‘কছিদায়ে গাউছিয়া’ গাউছে পাকের স্বরচিত কছিদা কি-না?
সে সম্পর্কে বর্ণনা
প্রশ্ন: কতেক লোক গাউছে পাক (رحمة الله) এর স্বরচিত কছিদা বা شعار গুলো সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে থাকে এ মর্মে যে, এগুলো গাউছে পাকের কি না?
এ প্রশ্নের জবাব হলো: জানা আবশ্যক যে, কোন ব্যক্তি যখন কোন كلام এর অর্থ বা প্রকৃত মর্ম বা রহস্য বা মর্মনিহিত অবস্থা বুঝতে পারে না, তখন এটা তাঁর كلام নয় বলার চেষ্টা চালিয়ে থাকে এবং ওটার প্রমাণ তালাশ করে। এমন লোকদের ব্যাপারে কিছু করার বা বলার কি থাকতে পারে?
জানা আবশ্যক যে, ثبوت বা প্রমাণ দুই প্রকার হতে পারে। একটি হলো ثبوت كسبى অর্থাৎ কোন কথা বা বক্তব্য নিজের বলে দাবী করা। দ্বিতীয় হলো এমন কথা, বক্তব্য বা বাণী শত শত বছর পূর্ব হতে ইলম বিশারদ ও সত্যবাদী হযরতগণের কোন মতবিরোধ ছাড়াই কোন সম্মানিত বুযুর্গের বাণী বলে প্রচারিত ও প্রসিদ্ধি লাভ করা।
লক্ষ্য করুন, فقه اكبر নামক কিতাবটি হানাফী মাজহাবের একটি বিশ্ববিখ্যাত আক্বায়েদগ্রন্থ। এই কিতাবখানা একদিক দিয়ে ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) এর কিতাব হিসেবে প্রমাণিত নয়। অবশ্য এককালে এই কিতাবখানা তাঁর দিকে সম্পৃক্ত হতে থাকে। যদিও কতেক মুহাক্কেকীন এ বিষয়ে বিরুদ্ধাচরণ করে থাকেন।
তেমনিভাবে جامع محمد بن اسماعيل بخارى প্রখ্যাত হাদীসের বিশুদ্ধ কিতাব ইমাম মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল (رحمة الله) এর সহীহ বুখারী শরীফ ব্যাপকভাবে প্রসিদ্ধি লাভ করায় কোন মতবিরোধ ছাড়াই তাঁর রচিত কিতাব বলে মেনে নেয়া হয়। কিন্তু এটা যে তাঁরই কিতাব উল্লেখিত প্রমাণ ছাড়া আর কোন প্রমাণ নেই। এ কারণে যে, অন্যান্য সকল গ্রন্থকার এর মত ইমাম বুখারী (رحمة الله) الفت আমি সংকলন করেছি অথবা صنفت আমি গ্রন্থখানা লিখেছি এমন কোন কিছুই তিনি বলেননি। এ جامع এর কোন কোন পাণ্ডুলিপির প্রারম্ভে قال الامام অর্থ ইমাম বলেছেন, এ কথাটি লেখা আছে। সুতরাং এর দ্বারা বুঝা যায় এ বক্তব্যটি তাঁর কোন ছাত্রই লিখে থাকতে পারেন। তাই বলে, কোন আলেমই এ ব্যাপারে কোন রকম সন্দেহ পোষণ করেনি এবং করছে না।
কিন্তু গাউছে পাক (رحمة الله) এর কছিদাগুলো তাঁরই বাণী হওয়ার ব্যাপারে দুটি কারণে প্রমাণিত। আর এ সম্পর্কটা কোন আচমকা নয়। হুজুর গাউছে পাক (رحمة الله) বলেন: اَنَا الْجِيْلِىْ مُحِىُّ الدِّيْنِ اِسْمِىْ আমি জিলান এর অধিবাসী আমার নাম মুহীউদ্দীন অর্থাৎ আমি দ্বীন ইসলামকে পুনর্জীবন দানকারী। وَعَبْدُ الْقَادِرِ الْمَشْهُوْرُ আর আমার প্রসিদ্ধ নাম হচ্ছে আবদুল কাদের। এ বক্তব্যগুলো দ্বারা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, কথাগুলো স্বয়ং গাউছে পাকই বলেছেন এবং কথাগুলো দ্বারা বরং গাউছে পাকের প্রতি সম্পৃক্ত হওয়াটা বিশ্বে এমন সুপ্রসিদ্ধি লাভ করেছে বরং تواتر এর সীমা হতে আরও এগিয়ে আছে।
অতএব, কোন মতবিরোধ ছাড়াই উপরোলিখিত বহুল প্রচারিত দাবীর ব্যাপারেও যদি সন্দেহ পোষণ করা হয় তাহলে তো বহু ধর্মীয় কিতাব যেগুলোর সম্পর্ক গ্রন্থকারগণের প্রতি করা হয়েছে তাও বাতিল হয়ে যাবে।
_____________
কালামুল আউলিয়া ফি শানে ইমামিল আউলিয়া
রহমাতুল্লাহে তায়ালা আলাইহিম আজমাঈন
রচনায়:মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী
অনুবাদ: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ নুরুল আলম খাঁন
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন