(এই সকল মাদানী ফুল তাফসীরে নঈমী ২য় খন্ড থেকে নেয়া হয়েছে)।
(১) কা'বা শরীফ মুসলমানদেরকে তার কাছে ডেকে রহমত প্রদান করে,কিন্তু এটা (মাহে রমযান) এসে রহমত বন্টন করে। এ বিষয়টা এমন যেন সেটা (কা'বা) একটা কূপ, আর এটা (রমযান শরীফ) হচ্ছে সমুদ্র। অথবা ওটা (অর্থাৎ কাবা) হচ্ছে সমুদ্র আর এটা (অর্থাৎ রমযান) হচ্ছে বৃষ্টি। (২) প্রতিটি মাসে বিশেষ বিশেষ কিছু দিন-তারিখ রয়েছে। আর তারিখগুলাের মধ্যেও বিশেষ মুহুর্তে ইবাদত-বন্দেগী করা হয়।। যেমন-ঈদুল আযহার কয়েকটা (বিশেষ) তারিখে হজ্জ, মুহররমের দশম দিন উত্তম, কিন্তু রমযান মাসে প্রতিদিন ও প্রতিটি মুহুর্তে ইবাদত করা হয় । রােযা ইবাদত, ইফতার ইবাদত, ইফতারের পর তারাবীর জন্য অপেক্ষা করা ইবাদত, তারাবীহ পড়ে সেহেরীর জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে ঘুমানাে ইবাদত, তারপর সেহেরী খাওয়াও ইবাদত। মােটকথা,প্রতিটি মুহুর্তে আল্লাহ তাআলার শান ও মহা বদান্যতাই নজরে পড়ে ) রমযান' হচ্ছে একটা ভাট্টি'। ভাট্টি হল অপরিস্কার লােহাকে পরিস্কার এবং পরিস্কার লােহাকে মেশিনের যন্ত্রাংশে পরিণত করে দামী করে দেয়, আর স্বর্ণকে অলংকারে পরিণত করে ব্যবহারের উপযুক্ত করে দেয়, তেমনিভাবে রমযান মাস গুনাহগারদের পবিত্র করে এবং নেককার লােকদের মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেয়। (৪) রমযানে নফলের সাওয়াব ফরযের সমান এবং ফরযের সাওয়াব সত্তর গুণ বেশি পাওয়া যায়। (৫) কিছু সংখ্যক আলিম বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমযানে মৃত্যুবরণ করে, তাকে কবরে প্রশ্ন করা হয় না।” (৬) এ মাসে শবে কদর রয়েছে। আগের আয়াত থেকে বুঝা গেলাে যে, কুরআন রমযান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ হচ্ছে: ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺪْﺭِ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় আমি সেটাকে কুদর রাত্রিতে অবতরণ করেছি। (পারা-৩০, সূরা-কদর, আয়াত-১)
উভয় আয়াতকে মিলালে বুঝা যায় যে, শবে কদর রমযান মাসেই। আর তা ২৭তম রাতে হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। কেননা, লায়লাতুল ক্বদর এর মধ্যে ৯টি বর্ণ আছে, আর এ শব্দ দু'টি সূরা ক্বদরে তিনবার করে ইরশাদ হয়েছে। যার গুণফল দাঁড়ায় ২৭ (সাতাশ)। সুতরাং বুঝা গেলাে সেটা (শবে ক্বদর) ২৭ তম রাতেই।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন