এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে অপবাদ দিল যে, তুমি (নিজ ভাইয়ের স্ত্রীর) ভাবির সাথে অপকর্ম বা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। অথচ উক্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এখন শরয়ী বিধান মতে অভিযুক্ত ব্যক্তির পিছনে ইকতিদা করা জায়েয হবে কি না?

 

❏ প্রশ্ন-৯১: এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তিকে অপবাদ দিল যে, তুমি (নিজ ভাইয়ের স্ত্রীর) ভাবির সাথে অপকর্ম বা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে। অথচ উক্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এখন শরয়ী বিধান মতে অভিযুক্ত ব্যক্তির পিছনে ইকতিদা করা জায়েয হবে কি না।

✍ উত্তর: বাস্তবিক পক্ষে যদি প্রশ্ন সঠিক হয় এবং এটা পক্ষান্তরে ভিত্তিহীন অভিযোগ। অভিযোগকারী ব্যক্তি যদি তাওবা না করে, তাহলে অপবাদ দেয়ার কারণে উক্ত ব্যক্তি ফাসেক হিসেবে গণ্য হবে। অতএব দ্বীনদার মুত্তাকী ও পরহেজগার লোক তার পেছনে ইক্তিদা করা মাকরূহে তাহরীমী। হ্যাঁ! একথা স্মরণ রাখবে যে, একাকী নামায পড়ার চেয়ে ফাসেকের ইকতিদায় জামাতে নামায পড়া উত্তম।



ولو صلى خلف مبتدع او فاسق فهو محرز ثواب الجماعة لكن لا ينال مثل ما ينال خلف تقى.



‘কেউ যদি ফাসেক বা বিদআতীর পেছনে নামায পড়ে সে জামাতের সাওয়াব পাবে। কিন্তু মুত্তাকি ইমামের ইকতিদার সমতুল্য সাওয়াব পাবে না।’


126. খোলাসাতুল ফাতওয়া, পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ: ইমামের ইকতিদা প্রসঙ্গে, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৫০।

________________

কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন