আবু তালেবের ইসলাম প্রকাশ না করার কারণ হুজুর (ﷺ) কষ্ট পাওয়ার ভয় হযরত আবু তালেবের ইসলাম প্রকাশ করার মধ্যে বাধা হওয়া তাঁহার ভাতিজা হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কষ্ট পাওয়ার ভয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ছিল। কেননা, তিনি হুজুর (ﷺ) এর সহায়তার মধ্যে উৎসাহী সচেষ্ট ছিলেন, আর যে কোন কষ্টকে হুজুর (ﷺ) এর পক্ষ হইতে দূর করিতেন। যাহাতে তিনি (নবী) তাঁহার খোদার তৌহিদের তাবলীগ করিতে পারেন। যেহেতু আবু তালেবের সহায়তা ও পক্ষপাতিত্বের লক্ষ্যে কাফেরগণ মুহাম্মদ (ﷺ)কে কষ্ট দেওয়া হইতে বিরত থাকিত। কেননা, কোরাইশের সর্দারি ও ব্যক্তিত্ব হযরত আবদুল মোত্তালিবের পরে হযরত আবু তালেবের জন্য গৃহীত ছিল। আবু তালেব কোরাইশের হুকুমের উপর অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং তাঁহার সহায়তা কাফেরদের নিকট গ্রহণযোগ্য ছিল। কেননা, তাহারা হযরত আবু তালেবকে তাহাদের দ্বীন ধর্মের উপর বলিয়া জানিত। যদি তাহারা অবগত হইতে পারিত যে, আবু তালেব মুসলমান এবং হুজুর (ﷺ) এর অনুসারী হইয়া গিয়াছেন তখন তাহারা কখনো তাঁহার রক্ষণা ও সহায়তাকে কবুল করিত না, বরং তাঁহার সহিত লড়িত আর কষ্ট দিত। হুজুর (ﷺ) এর সহিত আবু তালেবের কি ধরণের মুহাব্বত ও বিশ্বাস ছিল তাহা ঐতিহাসিকগণের নিকট আদৌ গুপ্ত নহে।
তাবরানীর ‘আল-কাবীরে’র মধ্যে একটি হাদিস বর্ণিত আছে, হুজুর (ﷺ) ফরমাইয়েছেন, যেই ব্যক্তি সত্যান্তরে জানিয়া নিয়াছে যে, আল্লাহ্ আমার প্রভু এবং আমি তাঁহার রাসূল, তখন আল্লাহ্ পাক তাহার সমস্ত মাংসকে আগুনের জন্য হারাম করিয়া দিবেন। দ্বিতীয় একটি হাদীসে আসিয়াছে, আমার (নবীর) সুপারিশ মুশরিক ব্যতীত প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট পৌঁছিবে। যখন ইহা প্রমাণিত হইল যে, সুপারিশ আবু তালেবকে উপকৃত করিবে, তখন অবশ্যই মানিয়া নিতে হইবে যে, আবু তালেব মুশরিক ছিলেন না। ইহাই সত্য এবং সুস্পষ্ট।
❏ আল্লামা কেরানী (رحمة الله) ‘শরহে তানকীছে’র মধ্যে আবু তালেবের নিম্নলিখিত শের সম্বন্ধে:
وقد علموا ان ابننا لا مكذ
لدينا ولا يعربى لقول الاباطل
(কোরাইশগণ জানিয়া নিয়াছে যে, আমাদের ছেলে মুহাম্মদ (ﷺ) না ধর্মের মিথ্যাবাদী, আর না কোন মিথ্যা কথার প্রতি আগ্রহী ও নতি স্বীকারকারী)।
বিরুদ্ধাচারীদের প্রশ্নাদির উত্তর লিখিতেছেন যাহা তিনি (আবু তালেব) কোন অবস্থায় বলিয়াছিলেন, তাহা হইতে আবু তালেবের আন্তরিক বিশ্বাস ও মুখে স্বীকার করা উভয় পাওয়া যাইতেছে এবং সঙ্গে সঙ্গে ইহাও জানা হইতেছে যে, তিনি (আবু তালেব) প্রকাশ্য এবং গুপ্ত উভয় দিক দিয়া মুসলমান ছিলেন।
কিন্তু কিছু ছহীহ আপত্তি থাকার কারণে সম্পূর্ণরূপে আপন ঈমানকে প্রকাশ করিতেন না। আর,
إِنَّكَ لَا تَهْدِي مَنْ أَحْبَبْتَ الخ الاية
অর্থাৎ- তুমি যাহাকে ভালবাসিতেছ তাহার জন্য হেদায়ত সৃষ্টি করা তোমার কাম নয়।
এই আয়াতের অবতারণা আবু তালেব সম্পর্কে হইয়াছে এবং ইহাই সমস্ত তাফসীরকারগণের মত।
❏ আল্লামা বরযঞ্জী (رحمة الله) বলিতেছেন আশ্চর্যের বিষয় যে, যাহারা উক্ত আয়াতকে আবু তালেবের কুফুরীর জন্য যুক্তি বা দলীল বানাইয়াছে এবং ইহা ধারণা করিয়াছে যে, সেই আয়াত শরীফ আবু তালেবের ব্যাপারে অবতীর্ণ হওয়া আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী সময়ে তাঁহাকে হেদায়ত করার বিপরীত নয়।
❏ তাফসীরে কবীর ৫ম খণ্ডের ১১২৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে:
هذه الاية لادلالة فى ظاهرها على كفر ابى طالب .
অর্থাৎ- এই আয়াতের বহির্ভাগে আবু তালেবের কুফরীর উপর কোন নিদর্শন নাই।
উপরোক্ত বর্ণনাসমূহ হইতে কেহ কেহ আবু তালেবকে জাহান্নামী প্রমাণ করিতেছেন।
❏ হযরত আলী (رضي الله عنه) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি বলিয়াছেন, হে আল্লাহ্র রাসূল (ﷺ) আপনার পথভ্রষ্ট চাচা মরিয়া গিয়াছে, হুজুর (ﷺ) ফরমাইয়াছেন হে আলী! তুমি যাও এবং তাঁহাকে গোসল দিয়া দাফন কর। আল্লাহ্ তাঁহাকে রহমত এবং ক্ষমা করুক। ইহা হইতে প্রতীয়মান হইল যে, আবু তালেব মুসলমান হওয়ার জ্ঞান যদি হুজুর (ﷺ) এর নিকট থাকিত তিনি (ﷺ) জানাযায় কেন শরীক হন নাই এবং হযরত আলীকে (رضي الله عنه) পথভ্রষ্ট শব্দ হইতে কেন বাধা দেন নাই?
❏ আল্লামা বরযঞ্জী (رحمة الله) উত্তর দিতে যাইয়া বলিতেছেন যে তখনকার সময় জানাযার নামাজ মশরু (আইনানুযায়ী) হয় নাই। অর্থাৎ এখনকাররূপে জানাযার নামায আইনানুযায়ী হয় নাই। না হয় আসল জানাযার নামায হুজুর (ﷺ) এর এই দোয়া করা যে আল্লাহ্পাক তাহাকে মাগফেরাত ও রহমত করুক এবং তিনি (ﷺ) বোকা কোরাইশদের সমাবেশে হওয়ার কারণে তাশরীফ নেন নাই যাহাতে কোন রকমের বিবাদ ঘটিতে না পারে। আর হযরত আলী (رضي الله عنه) সম্ভবত বোকা কোরাইশদের মাদারাতের জন্য গোমরা শব্দটি বলিয়াছেন। (মাদারাত: অর্থ যেই অন্যায়ের প্রভাব ধর্মীয় অথবা পার্থিব চেলাহ ও সুস্থতার উপর)।
❏ আল্লামা কুরতুবী (رحمة الله) মাদারাত শব্দের সংজ্ঞা বর্ণনা করিতে যাইয়া বলিয়াছেন:
المدارات بذل الدنيا لصلاح الدنيا اوالذين اولصلاهما جميعًا .
অর্থাৎ- পার্থিবের অথবা ধর্মের কিংবা পার্থিব ও ধর্ম উভয়ের সুস্থতার জন্য পার্থিব ব্যয় করাকে মাদারাত বলে। এই মোয়ামেলা আইনানুযায়ী প্রশংসিত। মাদারাতের বিপরীত মাদাহানাত (ধোঁকা দেওয়া অথবা মোনাফেকী করা)।
❏ আল্লামা কুরতুবী (رحمة الله) বলিয়াছেন:
المداهنة بذل الدين لصلاح الدنيا .
অর্থাৎ- পার্থিবের সুস্থতার জন্য ধর্মকে ব্যয় করার নাম মাদাহানাত। ইহা কিন্তু আইনানুযায়ী নিষিদ্ধ। হুজুর করিম (ﷺ) নিষেধ করেন নাই এবং আবু তালেবের জন্য রহমত ও বখশিশের দোয়া করা তিনি মুমিন হওয়ার স্পষ্ট প্রমাণ।
বোখারী এবং মুসলিম শরীফের রেওয়ায়েত দ্বারাও কেহ কেহ আবু তালেবের কুফর ছাবেত করিতেছে এবং বলিতেছে যে, সেই যদি মু’মিন হইত তখন আগুনে থাকিত কেন এবং হযরত রাসূল করিম (ﷺ) সে আগুনে থাকিবে কেন ফরমাইয়াছেন? অতএব বুঝা গেল, সহায়তা ইত্যাদি গোত্রের প্রতিলক্ষে ছিল এবং উহা দ্বারা কোন উপকার হইবেনা।
❏ আল্লামা বরযঞ্জী (رحمة الله) উত্তরে বলিতেছেন, মূল হাদীসগুলো হইতে ইহা প্রমাণিত হইতেছে যে, আবু তালেবের নাজাত হইবে। কেননা, আল্লাহ তায়ালা খবর দিয়েছেন কাফেরগণের শাস্তির মধ্যে না লঘু করা হইবে আর না তাহারা দোযখ হইতে বাহির হইবে, আর না সুপারিশকারীগণের উপকারী হইবে এবং ইহা ও প্রমাণ হইয়াছে যে, জহীম দোযখের সেই স্তর, যেই স্তরে পাপী মুমিনদিগকে আজাব দেওয়া হইবে। আর জহীম ইহা জাহান্নামের অত্যুচ্চ স্তর এবং কাফের অপেক্ষা পাপীদের আজাবও কম হইবে। অতঃপর হাদীস দ্বারা যখন প্রমাণিত হইল সে সমস্ত জাহান্নামীদের অপেক্ষা শাস্তির মধ্যে আবু তালেবের মোটামুটি কম হইবে, তখন আমরা বিশ্বস্তভাবে বলিতে পারি যে, পাপী মুমিনগণ হইতেও তাঁহার আজাব কম হইবে। অন্যথায় হুজুর (ﷺ)-এর বাণী কিভাবে অকপট হইবে যে, জাহান্নামীদের মধ্যে আবু তালেব অতি কম আজাবের মধ্যে। যদি অপ্রাকৃত অথবা কাল্পনিক মানাও যায় যে আবু তালেব কাফের এবং সবসময় আগুনে থাকিবে তখন অবশ্যই মানিয়া নিতে হইবে যে, গুনাহগার মুমিন অপেক্ষা কাফেরের আজাব কম হইবে। অথচ এই ধরণের বক্তব্য কেহ বলেন নাই।
অতএব, উপরোক্ত তকরীর হইতে সুন্দররূপে প্রমাণিত হইল যে, আবু তালেব মুমিন ছিলেন এবং পরিশেষে মুক্তি পাইবেন। আর হাদীসসমূহ হইতে ইহাও প্রমাণিত হয় যে, জহীমের স্তরে পাপীদের পাঠাইয়া দেওয়া হইবে। কেননা, ইহা পাপী মুমিনদেরকে আজাব করিবার স্তর এবং আবু তালেবও সেই স্তরে থাকিবে। যখন মুমিনদেরকে উহা (জহীম) হইতে বাহির করিয়া দেওয়া হইবে তখন তাঁহার (আবু তালেবের) অবশিষ্ট থাকা বেফায়দা (উপকারহীন) হইবে।
অতএব, আবশ্যকীয় হইল যে, জহীম হইতে অন্যান্য মুমিনদেরকে যেমন বাহির করা হইবে তদ্রূপ আবু তালেবকে সর্বোত্তমভাবে বাহির করা হইবে। কারণ ইহা (আবু তালেব) তাহাদের চেয়ে খুব কম আজাবের মধ্যে ছিল।
❏ আল্লামা জরযঞ্জী (رحمة الله) বলিয়াছেন এই প্রমাণাদি নেহায়ত বা প্রাচুর্য ছহীহ ও বিশুদ্ধ এবং হুজুর (ﷺ) ফরমাইয়াছেন:
شفاعتى لا هل الكبائر
অর্থাৎ- আহলে কবায়েরের (যাহারা কবিরা গুনাহ করে) জন্য আমার সুপারিশ হইবে। উক্ত হাদীসে ’لام‘ (লাম) اختصاص (বিশেষত্ব) এর জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে। বরং আহলে কবায়ের হইতে কাফের ও মুশরিক পরিত্যক্ত হইবে এবং কোরআন করিম বলিতেছে:
لَا تَنْفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
অর্থাৎ- সুপারিশকারীগণের সুপারিশ তাহাদেরকে উপকৃত করিবেনা। الشَّافِعِينَ (আশশাফিয়ীন)কে লাম দ্বারা সজ্জিত করার কারণে উমুম অর্থাৎ সাধারণের উপকার দিবে। যাহা দ্বারা মা’লুম হইল যে, কাফের এবং মুশরিকদের ব্যাপারে সুপারিশ উপকারী হইবে না। অথচ মুসলিম শরীফের হাদীসে আছে, আবু তালেবের জন্য সুপারিশ উপকারী হইবে। অতএব জানা গেল, তিনি গুনাহগার ছিলেন, কিন্তু কাফের ছিলেন না। পাপীদেরকে দোযখ হইতে বাহির করিয়া বেহেশতে প্রবেশ করা যাইবে। সুতরাং পরিণাম ইহা হইবে যে, আবু তালেবও দোযখ হইতে বাহির হইয়া জান্নাতে প্রবিষ্ট হইবে।
❏ হুজুর (ﷺ) ফরমাইয়াছেন কিয়ামতের দিন আমার আম্মা, আব্বা ও চাচা আবু তালেব এবং সেই ভাই যিনি জাহেলিয়্যাত যুগে ছিল তাহাদের জন্য সুপারিশ করিব। আবু নাঈম বলিতেছেন, ইহা হুজুর (ﷺ) এর দুধভাই ছিল।
আর যেই সমস্ত হাদীসের মধ্যে আবু তালেবকে আগুনে বলা গিয়াছে সেই ব্যাপারে আল্লামা বরযঞ্জী (رحمة الله) বলিতেছেন, ‘নার’ (আগুন) শব্দ দ্বারা আবু তালেবকে সবসময় নারী বলা ইহা বড় ভুল হইবে। কেননা, কোন কোন মুমিনের ব্যাপারে শুধুমাত্র একটি গুনাহর কারণে আগুনে প্রবিষ্ট হওয়ার হুকুম লাগা যায়। ‘নার’ এমন একটি জাতিবাচক বিশেষ্য যাহা জাহান্নামের সমস্ত স্তরকে যুক্ত করে। ‘নারে’ (আগুনে) প্রবেশকারী শুধু কাফের হওয়া আবশ্যকীয় নয়, অন্যথায় ‘আক’ (ভাল কাজে বাধা সৃষ্টিকারী) এবং ‘গাল’ (চোর) ইত্যাদিকেও এই রকম বলিতে হইবে। অথচ এই ধরনের উক্তি কোন ওলামা হইতে বর্ণিত নাই। কিন্তু হ্যাঁ! এই রকম প্রশ্ন হইতে পারে যে আবু তালেবকে যখন নির্দোষ স্থির করা হইয়াছে আবার আজাব দেওয়ার কি কারণ রহিয়াছে? হৃদপিন্ডের বিশ্বাস ইহাই যাহা তাঁহার ভিতরে হাছেল ছিল। দ্বিতীয় অন্যান্য হুকুম সমূহ তাঁহার জীবদ্দশায় অবতীর্ণ হয় নাই।
তাঁহার আজাব হওয়ার উত্তর এই যে, শাহাদাতাঈন ছাড়িয়া দেওয়ার কারণে অথবা কাহাকেও কষ্ট দেওয়ার কারণে অথবা বান্দার প্রাপ্য ঋণ দেওয়ার অথবা আত্মসাৎ করণের উপর আজাব হইবে। শাহাদাতাঈন উচ্চারণ করাকে ছাড়িয়া দেওয়ার কারণ সত্য প্রমাণ হইতেছে না। কেননা, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন বর্ণনা রহিয়াছে, অন্যান্য কারণসমূহ অবশ্যই সত্য।
❏ হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) বলিয়াছেন, আবু তালেব শেষকালে ওষ্ঠাধর আন্দোলিত করিতে আমি দেখিয়াছি। উক্ত হাদীসের সনদ অবশ্য দুর্বল (জঈফ) কিন্তু দুররে মোখতারের মধ্যে উল্লেখ আছে যে, যদি কাহারো ইসলাম দুর্বল রেওয়ায়েত দ্বারাও প্রমাণিত হয় তখন তাহাকে মুসলমান বলা যাইবে।
واعلم انه لا يفتى بكفر مسلم امكن حمل كلامه على محل حسن او كان فى كفره خلاف ولو كان ذالك رواية ضعيفة كما حرره فى البحر وعزاه فى الاشباه الى الصغرى وايضا اذا كان فى المسئلة وجوه توجب الكفر وواحد يمنعه فعلى المفتى الميل لما يمنعه ثم لو نيته ذالك فمسلم والالم ينفعه حمل المفتى على خلافه . (شامى، جلد: ৪، صفحه: ২৩ باب المرتد)
অর্থাৎ, ইহা জানিয়া রাখ যে, যাহার কালাম সৎ উদ্দেশ্যের উপর উপেক্ষা করা সম্ভব হয় অথবা তাহার কুফুরীর মধ্যে ওলামাদের মতানৈক্য হয়, সেই মুসলমানকে কাফের বলা যাইবেনা, যদিও এই মতানৈক্য দুর্বল রেওয়ায়েত দ্বারা প্রমাণিত হয়। সুতরাং ‘বাহরুর রায়েক’ কিতাবের মধ্যে উহাকে খুব সুন্দর করিয়া লিখিয়াছেন এবং ‘আশবাহ’ কিতাবের মধ্যে মতানৈক্যর মুখাবয়বে (ছুরতে) কুফরীর ফত্ওয়া না দেওয়াকে ফত্ওয়া ‘ছোগরার’ দিকে সন্ধিবদ্ধ করিয়াছেন। আর যখন একটি মুখাবয়বের মধ্যে আবশ্যক হওয়ার কয়েকটি কারণ ও যুক্তি হয় কুফরী বিষয়ক একটি মাত্র যুক্তি হয়, তখন কুফরী বিঘ্নকর যুদ্ধির দিকে অগ্রসর হওয়া মুফতির উপর প্রয়োজন অতঃপর তাহার নিয়্যতে সেই কুফরী বিষ্কয়কর কারণ না হয়, তখন মুফতি সাহেব উহার বিপরীত উদ্দেশ্য করাতে কোন উপকার হইবেনা।
আরও সম্ভব, আবু তালেব তখন ইহা বুঝিয়াছেন যে, আবু জেহেল এবং ইবনে উমাইয়ার সামনে কলমা না পড়া যুক্তিসিদ্ধতার সদৃশ। তাহারা চলিয়া যাওয়ার পরে কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি (আবু তালেব) কলমার সহিত ওষ্ঠাধর আন্দোলিত করিয়াছেন।
________________
নবী করীম (ﷺ) এর চাচা আবু তালেবের নাজাত সম্পর্কে বর্ণনা
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল-কাদেরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন