এক ইহুদী পুরুষ একজন ইহুদী নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে তার প্রেমে এরূপ পাগলের মত হয়ে গেল, পানাহারের প্রতি খেয়াল থাকতাে না। পরিশেষে হযরত সায়্যিদুনা আতাউল আকবর (رحمة الله) এর বরকতপূর্ণ খিদমতে উপস্থিত হয়ে নিজের অবস্থার কথা বর্ণনা করল। তিনি একটি কাগজেبسم الله الر حمن الر حيم লিখে দিলেন আর বললেন:“এটা গিলে ফেললা এই আশাতে, যাতে আল্লাহ্ তাআলা তােমাকে এ ব্যাপারে শান্তি দান করেন অথবা তােমাকে এর মাধ্যমে মেহেরবানী করেন।” যখন উক্ত ইহুদী এটা গিলে ফেললাে ব্যস! গিলতেই তার অন্তরে মাদানী পরিবর্তন সৃষ্টি হয়ে গেল। অতঃপর সে
আরয করল: “ওহে আতা! আমি ঈমানের মিষ্টতা পেয়েছি। আর আমার অন্তরে নূর প্রকাশ পেয়ে গেছে। আমি ঐ নারীর (প্রেম) ভুলে গেছি। আমাকে ইসলাম সম্পর্কে অবহিত করুন। হযরত সায়্যিদুনা আ'তা (رحمة الله) তার প্রতি ইসলামের দাওয়াত পেশ করলেন আর সে بسم الله এর বরকতে মুসলমান হয়ে গেল। অপরদিকে ঐ ইহুদী নারী যখন তার ইসলাম গ্রহণের খবর শুনল, তখন হযরত সায়্যিদুনা আতাউল আকবর (رحمة الله) এর মহান দরবারে উপস্থিত হয়ে আরয করল: “ওহে মুসলমানদের ইমাম! আমিই সে নারী যার কথা ইসলাম গ্রহণকারী ইহুদী আপনাকে বলেছিল। আমি গত রাতে স্বপ্ন দেখেছি, এক আগন্তুক আমার নিকট এসে বলতে লাগল: “যদি তুমি জান্নাতে নিজের ঠিকানা দেখতে চাও, তাহলে সায়্যিদুনা আতাউল আকবর (رحمة الله) এর সমীপে উপস্থিত হও। তিনি তােমার ঠিকানা বলে দিবেন।” তাই আমি আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। বলুন; “জান্নাত কোথায়?” তিনি বললেন: “যদি জান্নাত লাভের ইচ্ছা থাকে তাহলে তােমাকে প্রথমে তার দরজা খুলতে হবে, এরপরই তুমি (আপন ঠিকানার) দিকে যেতে পারবে।”
মেয়েটি আরয করল: “আমি এর দরজা কিভাবে খুলতে পারব?” তিনি । বললেন:بسم الله الر حمن الر حيم পাঠ কর।" সেبسم الله শরীফ পাঠ করল। “ব্যস! পাঠ করতেই তার অন্তরে মাদানী পরিবর্তন সৃষ্টি হল সুতরাং সে বলতে লাগল: ওহে আতা (رحمة الله) আমি আমার অন্তরে নূর পেয়ে গেছি এবং আল্লাহ্ তাআলার সৃষ্টি জগৎ কে দেখে নিয়েছি। আমাকে ইসলাম সম্পর্কে অবহিত করুন।" তিনি (رحمة الله) তার নিকট ইসলামের দাওয়াত পেশ করলেন। তখনبسم اللهশরীফের বরকতে সেও মুসলমান হয়ে গেল। অতঃপর নিজের ঘরে ফিরে ঐ রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়ল। তখন স্বপ্নে জান্নাতে প্রবেশ করল আর সে জান্নাতের মহল ও গম্বুজ দেখল এবং এর মধ্য থেকে একটি গম্বুজের উপর লিখা ছিল:
بسم الله الر حمن الر حيم لا اله الا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم
সে এটা যখন পাঠ করল তখন একজন আহবানকারী বলছিল, “ওহে পাঠকারীনি! যা তুমি পাঠ করেছ, আল্লাহ্ তাআলা সব কিছু তােমাকে দান করে দিয়েছেন।" মেয়েটি জেগে উঠল এবং আরয করল: হে আল্লাহ! আমি জান্নাতে প্রবেশ করেছিলাম। তুমি পুনরায় আমাকে তা থেকে বের করে দিয়েছাে। ওহে আল্লাহ! আমাকে আপন পরিপূর্ণ কুদরতের ওসীলায় দুনিয়ার চিন্তা থেকে মুক্তি দান কর।” যখন সে দোয়া শেষ করল তখন ঘরের ছাদ ভেঙ্গে তার উপর পড়ল আর সে শহীদ হয়ে গেল। আর আল্লাহ্ তাআলাبسم الله الر حمن الر حيمএর বরকতে তাঁর উপর দয়া প্রদর্শন করলেন। (কালইউবী, ঘটনা ২৬, ২২,২৩ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ্ তাআলার রহমত অনেক অনেক বড়। তিনি নিজ দয়া ও অনুগ্রহে মানুষকে তাঁর ওলীর আস্তানায় পাঠিয়ে। অনেক বড় হতভাগা ব্যক্তির তাকদীর পরিবর্তন করে দেন।الحمد الله عزوجل কুরআন ও সুন্নাতের বিশ্বব্যাপী অরাজনৈতিক সংগঠন দা'ওয়াতে ইসলামীর ছােট বড় প্রত্যেকে আল্লাহর ওলীদের গােলামীর জন্য গর্বিত। আউলিয়ায়ে কিরামদের গােলামও যখন ইখলাসের সাথে আশিকানে রাসুলদের মাদানী কাফেলা সমূহে সফর করে নেকীর দাওয়াত দেন তখন অনেক সময় কাফির পর্যন্ত ইসলামের ছায়াতলে এসে যায়। যেমন- মাদানী কাফেলার একটি বাহার লক্ষ্য করুন।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন