সূরা ও দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক


সূরা ও দোয়ার মাধ্যমে ঝাড়ফুঁকঃ


❏ আল্লাহ্ পাক এরশাদ করেন -

و اذا مرضت فهو يشفين -

(ইব্রাহিম আ: বলেন), “আমি যখন রোগে আক্রান্ত হই তখন তিনি-ই (আল্লাহ) আমাকে রোগমুক্ত করেন।” (সূরা শুআরা: আয়াত ৮০)



আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানব দেহে রোগ-বিমার দিয়ে মু’মিনদের পরীক্ষা করেন। আবার রোগের প্রতিষেধকও তিনি দান করেন।



❏ বুখারী শরীফে বর্ণিত একখানা হাদীসে রাসূলে পাক (ﷺ) এরশাদ করেন, “আল্লাহ এমন কোনো রোগ প্রেরণ করেন না যার আরোগ্য নেই।



❏ আল্লাহ্ পাক আরও বলেন -



 وننزل من القوأن ما هو شفاء ورحمة للمؤمنين-



“আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত।“ (সূরা বনী ইসরাঈল: ৮২)



❏ আল্লাহ্ তা’আলা আরও এরশাদ করেন -



ويشف صدور قوم مؤمنين-



“তিনি মুমিনদের অন্তরের রোগ নিরাময়কারী” (সূরা তওবা: আয়াত ১৪)।



❏ নিচে স্পষ্ট প্রমান দেয়া হল :



শিফা (আরোগ্য) : সুরা ফাতিহার অপর ১টি নাম হল শিফা বা আরোগ্যের সুরা। দেখুন নিচের হাদিস সমুহে।


তথ্যসূত্রঃ


● দারেমী হা/৩৩৭০, মুহাক্কিক : হুসাইন আসাদ সালীম, সনদ মুরসাল ছহীহ;


● মিশকাত হা/২১৭০।



❏ হাদিস ৬:



সুরা ফাতিহা এবং সূরায়ে বাক্বারাহর শেষ তিনটি আয়াত হ’ল আল্লাহর পক্ষ হ’তে প্রেরিত বিশেষ নূর, যা ইতিপূর্বে কোন নবীকে দেওয়া হয়নি।



তথ্যসূত্রঃ


● মুসলিম হা/৮০৬ অধ্যায়-৬, ‘সূরা ফাতিহার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ-৪৩,


● মিশকাত হা/২১২৪।



❏ হাদিস ৭:



রুক্বইয়াহ (ফুঁকদান) : উক্ত সুরার অপর নাম (রুক্কইয়াহ বা ফুঁকদান) কারন ইহা পাঠ করে ঝাড়ফুঁক করা হত। এজন্য এ সূরাকে রাসূল (ﷺ) ‘রুক্বইয়াহ’ (الرُّقْيَةُ) বলেছেন। কেননা এই সূরা পড়ে ফুঁক দিলে আল্লাহর হুকুমে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।



তথ্যসূত্রঃ


● বুখারী হা/৫৭৩৬,


● মুসলিম হা/২২০১ ‘সালাম’ অধ্যায়; তাফসীর কুরতুবী, ইবনু কাছীর।

__________________

কিতাবঃ তাবিজ ও ঝাড়ফুঁকের বিধান

লেখক, অনুবাদক, সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি

 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন