❏ প্রশ্ন-৮৯: ইস্তিসকার নামায ছাড়া অন্য কোন শরয়ী পদ্ধতি অনুমোদন আছে কিনা? অর্থাৎ- কোনো কোনো এলাকায় ইস্তেসকার নামাযের পরিবর্তে এ নিয়ম প্রচলিত আছে, এশার নামাযের পর এক ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন শরীফ শুরু থেকে প্রথম মুবীন পর্যন্ত তিলাওয়াত করে। অতঃপর এক ব্যক্তি উচ্চকন্ঠে নামাযের সুন্নাত আযানের মত আযান দেয়া শুরু করে এবং আরো অনেক কিছু করে। পরিশেষে এক লম্বা দু‘আর মাধ্যমে এর যবনিকাপাত করে। বৃষ্টির জন্য এ ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করা কী জায়েয?
✍ উত্তর: ইস্তিসকার নামাযের পরিবর্তে এমন নিয়ম সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। হ্যাঁ! যদি কোন আল্লাহর সাহেবে বেলায়ত ওলি ও দরবেশ-বুযূর্গ কোনো বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করেন, তাহলে সেটা হবে তাঁর জন্য খাস। সর্বসাধারণের জন্য নয়। সার্বজনীন নিয়ম যা প্রচলিত আছে তা হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। বৃষ্টিবর্ষণ মহান আল্লাহ তা‘আলার দয়া, মেহেরবানী ও অনুগ্রহের ওপর নির্ভরশীল এবং এটা আল্লাহর ইচ্ছাধীন। তিনি যা চান তাই করেন- فَعَّالٌ لِمَا يُرِيْدُ আল্লাহ'র নিকট দু‘আ প্রার্থনা করা, বৃষ্টি চাওয়া- এটা প্রত্যেক সময়, প্রত্যেক অবস্থায় এবং যে কোনো পদ্ধতিতে জায়েয, বৈধ, মুসতাহসান ও মনদুব।
________________
কিতাবঃ ফতোয়ায়ে আজিজি (২য় খন্ড)
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন