মাছের কাঁটা


হযরত সায়্যিদুনা আবুল খায়র আসকালানী (رحمة الله) কয়েক বৎসর যাবত মাছ খাওয়ার ইচ্ছা পােষণ করছিলেন। অবশেষে হালাল পন্থায় এটার সুযােগ এসে গেল। কিন্তু যেমাত্র খাওয়ার জন্য হাত বাড়ালেন তখন মাছের কাঁটা তাঁর আঙ্গুলে ঢুকে গেল। আঘাতপ্রাপ্ত স্থান এভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হল যে, অবশেষে তাঁর (رحمة الله) হাতই নষ্ট হয়ে গেল। এতে তিনি আল্লাহ্ তাআলার দরবারে আরয করলেন: “ইয়া  আল্লাহ! এটাতাে ঐ ব্যক্তির অবস্থা, যে একটি হালাল বস্তু খাওয়ার ইচ্ছা। পােষণ করেছে এবং সেটার দিকে হাত বাড়িয়েছে। এখন ঐ ব্যক্তির কী অবস্থা হবে, যে হারাম বস্তু খাওয়ার ইচ্ছায় সেটার দিকে হাত বাড়াবে।"


(রিসালাতুল কুশাইরিয়াহু, ১৪২ পৃষ্ঠা)


আল্লাহ্ তাআলার রহমত তাঁর উপর বর্ষিত হােক এবং তাঁর  সদকায় আমাদের ক্ষমা হােক।



প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ্ওয়ালাগণের অবস্থা সাধারণের চেয়ে অন্য রকম হয়ে থাকে। তাঁরা কষ্ট পাওয়ার পর সেটার ভিত্তি কিসের উপর প্রতিষ্ঠিত তা বের করে ফেলেন এবং খুবই বিনয় প্রকাশ করে তা থেকে তাওবা করে থাকেন। আমাদের সু-ধারণা হচ্ছে, হযরত সায়্যিদুনা আবুল খায়র আসকালানী (رحمة الله) এর হাতে মাছের কাঁটা পদমর্যাদা বৃদ্ধির জন্য বিদ্ধ হয়েছে। সাধারণ মানুষেরও মাঝে মাঝে মাছ খাওয়ার সময় গলায় কাঁটা আটকে যায়। যদি কখনাে এরূপ হয় তবে ধৈর্য সহকারে সহ্য করা উচিত। কারণ মুসলমানের উপর যে কোন মুসীবতই চলে আসুক না কেন তাতে হয়তাে তার গুনাহ্ মাফ করা হয় কিংবা তার পদমর্যাদা বৃদ্ধি করা। হয়। যেমন  কাঁটা বিদ্ধ হওয়ার ফযীলত হযরত সায়্যিদুনা আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) ও সায়্যিদুনা আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত রয়েছে, খাতেমুল মুরসালীন, শফীউল  মুনিবীন, রাহমাতুল্লিল আলামীন (ﷺ)  ইরশাদ করেছেন: “কোন দুঃখ, কোন ব্যথা, কোন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, কোন কষ্ট, কোন দুর্ভোগ ও কোন পেরেশানী মুসলমান পায়না, এমনকি কাঁটাও যা বিদ্ধ হয়, বরং আল্লাহ্ তাআলা এগুলাের কারণে তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দেন।  (বুখারী শরীফ, ৭ম খন্ড, ৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৫৬৪১-৫৬৪২)।

_______________

কিতাব : ফয়যানে সুন্নাত

লেখক : আমীরে আহলে সুন্নাত মাওলানা মুহাম্মদ বিলাল মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী রযবীয়া (দা.)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন