নুকাবা, নুজাবা, আবদাল ও গাউছ ইত্যাদি পদবীর সংখ্যা ও বাসস্থান

 

নুকাবা, নুজাবা, আবদাল ও গাউছ ইত্যাদি পদবীর সংখ্যা ও বাসস্থান


মাসয়ালা:

قَالَ اِبْنُ الْعَرَبِـى قَدَّسَ اللهُ سِرَّه الْعَزِيْزَ مِنْ رِجَالِ اللهِ تَعَالٰى رَجُلٌ وَاحِدُ وَإِمْرَأَةٌ قَدْ يَكُوْنُ فِـىْ كُلِّ زَمَانٍ وَهُوَ الْقَاهِرُ فَوْقَ عِبَادِه لَه الْإِسْتِطَاعَةَ عَلٰى كُلِّ شَىٍْ قَالَ وَكَانَ صَاحِبُ هٰذَا الْمَقَامِ عَبْدُ الْقَادِرِ أَلْجِيْلَانِى بِبَغْدَادَ .

অনুবাদ: হযরত সাইয়্যেদেনা ইবনুল আরবী (رحمة الله) বলেন, আল্লাহ্ তায়ালার খাছ আউলিয়াগণ হতে একজন মহাপুরুষ এবং কখনো একজন মহিয়সী নারী প্রত্যেক যুগে আবির্ভাব হয়ে থাকে যে, যিনি আল্লাহর প্রত্যেক বান্দাগণের উপর অসাধারণ ক্ষমতা রাখেন এবং প্রত্যেক কিছুর উপর তার সক্ষমতা রয়েছে। তিনি বলেন, আর এ مقام এর অধিকারী হচ্ছেন বাগদাদের হযরত সাইয়্যেদেনা আবদুল কাদের জিলানী (رحمة الله)।

قَالَ سِرَاجُ الحِرَمِ اَبُوْ بَكَرِ الْكَتَّانِـىُّ قَدَّسَ سِرَّه النُّقْبَاءُ ৩০০ أَلنُّجْبَاءُ ৭০ أَبْدَالُ ৪০ أَلْاَخْيَارُ ৭ الْعَمَدُ ৪ أَلْغَوْثُ ১.  مَسْكَنُ النُّقْبَاءِ الْمَغْرِبُ وَمَسْكَنُ النُّجْبَاءِ مِصْرُ وَمَسْكَنُ الْأَبْدَالِ أَلشَّامُ وَالْأَخْيَارُ سَيَّاحُوْنَ وَالْعَمَدُ فِـىْ زَوَايَا الْأَرْضِ وَمَسْكَنُ الْغَوْثِ مَكَّةُ كَمَا قَالَه الشَّيْخُ مُؤْمِنُ بْنُ حَسَنِ الشَّلَنْجِىْ مِنْ عُلَمَاءَ الْقَرَنِ الثَّالِثِ عَشَرَ الْهِجْرِى ১৩০০

অনুবাদ: সিরাজুল হেরেম হযরত আবু বকর কাত্তানী (رحمة الله) বলেন, নুকাবাগণের সংখ্যা হলো তিনশতজন। নুজাবাগণের সংখ্যা হলো সত্তরজন। আবদালগণের সংখ্যা হলো চলি­শজন। আখইয়ার-গণের সংখ্যা হলো সাতজন। আল্ আমাদগণের সংখ্যা হচ্ছে চারজন। আর গাউছ হলেন একজন।



১৩০০ শতাব্দীর উলামাগণের অন্যতম বুজুর্গ হযরত শায়খ মোমেন ইবনে হাসান আশ শলঞ্জী (رحمة الله) বলেন, নুকাবাগণের বাসস্থান পৃথিবীর পশ্চিম প্রান্তে। নুজাবাগণের বাসস্থান মিশরে। আবদালগণের বাসস্থান সিরিয়ায়। আর আখইয়ারগণ সারা পৃথিবীতে বিচরণ করে থাকেন। আর আল আমাদগণ সমগ্র পৃথিবীর সকল স্থানে তারা অবস্থিত। আর গাউছ এর বাসস্থান মক্কায়ে মুর্কারমায়।



হুজুর গাউছে পাক (رحمة الله) বলেন:



اِنَّ الْاَشْقِيَاءَ وَالسُّعَدَاءَ يُعْرَضُوْنَ عَلَـىَّ وَاَنَّ عَيْنِىْ فِـىْ اللَّوْحِ الْمَحْفُوْظِ .



অর্থ: নিশ্চয় প্রত্যেক গুনাহগার ও নেক্কার বান্দাদেরকে আমার সামনে পেশ করা হয়। আর নিশ্চয় লওহে মাহফুজে আমার দৃষ্টি নিবন্ধ রয়েছে।

_____________

কালামুল আউলিয়া ফি শানে ইমামিল আউলিয়া

রহমাতুল্লাহে তায়ালা আলাইহিম আজমাঈন

রচনায়:মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী

অনুবাদ: অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ নুরুল আলম খাঁন

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন