সেহেরীর ফযীলত সম্পর্কে ৯টা বরকতময় হাদীস


(১) “সেহেরী খাও! কারণ সেহেরীতে বরকত রয়েছে।” (সহীহ বুখারী, ৬৩৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৯২৩)


(২) “আমাদের ও কিতাবী সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, সেহেরী খাওয়া।” (আল ইহসান বিতরতীবে সহীহ মুসলিম, ১ম খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১০৯৬)


(৩) “আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ সেহেরী আহারকারীদের উপর রহমত নাযিল করেন।” (সহীহ ইবনে হাব্বান, ৫ম খন্ড, ১৯৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৩৪৫৮)


(৪) নবীকুল সুলতান, সরদারে দো’জাহান, মাহবুবে রহমান, হুযুর পুরনূর صلى الله عليه وسلم নিজের সাথে যখন কোন সাহাবী رضى الله تعالى عنه কে সেহেরী খাওয়ার জন্য ডাকতেন, তখন ইরশাদ করতেন, “এসো! বরকতের খাবার খেয়ে যাও!” (সুনানে আবু দাউদ, ২য় খন্ড, ৪৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২৩৪৪)


(৫) “রোযা রাখার জন্য সেহেরী খেয়ে শক্তি অর্জন করো, আর দিনে (অর্থাৎ দুপুরে) আরাম (অর্থাৎ দুপুরে বিশ্রাম) করে রাতে ইবাদত করার জন্য শক্তি অর্জন কর!” (সুনানে ইবনে মাজাহ, ২য় খন্ড, ৩২১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৬৯৩)


(৬) “সেহেরী বরকতের বস্তু, যা আল্লাহ্ তাআলা তোমাদেরকে দান করেছেন। এটা কখনো ছাড়বে না।” (নাসায়ী আস্সুনানুল কুবরা, ২য় খন্ড, ৭৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২৪৭২)


(৭) “তিনজন লোক যতটুকু খেয়ে নিবে, اِنۡشَآءَ اللهِ عَزَّوَجَلَّ তাদের কোন হিসাব নিকাশ হবে না। এ শর্তে যে, খাদ্য যদি হালাল হয়। তারা হলো; “(১) রোযাদার, (২) সেহেরী আহারকারী ও (৩) মুজাহিদ, যে আল্লাহ্ তাআলার পথে ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা-রক্ষীর কাজ করে।” (আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খন্ড, ৯০ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-০৯)


(৮) “সেহেরী হচ্ছে সম্পূর্ণটাই বরকত। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো না। চাই এমনই অবস্থা হয় যে, তোমরা এক ঢোক পানি পান করে নিবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা ও তাঁর ফেরেশতাগণ সেহেরী আহারকারীদের উপর রহমত প্রেরণ করেন।” (মুসনাদে ইমাম আহমদ, ৪র্থ খন্ড, ৮৮ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১১৩৯৬)


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রিয় রাসুল, মা আমেনার বাগানের সুবাসিত ফুল, রাসুলে মাকবুল صلى الله عليه وسلم এর এসব বাণী থেকে আমরা এ শিক্ষা পাই যে, সেহেরী আমাদের জন্য একটা বড় নেয়ামত, যা দ্বারা অগণিত দৈহিক ও আত্মিক উপকার পাওয়া যায়। এ কারণে হুযুর صلى الله عليه وسلم সেটাকে বরকতময় খাবার বলেছেন। যেমন-


(৯) হযরত সায়্যিদুনা ইরবাদ্ব ইবনে সারিয়াহ رضى الله تعالى عنه বর্ণনা করেছেন, একবার রমযানুল মোবারকে মদীনার তাজেদার, নবীকুল সরদার, হুযুরে আনওয়ার صلى الله عليه وسلم আমাকে নিজের সাথে সেহেরী খাওয়ার জন্য ডাকলেন। আর ইরশাদ করলেন: “এসো! মোবারক খাবারের জন্য।” (সুনানে আবু দাউদ, খন্ড ২য়, ৪৪২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২৩৪৪)।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন