বিসমিল্লাহ, সূরা ফাতিহা ও অন্যান্য সূরার দ্বারা ঝাড়ফুঁকঃ
❏ হাদিস ১৫:
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে ব্যথার স্থানে হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লাহ’ বলতে ও সাত বার-
أَعُوْذُ بِعِزَّةِ اللهِ وَقُدْرَتِهِ مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
পাঠ করতে আদেশ দিলেন এবং তাতে তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন’।
তথ্যসূত্রঃ
● মিশকাত হা/১৫৩৩; কুরতুবী ১/৯৮।
❏ হাদিস ১৬:
উসমান ইবনে আবুল আ’স (رضي الله عنه) রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট ঐ ব্যথার অভিযোগ করলেন, যা তিনি তার দেহে অনুভব করছিলেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, “তুমি তোমার দেহের ব্যথিত স্থানে হাত রেখে তিনবার ‘বিসমিল্লাহ’ এবং সাতবার ‘আউযু বিইযযাতিল্লাহি অকদরাতিহি মিন সাররি মা আজিদু অউহাযিরু’ বল।” অর্থাৎ আল্লাহর ইজ্জত এবং কুদরতের আশ্রয় গ্রহণ করছি, সেই মন্দ থেকে যা আমি পাচ্ছি এবং যা থেকে আমি ভয় করছি।
তথ্যসূত্রঃ
● মুসলিম হা/২২০২
❏ হাদিস ১৭:
নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন-“যে ব্যক্তি কোরআন মজিদের দ্বারা রোগ মুক্ত হতে পারেনি- তার জন্য আল্লাহ যেন কোন শেফা মঞ্জুর না করেন” – (আল হাদিস)
❏ হাদিস ১৮:
নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেছেন-” সুরা ফাতিহা মৃত্যু ব্যতীত সব রোগের ঔষধ” (তাফসিরে কাশ শাফ)
ইমাম কুরতুবী বলেন, সূরা ফাতিহাতে যে সকল ‘ছিফাত’ রয়েছে, তা অন্য কোথাও নেই। এমনকি একেই ‘আল-কুরআনুল আযীম’ বা মহান কুরআন বলা হয়েছে (হিজর ১৫/৮৭)।
তথ্যসূত্রঃ
● তাফসীর কুরতুবী ১/১৪৮-৪৯।
মানব দেহের রোগ-বিমারের বিভিন্ন দিক থাকতে পারে। যেমন শারীরিক রোগ, মানুষ ও জ্বিনের কুদৃষ্টি, তাবিজ-টোনা ইত্যাদি। এ বিষয়গুলো এবং এর প্রতিকারে ঝাড়ফুঁক বা তাবিজ-দোয়া ব্যবহার কতটুকু ইসলাম বা কোরআন-হাদীছসম্মত তা নিয়ে কিছু আলোচনা করছি। এ বিষয়ে অনেকে জানতে চেয়েছেন।
প্রায় সব কল্যানকর তাবিজ ও ঝাড়ফুঁক-ই বুজুর্গদের ইজতেহাদ, অভিজ্ঞতা ও কাশফের মাধ্যমে উদ্ভূত। কোরান-হাদীছে স্পষ্ট বলা হয়নি যে অমুক তাবিজ বা অমুক ঝাড়ফুঁক দ্বারা অমুক কাজ হবে। তাই কোনো তাবিজে কাঙ্ক্ষিত ফল না হলে কোরআন-হাদীছের সত্যতা নিয়ে কিছু বলার বা ভাবার অবকাশ নেই।
যেমন জ্বর বেশি হলে এই আয়াত পড়ে ফুঁ দিলে কাজ হয়-
يا نار كونى بردا و سلاما على ابراهيم
“ইয়া নারু কুনি বারদাও ওয়া সালামান আলা ইব্রাহিম”
যার অর্থ - হে আগুন ইব্রাহিমের (আ:) জন্য শান্তিদায়ক ঠান্ডা হয়ে যাও।
কোনো কোনো বুজুর্গ এ আয়াত দ্বারা বালিতে ফুঁ দিয়ে জ্বলন্ত আগুনে ছিটিয়ে দিয়ে বাড়িঘরে আগুন লাগলে নিভিয়ে দিয়েছেন (সুবহানাল্লাহ)। এখন যদি এ আমল দ্বারা আগুন না নিভে তাহলে কোরআনের ক্ষমতা নেই এ কথা বলা যাবে না।
তাবীজ ও ঝাড়ফুঁক কোরআন হাদীছের বাক্যাবলী দ্বারা বৈধ ও কল্যানকর উদ্দেশ্যে করা হলে তা জায়েয।
❏ হাদিস ১৯:
নবী (ﷺ) এর একটি আমল ছিলো -
عن عائشة رضى الله عنه انً النًبىً صلًى الله عليه وسلم كان اذا آوى الى فراشه كل ليلة جمع كفيه ثمً نفث فيهما فقرا بهما قل هو الله احد و قل اعوذ برب الفلق و قل اعوذ برب الناس ثمً مسح بهما ما استطاع من جسده يبدا بهما على رأسه و وجهه وما اقبل من جسده يفعل ذالك ثلاث مراتٍ-
অর্থাৎ, হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, প্রতি রাতে বিছানায় শয়ন করার সময় নবী (ﷺ) দু’হাতের তালু একত্রিত করে তাতে সূরা ইখলাছ,ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁক দিয়ে মাথা ও মুখমণ্ডল হতে সারা শরীর তিন বার মসেহ করতেন।
তথ্যসূত্রঃ
(তিরমিজী শরীফ, ২য় খণ্ড, ১৭৭ পৃষ্ঠা)
__________________
কিতাবঃ তাবিজ ও ঝাড়ফুঁকের বিধান
লেখক, অনুবাদক, সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন