(১) হযরত সায়্যিদুনা সাহল ইবনে সা‘দ رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত; খাতামুল মুরসালীন, শফীউল মুযনিবীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেছেন: “মানুষ সব সময় মঙ্গল সহকারে থাকবে যতদিন তারা ইফতারে তাড়াতাড়ি করবে।” (সহীহ বুখারী, ১ম খন্ড, ৬৪৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৬৯৫৭)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখনই সূর্যাস্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়, তখনই দেরী না করে খেজুর অথবা পানি ইত্যাদি দ্বারা ইফতার করে নিন এবং দোয়াও ইফতার করেই করুন, যাতে ইফতারে কোন রকম দেরী না হয়।
(২) রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসুলে আকরাম, শাহানশাহে বনী আদম صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেন: “আমার উম্মত আমার সুন্নাতের উপর থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ইফতারের সময় আক্বাশে তারকা উদিত হবার জন্য অপেক্ষা করবে না।” (আল ইহসান বিতরতীবে সহীহ ইবনে হাব্বান, ৫ম খন্ড, ২০৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩৫০১)
(৩) হযরত সায়্যিদুনা আবূ হুুরাইরা رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত, তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবূয়ত, হুযুর পূরনূর صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেছেন: আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন, “আমার বান্দাদের মধ্যে বেশি প্রিয় হচ্ছে সে-ই, যে ইফতারে তাড়াতাড়ি করে।” (তিরমিযী, ২য় খন্ড, ১৬৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৭০০)
سُبۡحٰنَ اللهِ عَزَّوَجَلَّ প্রিয় হতে চাইলে ইফতারের সময় কোন প্রকারের ব্যস্ততা রাখবেন না। ব্যাস! তাৎক্ষণিকভাবে ইফতার করে নিন!
(৪) হযরত সায়্যিদুনা আনাস বিন মালিক رضى الله تعالى عنه বলেন: নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত, তাজেদারে রিসালাত صلى الله عليه وسلم কে এভাবে দেখিনি যে, তিনি صلى الله عليه وسلم ইফতারের পূর্বে মাগরিবের নামায আদায় করেছেন বরং এক ঢোক পানি হলেও (যথাসময়ে) পান করে নিয়েছেন। অথচ ইফতার করে নিতেন। (আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ২য় খন্ড, ৯১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৯১)
(৫) হযরত সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত, নবীকুল সুলতান, সরদারে দো’জাহান, মাহবুবে রহমান صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেছেন: “এ দ্বীন ততদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন পর্যন্ত লোকেরা ইফতার তাড়াতাড়ি করতে থাকবে। কারণ, ইহুদী ও খৃষ্টানরাই দেরীতে (ইফতার) করে থাকে।” (সুনানে আবু দাউদ, ২য় খন্ড, ৪৪৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-২৩৫৩)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এ পবিত্র হাদীসেও ইফতার তাড়াতাড়ি করার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে। ইফতারে দেরী করা যেহেতু ইহুদী ও খৃষ্টানদের কাজ, সেহেতু তাদের মতো কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
(৬) হযরত সায়্যিদুনা যায়দ ইবনে খালিদ জুহানী رضى الله تعالى عنه থেকে বর্ণিত; রহমতে আলম, নূরে মুজাস্সাম, রাসুলে আকরাম, শাহানশাহে বনী আদম صلى الله عليه وسلم ইরশাদ করেছেন:
من جهز غا ز يا او حا جا او خلفه فى اهله او فطر صا ءما كان له مثل اجره من غير ان ينقص من اجور هم شىء
অর্থ: যে ব্যক্তি কোন ধর্মীয় যোদ্ধা কিংবা হাজীকে সামগ্রী (পাথেয়) যোগান দিয়েছে, কিংবা তার পিছনে তার পরিবার-পরিজনের দেখাশুনা করেছে, অথবা কোন রোযাদারকে ইফতার করিয়েছে, সেও তার সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে- তাদের সাওয়াবে কোনরূপ কম করা হবে না। (নাসায়ীকৃত আস্সুনানুল কুবরা, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৫৬, হাদীস নং-৩৩৩০)।
سُبۡحٰنَ اللهِ عَزَّوَجَلَّ
কতোই প্রিয় সুসংবাদ! গাজী (ধর্মীয় যোদ্ধা) কে জিহাদের সামগ্রী যোগান দাতাকে গাজীরই মতো, হজ্জ যাত্রীকে আর্থিক সাহায্য করার জন্য হজ্জের আর ইফতারের ব্যবস্থাকারীকে রোযাদারের মতো সাওয়াব দেয়া হবে। দয়ার উপর দয়া হচ্ছে এ যে, ওইসব লোকের সাওয়াবের মধ্যেও কোনরূপ কম করা হবে না। এটাতো আল্লাহ্ তাআলার অনুগ্রহ। তবে উল্লেখ্য যে, হজ্জ ও ওমরার জন্য ভিক্ষা করা হারাম। এ ভিক্ষাকারীকে ভিক্ষা দেয়াও গুনাহ্।
_______________
কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত
লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন