নামায


প্রথমে নামাযি অযু করে কিবলামুখী হয়ে জায়নামাযে দাঁড়াবে। এরপর জায়নামাযের দু‘আ পাঠ করবে।


জায়নামাযের দু‘আ

اِنِّـى وَجَّهْتُ وَجْهِـىَ لِلَّذِىْ فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْاَرْضَ حَنِيْفًا وَمَا اَنَا مِنَ الْـمُشْرِكِيْـنَ .


উচ্চারণ: ইন্নি ওয়ায্যাহাতু ওয়ায্হীয়া লিল্লাযি ফাতারাস্ সামাওয়াতে ওয়াল্ আরদ্বা হানিফান্ ওয়ামা আ-না মীনাল্ মুশ্রিকীনা।


অর্থ: নিশ্চয়ই আমি একনিষ্ঠভাবে তাঁর দিকে মুখ ফিরালাম, যিনি আকাশ সমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের     অন্তর্ভূক্ত নই।


(অতঃপর নামাযের নিয়্যত করবে)



তাকবীরে তাহরিমা


اَللهُ اَكْـبَـرُ (আল্লাহু আকবর) আল্লাহ্ মহান।



নিয়ত শেষে اللهُ اَكْـبَـرُ (আল্লাহু আকবর) বলে নামায শুরু করবে। এরই নাম তাকবিরে তাহরিমা। তাকবিরে তাহরিমা বলার সময় পুরুষ দু’কান পর্যন্ত এবং মহিলা দু’কাঁধ পর্যন্ত দু’হাত উঠাবে। পুরুষ নাভীর নিচে ডান হাত দিয়ে বাম হাতের কব্জি চেপে ধরবে। মহিলা বুকের উপর বাম হাতের উপর ডান হাত রাখবে। তারপর ছানা পাঠ করবে।


ছানা



سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ، وَلَآ اِلٰـهَ غَيْرُكَ.


উচ্চারণ: সুব্হানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহাম্দীকা, ওয়াতাবা রাকাস্মুকা ওয়া তা’আ-লা যাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা।


অর্থ: হে আল্লাহ্! তোমার সত্তা পবিত্র এবং সৌন্দর্য্য, প্রশংসিত ও বরকতময়। তোমার নাম ও মর্যাদা উচ্চ। আর তুমি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।


ছানা পাঠ করার পর আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা এবং যে কোনো একটি সূরা বা আয়াত পাঠ করবে। তারপর আল্লাহু আকবর বলে রুকুতে যাবে। নিচের তাসবিহটি তিনবার, পাঁচবার বা সাতবার পড়বে।


রুকূর তাসবীহ্:-


  سُبْـحَانَ رَبِّـىَ الْـعَظِـيْـمِ (৩ বার)  


উচ্চারণ: সুব্হা-না রাব্বিয়াল্ আ’যীম্।


অর্থ: আমার মহান প্রতিপালক পবিত্র।



রুকুর তাসবিহ্ পাঠ শেষ হলে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় তাসমি‘ পড়বে-


তাসমী              سَمِـعَ اللهُ لِـمَنْ حَـمِـدَه .


উচ্চারণ: সামী আল্লা-হু লীমান্ হামিদা।


অর্থ: যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাকের প্রশংসা করে তিনি তা শ্রবণ করেন। রুকু হতে সোজা দাঁড়ানো অবস্থায় নিচের তাহমিদ পড়বে।



তাসমীর পরে তাহমীদ   رَبَّـنَا لَكَ الْـحَمْـدُ .  


উচ্চারণ: রাব্বানা লাকাল্ হাম্দ।


অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক, সকল প্রশংসা তোমারই জন্যে।


এরপর আল্লাহু আকবর বলে সিজদায় যাবে। প্রথমে মাটিতে দু-হাঁটু, পরে দু-হাত, এরপর নাক ও কপাল রাখবে। সিজদায় নিচের তাসবিহ পড়বে।



সিজদার তাসবীহ


سُبْحَانَ رَبِّـىَ الْاَعْـلٰـى .  (৩ বার)


উচ্চারণ: সুব্হা-না রাব্বিয়াল আ‘লা।


অর্থ: আমার সুমহান মর্যাদাবান প্রতিপালক পবিত্র।



এরপর আল্লাহু আকবর বলে সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে সোজা হয়ে বসবে। তারপর আল্লাহু আকবর বলে আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবিহ পড়বে। অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সোজাসুজি দাঁড়িয়ে যাবে। প্রথম রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা ফাতিহা এবং অন্য কোনো একটি সূরা পাঠ করবে। আর রুকু ও সিজদা শেষ করে বসবে এবং তাশাহুদ তথা আত্তাহিয়্যাতু পড়বে।

___________________

গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন