কঠোরতার পর সহজতা


হযরত আল্লামা ইমাম শারানী (رحمة الله) “তাবকাতে কুবরা”  নামক গ্রন্থে হুযূর গউসুল আযম (رحمة الله) এর এ বাণী উদ্ধৃত করেন, “প্রথম দিকে আমার উপর ভীষণ কঠোরতা আরােপ হয়েছে। যখন কঠোরতা সীমাহীন বৃদ্ধি পেল তখন আমি দুর্বল হয়ে শুয়ে গেলাম আর আমার মুখে কুরআনে পাকের এ দুইটি আয়াত জারী হয়ে গেল।


ﻓَﺈِﻥَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮِ ﻳُﺴْﺮًﺍ


ﺇِﻥَّ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮِ ﻳُﺴْﺮًﺍ


কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: (৫) . সুতরাং নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে, (৬) নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। (পারা- ৩০, সূরা আলাম নাশরাহ, আয়াত- ৫-৬)।


এ আয়াতগুলাের বরকতে ঐ সকল কঠোরতা আমার কাছ থেকে  দূর হয়ে গেল।”



ওয়াহ কিয়া মরতবা আয় গউছ হে বালা তেরা,


উর্চে উঠো কে ছরাে ছে কদম আ'লা তেরা। (হাদায়িকে বখশিশ)



আল্লাহ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁরসদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।


প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিশ্চয় কিছু লাভ করার জন্য কিছু ত্যাগ করতে  হয়। আমাদের গউসুল আযম (رحمة الله) নিজের আল্লাহ্ তাআলার নৈকট্য অর্জন ও আপন নানাজান, আল্লাহর প্রিয় হাবীব (ﷺ)  এর সন্তুষ্টি অর্জন, নফস ও শয়তানের উপর জয়ী হওয়া, দুনিয়ার প্রতি আসক্তি থেকে মুক্তি লাভ, গুনাহের রােগ হতে নিজেকে রক্ষা, আল্লাহর সৃষ্টিকে সঠিক পথে আনা,মুবাল্লিগের মহান সৌভাগ্য অর্জন করে অসংখ্য সাওয়াব লাভ, নেকীর দাওয়াতের বিশ্বময় প্রসারতা দান ও অসংখ্য কাফিরকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দেয়ার  জন্য বছরের পর বছর ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন। যাক আমরা হুযূরে গউসে পাক (رحمة الله) এর ন্যায় সাধনাতাে করতে অক্ষম, কিন্তু তারপরও সাহস না হারিয়ে এটাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে কিছু না কিছু অগ্রসর হওয়ার চেষ্টাতাে করতে পারি।  



ছাচ হে ইনসান কো কুছ খােকে মিলা করতা হে,


আপ কো খেকে তুঝে পায়েগা জাও ইয়া তেরা। (যওকে নাত)।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন