দোয়ার মাধ্যমে তাবিজ, ঝাড়ফুঁক

 

দোয়ার মাধ্যমে  তাবিজ, ঝাড়ফুঁকঃ

❏ হাদিস ২০:

আয়িশা (رضي الله عنه) বলেন, বিপদ আসার পর যা লটকানো হয় তা তামীমা (অর্থাৎ নাজায়েজ তাবীজ) এর অন্তর্ভূক্ত নয়।

❏ হাদিস ২১:



মুসলীম শরীফের হাদীছে রয়েছে -



عن عوف بن مالك الاشجعى قال كنا نرقى فى الجاهلية فقلنا يا رسول الله كيف ترى فى ذالك ؟ فقال اعرضوا على رقاكم لا بآس بارقى ما لم يكن فيه شرك-


(رواه مسلم فى كتاب الاسلام-باب استحباب الرقية -------- والنظرة )



অর্থাৎ, হযরত আউফ ইবনে মালিক আশজায়ী বলেন, আমরা জাহেলী যুগে (বিভিন্ন মন্ত্র দ্বারা) ঝাড়ফুঁক করতাম। তাই জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী? তিনি বলেন, তোমরা কী (মন্ত্র) দিয়ে ঝাড়ফুঁক করো তা আমার কাছে পেশ করো। যাতে শিরক নেই এমন কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করাতে দোষ নেই। (মুসলীম শরীফ, কিতাবুস সালাম)



❏ হাদিস ২২:


 


ইমাম আবু বাকর ইবনে আবী শাইবাহ ‘মুনান্নাফ’ গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন, আমর ইবনে শুআইব তিনি➡তাঁর পিতা থেকে তিনি ➡ তাঁর বাবা থেকে (আমর ইবনে শুয়াইব এর দাদা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,  


তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন এই দোয়া শিখিয়ে দিলেন -


উচ্চারণঃ আউযুবিকালিমা – তিহিত্তা- ম্মা-তি মিন গাদাবিহি- ওয়া ইকা-বিহী- ওয়া শাররি ইবা- দিহি-ওয়া মিন হামযা- তিশ শায়া- ত্বি-নি ওয়া আই ইয়াহদুরুন।


অর্থঃ আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীগুলোরআশ্রয় নিচ্ছি তাঁর অসন্তুষ্টি ও তাঁর আযাব থেকে এবং তাঁর বান্দাদের অকল্যাণ ও শয়তানদের কুমন্ত্রণাদি থেকে আর তাদের উপস্থিতি থেকে।”


তাহলে এগুলো তার ক্ষতি হতে দেবে না। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।



তথ্যসূত্রঃ


● ইমাম আবূ দাউদ (رحمة الله) : সুনানে আবূ দাউদ : কিতাবু-তিব্বের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।


● মিশকাত শরীফ “বাবুল ইসতিআযা” অধ্যায় হাদিস নং-২৩৬১


● তিরমিযি এবং



❏ হাদিস ২৩:



عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده قال قال رسول الله صلى الله وسلم1 (১)


اذا فرغ احدكم فى نومه فليقل بسم الله اعوذ بكلمات الله التامات من غضبه وسوء عقابه و من شر عباده و من شر الشياطين -----------------عليه (اخرجه ابن ابى شيبه فى مصنف حديث رقم 24013 )



এ হাদীছে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (رضي الله عنه) কর্তৃক তাঁর বাচ্চাদের জন্য তাবীজ লিখে দেয়ার কথা উল্লখ আছে।


তথ্যসূত্রঃ


(মুসান্নেফে আবি শায়ব হাদীছ নং- ২৪০১৩)।



❏ হাদিস ২৪:



 عن عمرو بن شعيب عن ابيه عن جده قال قال رسول الله صلى الله وسلم كان يعلمهم من الفزع كلمات اعوذ بكلمات الله------------------- فعلقه عليه- (اخرجه ابو داؤد فى الطب)



এ হাদীছেও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (رضي الله عنه) কর্তৃক তাঁর বাচ্চাদের জন্য তাবীজ লিখে দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। ( আবু দাউদ)



❏ হাদিস ২৫:



عن ثوير قال كان مجاهد يكتب للناس التعويذ فيعلقه (اخرخه ابن ابى شيبة حديث رقم 24011)



و اخرج عن ابى جعفر و محمد بن شرين و عبيد الله بن عبد الله بن عمر و الضحاك ما يدل على انهم كانوا يبيحون كتابه التعويذ و تعليقه او ربطه بالعضد و نحوه- انظر حديث رقم -24012-24013-24015-24018)



এ রেওয়ায়েতে হজরত মুজাহিদ (رحمة الله) কর্তৃক মানুষকে তাবীজ লিখে দেয়ার কথা বর্ণিত আছে এবং আবু জাফর, মুহাম্মদ ইবনে শিরিন (رحمة الله) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه)-এর পুত্র উবায়দুল্লাহ ও জাহহাক প্রমুখের দ্বারা অন্যদেরকে তাবীজ লিখে দেয়ার কথা, সূতা বাঁধা, তাবীজ হাতে বা গলায় বাঁধা ও তাবীজ লেখা বৈধ হওয়া মর্মে তাঁদের মন্তব্য বর্ণিত হয়েছে।


তথ্যসূত্রঃ


(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা হাদীছ নং- ২৪০১১, ২৪০১২, ২৪০১৪, ২৪০১৫, ২৪০১৮)



”যাদুল মাআদ” নামক গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে – তাবিজ তুমার ধারন করা জায়েজ কিনা- এ প্রসংগে বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) তিনি হযরত ইমাম জাফর সাদিক (رضي الله عنه) কে প্রশ্ন করেন। হযরত ইমাম জাফর সাদিক (رضي الله عنه) বললেনঃ ”যদি আল্লাহর কালাম হয় অথবা রসুলুল্লাহর হাদিস হয়-তাহলে ধারণ করো এবং ঐ তাবিজের (উসীলার) মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শেফা প্রার্থনা কর”।


তথ্যসূত্রঃ  [যাদুল মাআদ]



ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (رحمة الله) এর পুত্র আবদুল্লাহ (رحمة الله) বলেন,


"আমি আমার পিতা ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলকে হৃদকম্পন রোগী ও জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য তাবিজতুমার লিখতে দেখেছি।"


তথ্যসূত্রঃ [আদিল্লাতু আহলিছ-সুন্নাহ ও অন্যান্য গ্রন্থ]

__________________

কিতাবঃ তাবিজ ও ঝাড়ফুঁকের বিধান

লেখক, অনুবাদক, সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন