর বসে তারাবীহর তাসবিহ পড়া মুস্তাহাব এবং তাসবিহ পড়ার পর মোনাজাত করবে। তারাহবির মধ্যে এক খতম কুরআন মজীদ আদায় করা সুন্নাত তথা মুস্তাহাসন। যদি সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ পড়া সম্ভব না হয় তাহলে সূরা অথবা আয়াত দিয়ে নামায আদায় করবে।


তারাবীহ নামাযের নিয়ত

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّـىَ لِلّٰهِ تَعَالٰى رَكْعَتَـىْ صَلٰوةِ التَّـرَاوِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللهِ تَعَالٰى مُتَوَجِّهًا اِلٰى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللهُ اَكْبَرُ .


উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা‘আলা রাক্আতাই সালাতিত্ তারাবীহে সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা‘আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল্ কা‘বাতিশ্ শারীফাতে আল্লাহু আক্বর।



তারাবীহ নামাযের তাসবিহ্


سُبْحَانَ ذِى الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوْتِ سُبْحَانَ ذِى الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ . سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَـىِّ الَّذِيْ لَايَنَامُ وَلَايَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدًا سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلٰئِكَةِ وَالرُّوْحُ .


উচ্চারণ: সুব্হানা যিল্ মুলকে ওয়াল্ মালাকুতে সুব্হানা যিল্ ইয্যাতে ওয়াল্ আয্মাতে ওয়াল্ হাইবাতে ওয়াল্ ক্বুদরাতে ওয়াল্ কিব্রিয়ায়ে ওয়াল জাবারূতে সুব্হানাল্ মালিকিল্ হাইয়্যিল্লাযী লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুতু আবাদান্ আবাদান্ সুব্বুহুন্ কুদ্দুসুন্ রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতে ওর্য়া রূহ্।



তারপর হাত তুলে নিম্নের দু‘আ পড়বে


اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَنَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ يَاخَالِقَ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ بِرَحْمَتِكَ يَاعَزِيْزُ يَاغَفَّارُ يَاكَرِيْمُ يَاسَتَّارُ يَارَحِيْمُ يَاجَبَّارُ يَاخَالِقُ يَابَارٌّ. اَللّٰهُمَّ اَجِرْنَا وَخَلِّصْنَا مِنَ النَّارِ . يَامُجِيْرُ يَامُجِيْرُ يَامُجِيْرُ  بِرَحْمَتِكَ يَـآاَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ .


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাছ্আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউযুবিকা মিনান্নারে ইয়া খালেক্বাল্ জান্নাতে ওয়ান্নারে বিরাহমাতিকা ইয়া আযীযু, ইয়া গাফ্ফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া ছাত্তারু, ইয়া রাহীমু, ইয়া জাব্বারু, ইয়া খালেকু, ইয়া বাররু, আল্লাহুম্মা আর্জিনা ওয়া খাল্লিছ্না মিনান্নার, ইয়া মুজীরু, ইয়া মুজীরু, ইয়া মুজীরু, বি-রাহমাতিকা ইয়া আরহার্মা রাহিমীন।


অর্থ: ইয়া আল্লাহ্! নিশ্চয় আমরা তোমার দরবারে বেহেশ্ত প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট দোযখ হতে আশ্রয় চাচ্ছি তোমারই করুণায়, হে বেহেশত ও দোযখের স্রষ্টা! হে পরাক্রমশালী! হে অসীম ক্ষমাকারী! হে মহান দাতা! হে দোষ-ত্রুটি গোপনকারী! হে দয়াময়! হে মহাক্ষমতাবান! হে সৃষ্টিকর্তা! হে মঙ্গলকারী! হে আল্লাহ্ আমাকে আশ্রয় দান কর এবং আমাকে দোযখ হতে মুক্তি দাও, হে আশ্রয়দাতা! হে আশ্রয়দাতা! হে আশ্রয়দাতা! আপন করুণায়, হে সর্বাপেক্ষা বেশী দয়ালু।

___________________

গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন