খারাপ নযর ও বাতাস লাগা

 

খারাপ নযর ও বাতাস লাগা :

নযর ও বাতাস লাগা ইসলাম সম্মত কি-না, তা আমাদের জানা থাকা দরকার। অর্থাৎ, সু-নযর বা কু-নযর ও জ্বীনের বাতাস বা আছর সঠিক কি-না?

❏ হাদিস ২৬:


হুজুর পাক (ﷺ) এরশাদ করেন -



العين حق- ( رواه مسلم فى كتاب السلام-باب الطب و المرض و الرقى)



অর্থাৎ, নযর লাগা সত্য। (মুসলীম শরীফ, কিতাবুস সালাম)



আর বাতাস লাগার অর্থ যদি হয় জ্বিনের বাতাস বা তাদের খারাপ নযর বা খারাপ আছর লাগা, তাহলে এটাও সত্য; কেননা জ্বিন মানুষের ওপর আছর করতে সক্ষম।



● কোরআনে আল্লাহ্ পাক বলেন, আমি জ্বিন ও মানব জাতিকে একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি (সূরা বাক্বারা)।



জ্বিনের মধ্যে মানুষের মতই মু’মেন ও বে-দ্বীন এবং দুষ্ট জ্বিনও রয়েছে। যেমন রাসূল (ﷺ) এর কাছে একই সাথে ৪০০ জ্বিন ঈমান এনেছিলো। এখনো মক্কা শরীফে মসজিদে জ্বিন রয়েছে।



● কোরআন শরীফে একটি সূরার নাম রয়েছে ‘সূরায়ে জ্বিন’। সুতরাং আধুনিকতার দোহাই তুলে জ্বিন জাতির অস্তিত্ব অস্বীকার করার কোনো অবকাশ মুসলমানের নেই। এটাও জেনে রাখা দরকার জ্বীন কোনো কোনো জীবের আঁকারও ধারণ করতে পারে এবং মানুষের ওপর ভর করতে পারে।



❏ হাদিস ২৭:


 


হাদীছ শরীফে এরশাদ হয়েছে -



عن ابن عباس رضى الله عنه عن النبىِ صلى الله عليه وسلم قال : العين حق ولو كان شىءُ سابق القد ر سبقته العين و اذا استغسلتم فاغسلوا- (رواه مسلم فى كتاب السلام- باب الطب--/ رواه الترمذى فى ابواب الطب- ما جاء ان العين حق والغسل لها وقال: هذا حديث حسن صحيح- واللفظ لمسلم)



অর্থাৎ, ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নযর লাগা সত্য। যদি কোনো কিছু ভাগ্য অতিক্রম করতে পারত, তাহলে নযর তাকে অতিক্রম করত। যখন তোমাদের কাউকে ধুয়ে দিতে বলা হয়, সে যেন ধুয়ে দেয়।



তথ্যসূত্রঃ


● মুসলীম শরীফ- কিতাবুস সালাম


● তিরমিজী শরীফ-আবওয়াবাবে তিব্বী- বাবে মা জা’আ ইন্নাল আইনা হাক্কু ওয়া গোসলু লাহা ওয়া কালা হাজা হাদীছুন সহহীহুন)।

__________________

কিতাবঃ তাবিজ ও ঝাড়ফুঁকের বিধান

লেখক, অনুবাদক, সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন