হুজুর (ﷺ) এর সুপারিশ কাফেরদের জন্য নয় অথচ আবু তালেবের জন্য

কোন কোন আলেম এক ধরনের সুপারিশকে নবী করীম (ﷺ) এর যথাযথ স্থিরীকৃত করিয়াছেন এবং কাফেরদের ব্যাপারে বর্ণনা করিতেছেন, আর উহার দৃষ্টান্ত আবু তালেবের আজাব লঘু হওয়াকে সম্মুখ করিতেছেন।

উপরোক্ত উক্তির উত্তর এই যে, প্রথমত, এই আপত্তিটি ‘হুজুর (ﷺ) ফরমাইয়াছেন আমার সুপারিশ আহলে কবায়েরের (যাহারা কবিরা গুনাহ করে) জন্য হইবে’ সেই হাদিসের বিপরীত। দ্বিতীয়ত, রেওয়ায়েত আছে, মুশরিকের জন্য আমার কোন সুপারিশ নাই।

এই উক্তি সেই সমস্ত লোকদের কাল্পনিক, যাহারা আবু তালেবকে কাফের বলিতেছেন। অথচ আবু তালেবের জন্য ঈমান এবং সুপারিশও রহিয়াছে। হুজুর করীম (ﷺ) এর সুপারিশ দোষ এবং পাপ হিসেবে কুফর হিসেবে নয়।

উপরোলে­খিত কারণসমূহ ব্যতীত যে সমস্ত ব্যক্তিগণ এই প্রকারের সুপারিশকে নবী করীম (ﷺ) এর সাথে যথাযথ করিয়াছে তাহারা আবু তালেবের ব্যাপারে ব্যতীত অন্য কাহারো কোন ব্যাপার পেশ করিতে পারিতেছেনা। কিছু বলিতে পারার কেহ থাকিলে বলিয়া দিন, আমরা অন্তর্দৃষ্টি ও উৎকণ্ঠা করি।

হ্যাঁ, ইহা ভিন্ন কথা যে, কোফ্ফার অর্থ প্রকাশ্য কোফ্ফার হউক, যদি কোফ্ফার অর্থ প্রকাশ্য কোফ্ফার অনুমান করা না যায়, তখন ’ان الله لا يغفر ان يشرك به‘ (নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালার সহিত শিরক করা হইলে তিনি উহা ক্ষমা করিবেন না।) বিশিষ্ট হওয়া আবশ্যকীয় হইবে। অর্থাৎ আবু তালেব উহা হইতে মুস্তাসনা বা প্রকৃষ্ঠ হইবে। অথচ উহার কথক কেহ নাই।

❏ ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম (رحمة الله) বলেন,

مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيْمِ .

অর্থাৎ- নবী করীম (ﷺ) এবং মুমিনদের পক্ষে মুশরিকগণ যে জাহান্নামী ইহার স্পষ্ট প্রমাণ হওয়ার পরে তাহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা প্রযোজ্য নহে, যদিও তাহারা (মুশরিকগণ) আত্মীয়-স্বজন হইয়া থাকে। এই আয়াতের শানে নুযুল আবু তালেব সম্পর্কে বলিয়াছেন।

❏ আল্লামা ছৈয়দ জাফর বরযঞ্জী (رحمة الله) উহার উত্তরে বলিতেছেন, এই হাদিসসমূহ উক্ত আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার কারণ বলিয়াছে আমি উহার অনুসন্ধান করার পরে সেই ব্যাপারে তিনটি কারণ আমার জ্ঞাত হয়।

প্রথমত, উল্লেখিত আয়াত আবু তালেব সম্পর্কে অবতীর্ণ হইয়াছে। দ্বিতীয়, হুজুর (ﷺ) এর আব্বা ও আম্মাজান সম্পর্কে অবতীর্ণ হইয়াছে এবং তৃতীয়ত, মুমিনগণের সেই সমস্ত পিতামহ ও আত্মীয়-স্বজন সম্পর্কে অবতীর্ণ হইয়াছে, যাহারা কুফরী অবস্থায় মরিয়া গিয়াছে। তাহাদের আওলাদগণ তাহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতেন।

অতঃপর উল্লেখিত তিনটি কারণের মধ্য হইতে প্রতিপাদন (তাহ্কীক) করার পরে মা’লুম হইয়াছে যে, প্রথম কারণে রুয়াতের (হাদীস বর্ণনাকারী) প্রমাণ রহিয়াছে। দ্বিতীয়ত, সম্পূর্ণ দূর্বল এবং তৃতীয়ত, ছহীহ। উহার কারণ এই যে, উল্লেখিত আয়াত মদনী, যাহা তবুকের যুদ্ধের পরে মদীনা শরীফে অবতীর্ণ হইয়াছে এবং আবু তালেব আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে ওফাত পাইয়াছেন।

❏ ইমাম আহমদ, তিরমিজী, নাছায়ী, আবু ইয়ালা ইবনে আবী শাইবা, তায়ালীসি, ইবনে জরীর, ইবনুল মুনজির, ইবনে আবী হাতেম এবং আবুশ শেখ (رحمة الله) ছহীহ সনদ সহকারে রেওয়ায়েত করিয়াছেন যে, হযরত আলী (رضي الله عنه) বলিয়াছেন, আমি একজন লোককে দেখিয়াছি যে, তাঁহার মাতা-পিতার জন্য ক্ষমা চাহিতেছে, সেই লোকটি উত্তরমূলক আমাকে বলিল, হযরত ইব্রাহিম (عليه السلام) কি তাঁহার পিতার জন্য ক্ষমা চান নাই? হযরত আলী (رضي الله عنه) বলিতেছেন যে, এই ঘটনাটি আমি হুজুর করিম (ﷺ) এর খেদমতে পেশ করিয়াছি, তখন এই আয়াত অবতীর্ণ হয়।

❏ আল্লামা বরযঞ্জী (رحمة الله) বলিয়াছেন, এই বর্ণনাটি প্রাচুর্য ছহীহ, হাকেম ও ইহার শুদ্ধি করিয়াছেন এবং এই রকম ইবনে জরীর ও ইবনে আবী হাতেম ছহীহ রেওয়ায়েত দ্বারা হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন যে, মানুষেরা তাহাদের মুশরিক মাতা-পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতেন। তখন অত্র আয়াত করিমা অবতীর্ণ হয়।

জ্ঞাত হওয়া গেল যে, মানুষের মধ্যে যেই ব্যাপার পরিচিত আছে তাহা শুদ্ধ নয়। যেহেতু -

❏ সাহেবে রূহুল বয়ান বলিয়াছেন,

وان كانت مشهورة بين الناس لكن الصواب خلافه .

অর্থাৎ- যদিও মানুষের মধ্যে সেই ব্যাপারটি প্রকাশ্য হয়, কিন্তু সত্য উহার বিপরীত।

❏ আল্লামা বরযঞ্জী (رحمة الله) বলিয়াছেন, যখন হুজুর করীম (ﷺ) আবু তালেবের নিকট কলমা তৈয়্যবা পেশ করিলেন এবং তিনি (আবু তালেব) আবু জেহেল প্রমুখের প্রতিলক্ষ্যে ইহা বলিয়া দিয়াছেন যে, আমি আবদুল মোত্তালিবের রীতি-নীতির মধ্যে আছি। তখন হুজুর করীম (ﷺ) বলিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে নিষেধ করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আবু তালেবের জন্য ক্ষমা চাহিতে থাকিব। মুসলমানগণ যখন ইহা শুনিয়াছেন যে, হুজুর (ﷺ) তাঁহার চাচার জন্য ক্ষমা চাহিতেছেন, তখন তাঁহারা ও তাহাদের মুশরিক পিতামহ এবং আত্মীয় স্বজনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন, তৎসময় এই আয়াত করিমা অবতীর্ণ হয়।

❏ হাদীস বর্ণনাকারী হইতে যখন শানে নুযুল জিজ্ঞাসা করা হইল তখন তিনি কথাকে ইহার উপর সংক্ষিপ্ত করিয়াছেন যে, হযরত নবী করীম (ﷺ) ফরমাইয়াছিলেন আমাকে যতক্ষণ পর্যন্ত নিষেধ করা না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আবু তালেবের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে থাকিব এবং পূর্বের বাক্য ছাড়িয়া দিয়াছেন। আবু তালেবের জপন হওয়াতে শ্রোতাগণ বুঝিয়াছেন যে, এই অবতারণা আবু তালেব সম্পর্কে হইয়াছে। অথচ তাহারা যাহা বুঝিয়াছেন প্রকৃতপক্ষে এই রকম ছিলনা।

وان كانت مشهورة بين الناس لكن الصواب خلافه . (روح البيان)

অর্থাৎ- যদিও মানুষের মধ্যে প্রকাশ্য হয় কিন্তু সত্য উহার বিপরীত। (রূহুল বয়ান দ্রষ্টব্য)।

সব চাইতে বড় প্রমাণ ইহা যে, আয়াত করিমা মদনী, (মদীনা শরীফে অবতীর্ণ হইয়াছে) আবু তালেবের ওফাতের ১২ বছর পরে অবতীর্ণ হইয়াছে।

❏ তাফসীরে কবিরের মধ্যে উল্লেখ আছে;

قال الواحدى وقد استبعده الحسين بن الفضل لان هذه السورة من اخر القران نزول ووفاة ابى طالب كانت بمكة فى اول الاسلام .

অর্থাৎ- ইমাম ওয়াহেদী (رحمة الله) বলিয়াছেন, হোছাইন ইবনে ফজল উহাকে দূরে মনে করিয়াছেন। কেননা, অবতারণ হিসেবে এই সূরাটি কোরআন শরীফের সর্বশেষ সূরা এবং আবু তালেবের ওফাত ইসলামের প্রথম যুগে মক্কায় হইয়াছিল। যদি কেহ বলে যে, ছহীহাঈনের (বুখারী ও মুসলিম শরীফের) মধ্যে উল্লেখিত আয়াত আবু তালেব সম্বন্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা বলিয়াছেন এবং সুনান অর্থাৎ তিরমিযী ও নাসায়ী ইত্যাদি হাদিসের কিতাবের মধ্যে মুসলমানদের মুশরিক পিতামহ সম্বন্ধে অবতীর্ণ হওয়া ফরমাইয়াছেন। যেহেতু ছহীহাইনের তরজীহ (গুরুত্ব) হইবে। ইহার প্রতি উত্তরে আরজ করা যাইবে যে, ছহীহাঈনের তরজীহ একচ্ছত্র হিসাবে নয়, বরং কোন সময় ছহীহাঈনের উপর অন্য কিতাবের ঊর্ধ্বতনও হয়। যেমন উহাকে উসূল গবেষক আলেমগণ স্পষ্ট করিয়া দিয়াছেন।

❏ ‘তাফসীরে খাযায়েনুল এরফানের মধ্যে আছে, হাদীস মীমাংসাকারীগণ ছহীহাঈনের হাদীসকে শক্ত জয়ীফ বলিয়াছেন এবং জয়ীফ হাদীস দ্বারা কুফর রূপীয় বৃহৎ মাসআলা ছাবেত হয়না।

❏ আবার কেহ কেহ ولا تسئل عن اصحاب الجحيم (এবং তুমি জাহান্নামীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হইবেনা) এই আয়াতে করিমার শানে নুযুল আবু তালেব সম্পর্কে বলিয়াছেন। ইহা সম্পূর্ণ ভুল এবং ইহার কোন প্রমাণ নাই, বরং স্পষ্টভাবে আসিয়াছে যে, এই আয়াতে করিমাটি ইয়াহুদ সম্পর্কে অবতীর্ণ হইয়াছে।

❏ হযরত আবু হাব্বান বলিতেছেন, আয়াতের পরিচালন এবং প্রাধান্য ও উহার প্রমাণ করিতেছে।

❏ আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী (رحمة الله) বলিতেছেন:

نهى عن السوال عن احوال الكفرة وهذه الرواية بعيدة لانه عليه الصلواة والسلام كان عالما بكفرهم وكان عالما بان الكافر معذب فمع هذا العلم كيف يمكن ان يقول ليت شعرى .

অর্থাৎ- কাফেরদের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হইতে যে নিষেধ করা হইয়াছে এই বর্ণনাটি অযৌক্তিক। কেননা, নবী করীম (ﷺ) তাহাদের কুফরী সম্পর্কে অবগত ছিলেন এবং ইহা সম্পর্কেও জ্ঞানী ছিলেন যে, কাফেরকে আজাব দেওয়া হইবে। অতঃপর এই জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও তিনি যদি ‘আমি জানিতাম’ ইহা বলা কি করিয়া সম্ভব হইবে?

আবু তালেব হুজুর (ﷺ) এর চক্ষু মোবারকের শৈত্য ছিলেন। সুতরাং যেই ব্যক্তি তাঁহাকে কষ্ট দিবে সে হুজুর (ﷺ)কে কষ্ট দিবে এবং রাসূল (ﷺ)কে কষ্ট দেওয়া হারাম।

❏ আল্লাহ্ তায়ালা ইরশাদ করিতেছেন:

وَالَّذِينَ يُؤْذُونَ رَسُولَ اللهِ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ .

অর্থাৎ- যাহারা আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দিবে তাহাদের জন্য কঠিন শাস্তি রহিয়াছে।

❏ তাফসীর রূহুল বয়ানে আছে:

ان الذين يوذون الله ورسوله لعنهم الله فى الدنيا والاخرة واعد لهم عذابا مهينا .

অর্থাৎ- নিশ্চয় যাহারা আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূল (ﷺ)কে কষ্ট দিবে আল্লাহ্ তায়ালা তাহাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে অভিশপ্ত করিবেন এবং তাহাদের জন্য অপমানজনক শাস্তি তৈয়ার করিয়া রাখিয়াছেন।

❏ তাফসীরে রূহুল বায়ানে আছে,

سئل القاضى ابوبكر بن العربى احد الائمة المالكية عن رجل قال ان اباء النبى عليه السلام فى النار.

অর্থাৎ- মালেকী মাজহাবের একজন ইমাম কাজী আবু বকর ইবনে আরবীকে এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হইয়াছে যে, সে বলিয়াছে নবীর পিতামহ নিশ্চয় জাহান্নামে গিয়াছেন, অতঃপর তিনি (আবু বকর ইবনে আরবী) উত্তর দিলেন যে, সে মালাউন (অভিশপ্ত), কেননা আল্লাহ তায়ালা বলিতেছেন, নিশ্চয় যাহারা আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূল (ﷺ)কে কষ্ট দেয় আল্লাহ্ তায়ালা দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জগতে তাহাদের অভিশপ্ত করিয়াছেন।

❏ আর হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে,

لا تؤذوا الاحياء بسبب الاموات .

(অর্থাৎ- মৃত ব্যক্তিদের কারণে জীবিত ব্যক্তিদেরকে কষ্ট দিওনা।)

ইমাম আহমদ ইবনে হোছাইন মৌচেলী হানাফী, আল্লামা আজহুরী, আল্লামা তালমানী এবং আল্লামা আবু তাহের প্রমুখ বলিয়াছেন যে, আবু তালেবের সহিত ঈর্ষা রাখা কুফরী, ইহা সম্পর্কে যদি পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনার প্রয়োজন হয়, ‘আল-কাউলুল জলী’ ইত্যাদি কিতাব দেখিয়া নিন।

কোন আরেফগণ এই পর্যন্ত বলিয়াছেন যে আহলে কশফের (যাহারা অন্তর্দৃষ্টি দ্বারা প্রত্যেক কিছু দেখিতে পান) মতে আবু তালেবের ঈমান এই রকম নিশ্চিত যে, যাহাতে সন্দেহের কোন অবকাশও নাই।

কেহ বলিতেছেন যে, ইমাম আযম আবু হানিফা (رحمة الله) ‘ফিকহে আকবর’ কিতাবের মধ্যে ফরমাইয়াছেন, আবু তালেব কুফরীর উপর মরিয়াছেন, সুতরাং তাঁহাকে মুমিন বলা ঠিক হইবেনা।

উত্তর এই যে,

❏ হযরত মৌলানা গোলাম কাদের (رحمة الله) ‘নূরে রব্বানী’ কিতাবের মধ্যে লিখিতেছেন, মৌলানা আবদুল আজিজ পড়হারী ‘কাউছারুন্নবী’ কিতাবের মধ্যে লিখিয়াছেন, ইমাম আজমের ‘ফিকহে আকবর’ ভিন্ন এবং মাশহুর ‘ফিকহে আকবর’ দ্বিতীয় অন্যজনের লিখিত কিতাব। যেই কিতাবটি মশহুর তাহা ত্র“টিপূর্ণ।

তাফসীরে নাঈমীর মধ্যে আছে, ফিকহে আকবরের নুসখা (গ্রন্থ) সমূহের ব্যাপারে মতভেদ রহিয়াছে। কোন নুসখায় আছে তিনি কুফরীর উপর মরিয়াছেন, আবার কোন নুসখায় রহিয়াছে কুফরীর উপর মরেন নাই। আবার কোন কোন নুসখার মধ্যে এই মাসআলাটি একেবারেই নাই। অতঃপর মৌলভী অকীল আহমদ সিকান্দরপুরী সাহেব ফিকহে আকবরের অতি ছহীহ নুসখা হায়দরাবাদ হইতে সংগ্রহ করিয়া ছাপাইয়াছেন ও প্রমাণ করিয়াছেন যে, ইহা শুদ্ধ এবং অন্যান্যগুলো ত্র“টিপূর্ণ আর সেই সমস্ত নুসখার মধ্যে এই মাসআলার চিহ্নও নাই। আর যদি ছহীহ মানিয়াও নেওয়া যায় তখন বলা যাইবে যে, এই মাসআলা ইজতেহাদী (প্রচেষ্টা করিয়া মাসআলা বাহির করা) অথবা তাকলিদী (অনুসরণীয়) নয়, যাহার কারণে সেই মাসয়ালার মধ্যে ইমাম সাহেবের তাকলীদ করা ওয়াজিব হইবে এবং ইহা ঐতিহাসিক ঘটনা।

যদি উহার বিপরীত ছাবেত হইয়া যায় তখন উহাকে গ্রহণ করা যাইবে, যেমন য়াযীদ মালাউন ও মুশরিকদের শিশু ইত্যাদির মাসআলা, তাফসীরে নাঈমীর ভিতরে এই রকম বর্ণনা হইয়াছে।

________________

নবী করীম (ﷺ) এর চাচা আবু তালেবের নাজাত সম্পর্কে বর্ণনা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন