আইয়ামুন নাহর তথা কুরবানির দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং যার উপর কুরবানি ওয়াজিব ছিল সে কুরবানি করে নাই, তখন কুরবানি বাদ হয়ে গেছে, এখন করলে হবে না। তবে কুরবানির পশু কিনে থাকলে তা সদকা করে দিবে, অথবা না কিনলে এর সমপরিমাণ মূল্য সদকা করে দিবে।
কুরবানির দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে এবং কুরবানিও করে নাই, আবার পশু অথবা এর মূল্যও সদকা করে নাই, এ অবস্থায় দ্বিতীয় কুরবানির ঈদ চলে এসেছে, এখন সে ব্যক্তি পূর্বোক্ত বছরের কুরবানি কাযা করলে হবে না। বরং এখনো ঐ হুকুমই যে, পশু অথবা এর মূল্য সদকা করবে।৮২
৮২ - ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী।
যে পশু কুরবানি ওয়াজিব ছিল, কুরবানির সময় কুরবানি না করে কুরবানির দিন অতিবাহিত হওয়ার পর এটাকে বেঁচে দিল, তবে এর মূল্যটা সদকা করা ওয়াজিব। ৮৩
৮৩ - ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী।
কুরবানি করার সময় পশুতে ত্রুটি সৃষ্টি হলে:
কুরবানি করার সময় পশুর লাফ-ঝাঁপ দেয়ার কারণে কিংবা অন্য যে কারনেই পশুতে ত্রুটি সৃষ্টি হয়ে থাকলে, এতে কুরবানি হয়ে যাবে। ৮৪
৮৪ - ফাতওয়ায়ে শামী।
পশু কেনার পর মারা গেলে বা হারিয়ে গেলে:
কুরবানির পশু কেনার পর মারা গেছে, তখন ধনী ব্যক্তির উপর আবশ্যক যে অন্য আরেকটি পশু কুরবানি করবে। আর দরিদ্র ব্যক্তির উপর তা ওয়াজিব নয়। ৮৫
৮৫ - ফাতওয়ায়ে শামী।
যদি কুরবানির পশু হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় এবং এর স্থানে অন্য পশু ক্রয় করে ফেলেছে, এমতাবস্থায় হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়া পশুটি আবার ফিরে পেয়েছে, তখন ধনী ব্যক্তির এখতিয়ার রয়েছে যে দুটোর মধ্যে যে কোন একটি কুরবানি করবে। আর দরিদ্র ব্যক্তি দুটোই কুরবানি করতে হবে। তবে ধনী ব্যক্তি যদি দ্বিতীয় পশুটিকে কুরবানি করে এবং এর মূল্য প্রথমটি হতে কম হয়, তবে যে মূল্যটা প্রথমটি হতে কম হয়েছে তা সদকা করে দিতে হবে। কিন্তু প্রথমটিও কুরবানি করে দিলে আর সদকা ওয়াজিব থাকবে না। ৮৬
৮৬ - ফাতওয়ায়ে শামী।
পশুর পেটে বাচ্চা পাওয়া গেলে:
কুরবানি করা হয়েছে এবং কুরবানিকৃত পশুটির পেটে জীবিত বাচ্চা পাওয়া গেছে, তখন বাচ্চাটি সদকা করে দিবে অথবা এটাকে জবাই করে দিবে। আর যদি বাচ্চাটি মৃত পাওয়া যায়, তবে এটা ফেলে দিবে। কেননা তা মৃত; কুরবানি হয়ে যাবে। - বাহারে শরিয়ত।
পশু কেনার পর শরিকদারের মৃত্যু হলে:
কয়েকজন অংশীদার মিলে কুরবানির জন্য একটি গরু ক্রয় করল, অতঃপর এদের মধ্যে একজন শরিকদারের মৃত্যু হয়ে গেল, তখন মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশগণ যদি অন্যান্য অংশীদারদেরকে বলে দেয় যে, তোমরা তা নিজেদের পক্ষ হতে এবং তার (মৃত্য ব্যক্তির) পক্ষ হতে কুরবানি করে দাও এবং তারা করেও দিল তবে তা জায়িয হবে। আর যদি ওয়ারিশদের বিনা অনুমতিতে কুরবানি করে দেয়, তবে কারো কুরবানি হবে না। ৮৮
৮৮ - হিদায়া।
_________________
কুরবানি (ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও আহকাম)
গ্রন্থনা ও সংকলন:
মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী
অধ্যক্ষ, জামি‘আ-এ-‘ইলমে মদীনা, নেত্রকোণা
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন