اَلتَّحِيَّـةُ لِلّٰهِ وَالصَّلٰوَاةُ وَالطَّيِّبَاتُ ، اَلسَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه، اَلسَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَآ إلٰـهَ إِلَّا اللهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُولُه .
উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্সালাওয়াতু ওয়াত্তায়্যিবাতু আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আস্সালামু আলাইনা ওয়া ‘আলা ইবাদিল্লাহিছ্ ছালেহীন। আশ্হাদু আল্ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্ হাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
অর্থ: মৌখিক, শারীরিক এবং আর্থিক (হালাল মাল খরচ জনিত) ইবাদত একমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার জন্য। হে প্রিয় নবী (ﷺ)! আপনার উপর শান্তি এবং আল্লাহ্ তা‘আলার রহমত ও সব রকমের বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপর এবং আল্লাহ্ তা‘আলার নেক ও সৎ বান্দাদের (মানুষ, জ্বীন ও ফেরেশ্তাগণের) উপরও শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সংশয়হীন খালিছ অন্তরে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তা‘আলা ব্যতীত অন্য কোন মা’বুদ (ইবাদতের যোগ্য) নেই এবং ইহাও সংশয়হীন খালেছ অন্তরে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহ্ তা‘আলার বান্দা ও তাঁর রসূল।
তাশাহ্হুদ পড়া শেষ হলে নিচের দরূদ শরীফ ও দু‘আ পড়বে-
দরূদ শরীফ (দরূদে ইব্রাহীমি)
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا إبْرَاهِيمَ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا إبْرَاهِيمَ إنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيدٌ ، اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيمَ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا إبْرَاهِيْمَ إنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ .
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি ‘আলা সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা আলে সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লাইতা আলা সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলে সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম্ মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক্ আলা সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিওঁ ওয়া ‘আলা আলে সায়্যিদি-না মুহাম্মাদিন্ কামা বারাক্তা ‘আলা সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আলে সায়্যিদি-না ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।
অর্থ: হে আল্লাহ্! হযরত সায়্যিদিনা মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁহার আওলাদের (বংশধরগণের) উপর রহমত নাযিল করুন, যেরূপ সায়্যিদিনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম ও তাঁর আওলাদের উপর রহমত নাযিল করেছেন। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও সুমহান। হে আল্লাহ্! সায়্যিদিনা হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) ও তাঁর আওলাদের উপর বরকত নাযিল করুন, যেরূপ সায়্যিদিনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম ও তাঁর আওলাদের উপর বরকত নাযিল করেছেন। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত ও সুমহান।
দরূদ শরীফ পড়ার পর নীচের দু‘আটি অথবা দু‘আয়ে মাছুরা পড়বে-
رَبِّ اجْعَلْنِـىْ مُقِيْمَ الصَّلوٰةِ وَ مِنْ ذُرِّيَـتِىْ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَا . رَبَّنَا اغْفِرْلِىْ وَلِوَالِدَىَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابِ،
উচ্চারণ: রাব্বিয্ আ’লনী মুকিমাস্ সালাতি ওয়া মিন যুররিয়াতী রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল্ দু‘আ। রাব্বানা গ্ফিরলী ওয়ালীওয়া লিদাইয়া ওয়ালিল্ মু’মীনিনা ইয়াউমা ইয়াকুমুল্ হিসাব।
এরপর اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ (আস্ সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ) বলে প্রথমে ডানে ও পরে বামে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করবে। এভাবে দু-রাকাত নামায শেষ হবে।
তিন বা চার রাকাত নামায আদায়ের সময় দ্বিতীয় রাকাত শেষে তাশাহ্হুদ পড়ে দাঁড়াবে এবং পূর্বের ন্যায় বাকি নামায আদায় করে বসবে। অতঃপর তাশাহ্হুদ, দরূদ শরীফ ও দু‘আ পড়ে সালাম ফিরাবে। যদি চার রাকাত সুন্নাত নামায হয় তবে শেষ দু-রাকাতে সূরা ফাতেহার সাথে অন্য সূরা মিলাতে হবে। কিন্তু ফরয নামায হলে প্রথম দু’রাকাতের পর অন্য কোনো রাকাতে সূরা মিলাতে হবে না। নামায শেষ হলে মুনাজাত করবে।
মুনাজাত
اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ وَمِنْكَ السَّلَام وَاِلَيْكَ يَرْجِـعُ السَّلَام حَيِّنَا رَبَّنَا بِاالسَّلَامْ وَاَدْ خِلْنَا دَارَالسَّلَام تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ يَا ذَالْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ.
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আন্তাস্ সালামু ওয়া মিন্কাস্ সালাম ওয়া ইলায়কা ইর্য়াযী’য়ীস্ সালাম হায়য়েনা রাব্বা-না বিস্ সালাম ওয়া আদ্খীল-না দা-রা-স্ সালাম তা-বারাক্তা রাব্বা-না ওয়াতা’আলায়তা ইয়া যাল্ যালা-লী ওয়াল্ ইক্রামী।
তা‘আউয (আ‘ঊযু বিল্লাহ)
اَعُـوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّـيْطَانِ الـرَّجِـيْـمِ .
উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহি মিনাশ্-শায়তানির রাযিম।
অর্থ: আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
তাসমিয়া (বিসমিল্লাহ)
بِسْمِ اللهِ الرَّحْـمٰنِ الـرَّحِيْـمِ .
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থ: পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
___________________
গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা
রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন