সাহাবা ব্যতীত অন্য কারো জন্য (رَضِیَ اللهُ تَعَالٰی عَنۡہ) বলা কেমন?


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এ কথাটি সম্পূর্ণ ভুল, যে رَضِیَ اللهُ تَعَالٰی عَنۡہ শুধু সাহাবীর নামের সাথে নির্ধারিত। বা উল্লেখিত আয়াতের শেষাংশ:-


رضى الله عنهم ورضواعنه. ذلك لمن خشى ربه


(অর্থাৎ- আল্লাহ্ তাআলা তাদের উপর সন্তুষ্ট আর তারাও তাঁর উপর সন্তুষ্ট)। এটা তার জন্য, যে আপন মহামহিম আল্লাহ্ তাআলাকে ভয় করে।)


ওই সাধারণ লোকদের ভুল ধারণার মূলোৎপাটন করে দিয়েছে। আল্লাহ্ তাআলার ভয় রাখেন এমন প্রতিটি মু’মিনের জন্য এ মহা সুসংবাদ অবতীর্ণ হয়েছে। যে কেউ আল্লাহকে ভয় করে, সে رضى الله عنهم ورضواعنه এর অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে সাহাবী ও সাহাবী নয় এমন কারো কথা বিশেষ করে বলা হয়নি। প্রত্যেক সাহাবী ও প্রত্যেক ওলীর জন্য رحمة الله عليه লিখা ও বলা একেবারে সঠিক ও বৈধ। যিনি ঈমান সহকারে হুযুর পুরনূর صلى الله عليه وسلم এর প্রকাশ্য জীবদ্দশায় একটা মুহুর্তের সঙ্গও লাভ করেছেন, কিংবা দেখেছেন, আর ঐ ঈমানের উপর ইন্তেকাল করেছেন, তিনিই সাহাবী। বড় থেকে বড়তর ওলীও সাহাবীর মর্যাদা পেতে পারেন না। প্রতিটি সাহাবী ন্যায়পরায়ণ ও অকাট্যভাবে জান্নাতী। তাঁদের নামের সাথে যখন رضى الله تعالى عنه লিখা হবে, তখন অর্থ হবে ‘আল্লাহ্ তাআলা তাঁর উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর যখন সাহাবী নন এমন কারো জন্য লিখা কিংবা বলা হবে, তখন দোয়া সূচক অর্থ হবে। অর্থাৎ “আল্লাহ্ তাআলা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হোন!” رضى الله تعالى عنه এর কথাতে প্রাসঙ্গিকভাবে এসে গেলো, আসলে এটা বলার উদ্দেশ্য ছিলো যে, নামায, হজ্ব, যাকাত, গরীবদের সাহায্য, রোগীদের দেখা-শোনা, মিসকীনদের খবরাখবর নেয়া ইত্যাদি সবই সৎকাজ। এগুলোর বিনিময়ে জান্নাত পাওয়া যায়, কিন্তু রোযা এমন এক ইবাদত যার বিনিময়ে জান্নাতের মহান স্রষ্টা অর্থাৎ খোদ্ প্রকৃত মালিক আল্লাহ্কেই পাওয়া যায়। 

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন