বীর বুযুর্গ


এক কাফির ডাকাত কোন এক অভিজাত মহলে প্রবেশ করল। সেখানে একজন বৃদ্ধ বুযুর্গ ও তাঁর যুবতী মেয়ে ছাড়া কেউ ছিলনা। সে ইচ্ছা করল, ঐ বৃদ্ধ বুযুর্গ কে শহীদ করে দিয়ে তার মেয়েকে ধন-দৌলত সহ আয়ত্ব করে নিবে। সুতরাং সে আক্রমণ করে বসলাে। কিন্তু ঐ বুযুর্গ এ বীর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ ঐ ডাকাত যুবককে একেবারে চিৎ করে ফেলে দিলেন। কিন্তু ডাকাত কোন রকমে মুক্ত হয়ে পুনরায় আক্রমণ করে বসলাে। বৃদ্ধ বুযুর্গ পূনরায় তাকে কাবু করে ফেললেন! এভাবে কুস্তি চলতে লাগল প্রতিবার ঐ বয়ােঃবৃদ্ধ বুযুর্গ  সফলতা অর্জন করছিলেন। ডাকাত অনুভব করল, ঐ বুযুর্গ আস্তে আস্তে কিছু পড়ছে, সে জিজ্ঞাসা করল, “কি পড়ছেন?” তিনি নিজের বীরত্বের রহস্য ফাঁস করতে গিয়ে মুচকি হেসে বললেন: আমি খুবই দূর্বল লােক। যখন بسم الله الر حمن الر حيم পাঠ করি তখন আল্লাহ্ তাআলা আমাকে তােমার উপর জয়ী করে দেন। যখন ঐ কাফির ডাকাত এটা শুনলাে; তখন তার অন্তরে মাদানী পরিবর্তন চলে আসলাে এবং বলতে লাগল: যে ধর্মে এর এমন মর্যাদা তাহলে জানিনা ঐ ধর্মের কিরূপ শান-শওকত হবে। অতএব সে بسم الله الر حمن الر حيم শুনার বরকতে মুসলমান হয়ে গেল। তাদের পরস্পরের সাথে গভীর সম্পর্ক হল এবং ঐ বুযুর্গ এর ইন্তিকালের পর তাঁর অভিজাত মহল ও সমস্ত ধন সম্পদ এ নওমুসলিম পেয়ে গেলেন এবং ঐ বুযুর্গ এর মেয়ের সাথেও তার বিয়ে হয়ে গেল।(আল ফাতিহা, ১৬৫ পৃষ্ঠা হতে সংকলিত)



আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁদের উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁদের সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ঐ বুযুর্গ নিঃসন্দেহে আল্লাহর ওলী ছিলেন এবং بسم الله الر حمن الر حيم এর বরকতে তিনি ঐ কাফিরের উপর জয়ী হলেন যা তাঁর কারামত ছিল, আর পরিশেষে بسم الله الر حمن الر حيم এর বরকতে কাফির ডাকাতের অন্তরে ইসলামের মহান নেয়ামত লাভ হয়েছিল। এখন একজন بسم الله الر حمن الر حيم শরীফের দিওয়ানীর ঈমান তাজাকারী ঘটনা শুনুন আর আন্দোলিত হােন।।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন