জামাতে নামায আদায়ের ফযিলত


আল্লাহপাক রাব্বুল আলামীন কালামে মজিদে এরশাদ করেছেন-


وَ اَقِيْمُوْ الصَّلوٰةَ  وَاَتُوْ الزَّكَوٰةَ  وَاَرْكَعُوْا مَعَ الرَّاكِعِيْن  


অর্থ: এবং তোমরা নামায কায়েম করো, যাকাত আদায় করো এবং রুকু করো রুকুকারীদের সাথে।


অত্র আয়াতে কারিমা দ্বারা নামায জামাতে আদায় করার গুরুত্ব ও তাকীদ প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়াও নামাযের সূচনা ও প্রবর্তনও জামাতের সাথে হয়েছে। পবিত্র হাদিসে জামাতে নামায অনাদায়ী কারীদের ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আর অসংখ্য হাদিসের মধ্যে জামাতে নামায আদায়ের বহু ফযিলত ও সাওয়াবের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।



রাসূলে করিম (ﷺ)এরশাদ ফরমায়েছেন- যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন নামায জামাতে আদায় করবে সে দোযখ থেকে নাজাত পাবে এবং জান্নাতের হকদার হবে।   (তিরমিযী শরীফ)


রাসূলে করিম (ﷺ) আরো এরশাদ করেছেন- যদি লোকেরা জামাতে নামায আদায়ের সাওয়াব সম্পর্কে জানত তাহলে সবাই মসজিদে এসে জামাতে নামায আদায় করত। একা নামায আদায় করার চেয়ে জামাতে নামায আদায়ে ২৫/২৭ গুণ সাওয়াব বেশী পাওয়া যায়। নামায জামাতে আদায় করাতে সময়ের অনুসরণ তথা সময়ের প্রতি ও সকলের প্রতি ভ্রাতৃত্বের সচেতনতা সৃষ্টি হয়।



রাজা-প্রজা, ধনী-গরীব সকলই একই কাতারে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করে। যে নামাযি পরে এসেছে তার উচিত নয় প্রথম কাতারের নামাযিকে পিছনে সরিয়ে সে নিজে প্রথম কাতারে যাওয়া। যদিওবা সে বাদশা কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক না কেন।


আল্লাহপাক ও রাসূলে করিম (ﷺ) এর ফরমান মোতাবেক জামাতে নামায আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা। প্রতিটি গ্রামের মসজিদে নামায জামাতে হওয়া ওয়াজিব।

___________________

গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন