মোয়ায্যিন পাক পবিত্র হয়ে অযু করে ক্বিবলামুখী হয়ে আযান দিবে। আযানের বাক্য সমূহ নিম্নে দেয়া হলো।
اَللهُ اَكْـبَـرُ
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার (৪ বার)।
অর্থ: আল্লাহ মহান।
اَشْهَدُ اَنْ لَآ اِلٰـهَ اِلَّا اَللهُ
উচ্চারণ: আশহাদু আন্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু (২ বার)।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই।
اَشْـهَـدُ اَنَّ مُـحَمَّـدًا رَّسُـوْلُ اللهِ
উচ্চারণ: আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ (২বার)।
অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল।
حَـىَّ عَـلٰـى الصَّـلٰـوةِ
উচ্চারণ: হাইয়্যা আলাস্ সালাহ্ (২ বার)। (ডান দিকে মুখ করে)
অর্থ: নামাযের জন্য আসুন।
حَــىَّ عَـلٰى الْـفَـلَاحِ
উচ্চারণ: হাইয়্যা আলাল ফালা-হ্ (২ বার)। (বাম দিকে মুখ করে)
অর্থ: কল্যাণের দিকে আসুন।
ফজরের আযানে অতিরিক্ত বলতে হবে-
الـصَّـلٰوةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّـوْمِ
উচ্চারণ: আস্ সালাতু খাইরুম মিনান্ নাওম (২ বার)।
অর্থ: ঘুম হতে নামায উত্তম।
اَللهُ اَكْـبَـرُ
উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার (২ বার)।
অর্থ: আল্লাহ মহান।
لَآ اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (১ বার)।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই।
ইকামতের সময় حَــىَّ عَـلَى الْـفَـلَاحِ এরপর নিচের বাক্য দু’টি অতিরিক্ত বলতে হয়-
قَدْ قَامَتِ الصَّلوَةُ
উচ্চারণ: ক্বাদ্মাতিস্ সালাহ্
অর্থ: নিশ্চয়ই নামাযের জামাত দাঁড়ানো হয়েছে।
قَدْ قَامَتِ الصَّلوَةُ
উচ্চারণ: ক্বাদ্মাতিস্ সালাহ্
অর্থ: নিশ্চয়ই নামাযের জামাত দাঁড়ানো হয়েছে।
আযানের জওয়াব নিম্নরূপ
🌱মেয়ায্যিন যখন اَللهُ اَكْبَـرُ (আল্লাহু আকবার) বলবে,
জবাবে শ্রবণকারীরাও মনে মনে اَللهُ اَكْبَـرُ (আল্লাহু আকবার) বলবে।
🌱মোয়ায্যিন যখন اَشْهَدُ اَنْ لَآ اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ (আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বলবে,
জবাবে শ্রবণকারীরাও মনে মনে اَشْهَدُ اَنْ لَآ اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ (আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহ) বলবে।
🌱মোয়ায্যিন যখন اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدَ ارَّسُوْلُ اللهِ বলবে,
জ্ঞাতব্য যে, আজানের প্রথম শাহাদাত-
(আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ) শ্রবণ পূর্বক صلَّى اللهُ عَلَيْكَ يَا رَسُوْلَ الله (সাল্লাল্লাহু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ্) এবং দ্বিতীয় শাহাদাত শ্রবণ পূর্বক-
قُرَّةُ عَيْنِىْ بِكَ يَا رَسُوْلَ الله
(ক্বুররাতু আইনী বিকা ইয়া রাসূলাল্লাহ্।
অর্থ: হে আল্লাহর রসূল (ﷺ)! আপনি আমার চোখের প্রশান্তি) বলা মুস্তাহাব।
অতঃপর বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বয়ের নখ চুম্বন করত: নিজ চোখের উপর লাগাবে এবং বলবে اَللّٰهُمَّ مَتِّعْـنِىْ بِالسَّمْعِ وَالْبَصَرِ (আল্লাহুম্মা মাত্তি‘নী বিছ্ছাময়ি ওয়াল্ বার্ছা। অর্থ: হে আল্লাহ্! শ্রবণ শক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দ্বারা আমাকে উপকৃত করুন)। উক্ত আমলকারীকে হুযুর (ﷺ) তাঁর পিছে পিছে জান্নাতে নিয়ে যাবেন। অর্থাৎ হুযুর (ﷺ) উক্ত আমলকারীকে সাথে করেই জান্নাতে যাবেন।
(ফতোয়ায়ে শামী, ১ম খণ্ড, ২৭০ পৃষ্ঠা, কান্যুল উব্বাদ, ফতোয়ায়ে ছুফীয়া ও তাফসীরে রূহুল বায়ান ইত্যাদি)
(এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আমার লিখিত “রাসূল (ﷺ)’র নাম মোবারক শ্রবণে বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা চুম্বন বিধান” বইটি দেখুন)।
🌱মোয়ায্যিন যখন حَـىَّ عَلَى الصَّلٰوةِ (হাইয়্যা আলাস সালাহ) বলবে।
জবাবে শ্রবণকারীরা মনে মনে لَا حَوْلَ وَلَا قُـوَّةَ اِلَّا بِاللهِ اَلَعَلِـىِّ الْعَظِيْم (লা-হাওলা ওয়া লা-কুয়্যাতা ইল্লা-বিল্লাহ্ হিল্ আলিয়্যীল আ’জিম) বলবে।
🌱মোয়ায্যিন যখন حَـىَّ عَلَى الْفَلَاحِ (হাইয়্যা আলাল ফালাহ) বলবে,
জবাবে শ্রবণকারীরা মনে মনে مَا شَآءَ اللهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَآءُ لَمْ يَكُنْ (মা শা-আল্লাহু কানা ওয়ামা লাম্ ইয়াশাউ লাম্ইয়াকুন্) বলবে।
🌱ফযরের সময় মোয়ায্যিন যখন اَلصَّلٰوةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْمِ বলবে, জবাবে শ্রবণকারীরা মনে মনে صَدَقْتَ وِبِالْحَقِّ نَطَقْتَ وَبَرَرْتَ(ছদাক্তা ওয়াবিল্ হাক্কী নাতাক্তা ওয়া বার্রাতা) বলবে।
🌱মোয়ায্যিন যখন اَللهُ اَكْبَـرُ বলবে।
জবাবে শ্রবণকারীরা মনে মনে اَللهُ اَكْـبَـرُ বলবে।
মোয়ায্যিন যখন لَآ اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ বলবে।
জবাবে শ্রবণকারীরাও মনে لَآ اِلٰـهَ اِلَّا اللهُ বলবেন।
আযানের দু‘আ
اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰـذِه الـدَّعْـوَةِ التَّـامَّـةِ وَالـصَّلوٰةِ الْقَائِـمَةِ . اٰتِ سَيِّدِنَا مُحَمَّـدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَالدَّرَجَـةَ الرَّفِيْعَةَ وَابْـعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَنِ الَّذِىْ وَعَـدْتَـهُ وَارْزُقْنَا شَفَاعَتَه يَوْمَ الْقِيَامَةِ . اِنَّكَ لَا تُـخْلِفُ الْـمِيْعَادِ .
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-যিহিদ্ দা’ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি, ওয়াছ্ছ্লা-তিল ক্বা-য়িমাতি আ-তি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাযীলাতা ওয়াদ্দারাজাতার রাফী’আতা, ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম্ মাহমুদানিল্লাযী ওয়া‘আত্তাহ্, ওয়ার যুক্বনা সাফা-আতা-হু ইয়াউমাল কিয়ামাহ্, ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আদ্।
অর্থ: হে আল্লাহ ! তুমিই এ পরিপূর্ণ আহবান ও শাশ্বত (প্রতিষ্ঠিত) নামাযের প্রতিপালক। হযরত সৈয়্যদুনা মুহাম্মদ (ﷺ)কে দান করুন সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান ও সুমহান মর্যাদা আর তাঁকে অধিষ্ঠিত করুন প্রশংসিত স্থান, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ। আর আমাদেরকে কিয়ামতের দিন তাঁর শাফায়াত নসিব করুন। নিশ্চয়ই তুমি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করো না।
___________________
গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন