হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) রব্বে ইজ্জতের দরবারে যা আরয করেছেন কিংবা প্রার্থনা করেছেন, আমাদের নবী পাক (ﷺ)কে এগুলো এমনিতেই আল্লাহ্ পাক দান করেছেন। যেমন-
হযরত খলিলুল্লাহ আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ করেছেন:
وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
-“হে আল্লাহ! পুনরুত্থান দিবসে তুমি আমায় লাঞ্চিত করো না।” ২২
২২ - সূরা আশ-শু‘আরা: ৮৭।
আর এদিকে নবী পাক সম্পর্কে আল্লাহ্ পাক নিজেই বলেছেন:
يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ
-“ঐদিন আল্লাহ নবীজিকে এবং তাঁর সাথী ঈমানদারগণ কে লাঞ্চিত করবেন না।” ২৩
২৩ - সূরা আত-তাহরীম: ৮।
হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে এসেছে:
وَقَالَ إِنِّي ذَاهِبٌ إِلَى رَبِّي سَيَهْدِينِ
-“ইবরাহিম নবী বললেন, আমি আমার রবের দিকে চললাম, তিনি আমাকে হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।” ২৪
২৪ - সূরা আস-সাফফাত: ৯৯।
আর এদিকে নবীজিকে আল্লাহ নিজেই দাওয়াত করে নিয়েছেন প্রিয়তম বান্দাহ্ হিসেবে। ইরশাদ করেছেন:
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ
-“আমার প্রিয়তম বান্দাহ্কে আমি ভ্রমণ করিয়েছি।” ২৫
২৫ - সূরা বনী ইসরাইল: ০১।
হযরত ইবরাহিম নবী বললেন:
فَإِنَّهُ سَيَهْدِينِ
-“অতএব, তিনিই আমাকে হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখবেন।” ২৬
২৬ - সূরা আয-যুখরুফ: ২৭।
এদিকে হাবিব পাক (ﷺ)কে নিজে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন:
وَيَهْدِيَكَ صِرَاطًا مُسْتَقِيمًا
-“আর হাবিব, আপনাকে আমি প্রতিষ্ঠিত করি হিদায়াতের উপর।” ২৭
২৭ - সূরা আল-ফাতহ: ০২।
হযরত ইবরাহিম নবীর নিকট যে-সকল ফেরেশতারা আসে তাঁরা তাঁর সম্মানিত মেহমান। যেমন- ইরশাদ হয়েছে:
هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ ضَيْفِ إِبْرَاهِيمَ الْمُكْرَمِينَ
-“আপনার নিকট কি ইবরাহিমের সম্মানিত মেহমানের বৃত্তান্ত আসে নি?” ২৮
২৮ - সূরা আয-যারিয়াত: ২৪।
আর হাবিব পাকের নিকট আসা ফেরেশতারা হলেন তাঁর খাদিম বা সৈন্য-সামন্ত। যেমন- আল্লাহ’র বাণী:
وَأَيَّدَهُ بِجُنُودٍ لَمْ تَرَوْهَا
-“আর তাঁর সাহায্যে এমন সৈন্য নিয়োজিত করেছি, যাদের তোমরা দেখ নি।” ২৯
২৯ - সূরা আত-তাওবাহ্: ৪০।
অন্যত্র এসেছে:
يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُمْ بِخَمْسَةِ آلَافٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُسَوِّمِينَ
-“তোমাদের রব চিহ্নিত ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা নিয়োজিত করেছেন তোমাদের সাহায্য করতে।”৩০
৩০ - সূরা আলে ইমরান: ১২৫।
অতত্রব, প্রমাণিত হলো যে, হুযুর পুরনুর সকল নবীগণ হতে এমনকি ইবরাহিম নবী হতেও শ্রেষ্ঠ।
একটি সন্দেহ ও এর অপনোদন
এখানে একটি সন্দেহ সৃষ্টি হতে পারে যে, নবীজি (ﷺ) ইবরাহিম (عليه السلام) হতে শ্রেষ্ঠ এমনকি সকল নবীগণ হতেও। কিন্তু এ শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সর্বদিক থেকেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বতা থাকা আবশ্যক। হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) তো স্বীয় জান এবং স্বীয় সন্তান রবের রাহে কুরবানি করেছেন, তাই আমাদের নবীজিও কি এমনটি করেছেন? আর না করলে এদিক দিয়ে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব কী করে হয়?
এর জবাব হলো এই যে,
হ্যাঁ, আমাদের নবী পাক (ﷺ)ও স্বীয় জান ও আপন সন্তানকে কুরবানি করেছেন। আর তা হযরত ইবরাহিম (عليه السلام) থেকেও উত্তম পন্থায়। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনার প্রয়াস রাখছি।
_________________
কুরবানি (ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও আহকাম)
গ্রন্থনা ও সংকলন:
মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী
অধ্যক্ষ, জামি‘আ-এ-‘ইলমে মদীনা, নেত্রকোণা
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন