হুযূর পূর নূর (ﷺ) এর বিয়ে ও এতদসংক্রান্ত বিষয়াদি


দৈনন্দিন জীবনে দ্বিতীয় কিসিমের যে বিষয়গুলো অধিক পরিমাণে হলে প্রশংসা ও গর্বের কারণ হয়, তাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিয়ে-শাদী ও উচ্চ-পদমর্যাদা।


বিয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শরীয়ত ও (সামাজিক) প্রথায় পুরো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত। এটা পূর্ণতা ও স্বাস্থ্যপূর্ণ পৌরুষের স্পষ্ট প্রমাণবহ। এর প্রচুর গর্ব ও প্রশংসা করা সবসময়-ই প্রথাসিদ্ধ ছিল, আর শরীয়তের বিধানে এটা সুন্নাহ হিসেবেই বর্ণিত হয়েছে।


❏ হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হুযূর পাক (ﷺ)-এর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “এই উম্মতের সেরা হলেন তিনি, যাঁর সর্বাধিক স্ত্রী।” [আল-বুখারী]


❏ মহানবী (ﷺ) ইরশাদ ফরমান,  “বিয়ে-শাদী করে বংশবৃদ্ধি করো। আমি তোমাদের মাধ্যমে এই উম্মতের বিস্তার দেখতে চাই।” [হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে ইবনে মারদাওয়াইহ্ কর্তৃক নিজ তাফসীরগ্রন্থে উদ্ধৃত দুর্বল এসনাদে মারফু’ হাদীস; আত্ তাবারানী-ও তাঁর কৃত ‘আল-আওসাত’ পুস্তকে অনুরূপ বর্ণনা নকল করেছেন] 


রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কৌমার্য-ব্রত নিষেধ করেছিলেন। এটা এ কারণে যে, বিয়ে তার সাথে বয়ে আনে ক্ষুধা দমন, আর দৃষ্টি নতকরণ, যেমনটি মহানবী (ﷺ) বলেছিলেন। 


❏ তিনি ইরশাদ ফরমান, “সামর্থ্যবান যে কারো বিয়ে করা উচিত। এটা দৃষ্টিকে নত করে এবং (শরীরের) গোপন অঙ্গকে রক্ষা করে থাকে।” [আত্ তাবারানী, মুসলিম ও আল-বুখারী]


এই কারণে উলামা-বৃন্দ কৃচ্ছ্বতা সাধনের গুণ হতে বিচ্যুতিকর কোনো কিছু হিসেবে এটাকে (মানে বিয়ে-শাদীকে) বিবেচনা করেন না। সাহল আত্ তুসতারী (رحمة الله) বলেন, “আম্বিয়াকুল-শিরোরত্ন (মানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ] নারী জাতিকে পছন্দ করতেন। আমরা কীভাবে তাদেরকে পরিহার করতে পারি?” হযরত উবায়না (رحمة الله)-ও অনুরূপ কিছু বলেছিলেন।


আসহাব-এ-কেরাম (رضي الله عنه)-এর মধ্যে সবচেয়ে কৃচ্ছ্বব্রতী সাহাবী (رضي الله عنه)-বৃন্দেরও অনেক স্ত্রী ও দাসী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একাধিক জন ইন্তেকালের পরে অবিবাহিত অবস্থায় আল্লাহর কাছে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টিকে অপছন্দ করতেন।


এ প্রশ্ন করা হতে পারে – “বিয়ে-শাদী কীভাবে এতো গুণসম্পন্ন হতে পারে, যেখানে আল্লাহ (ﷻ) পয়গম্বর যাকারিয্যা (عليه السلام)-এর পুত্র পয়গম্বর ইয়াহইয়া (عليه السلام)-এর কুমার (সৎ) থাকাকে প্রশংসা করেছেন? যে বিষয়কে গুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তা না করার কারণে কীভাবে আল্লাহ (ﷻ) ওই পয়গম্বর (عليه السلام)-এর ভূয়সী প্রশংসা করতে পারলেন? অধিকন্তু, পয়গম্বর ঈসা (عليه السلام)-ও কুমার থেকে যান। আপনি যা দাবি করছেন তা-ই যদি (সত্য) হতো, তাহলে কি তিনি বিয়ে করতেন না?”


এর উত্তর হলো, কৌমার্য-ব্রতের কারণে পয়গম্বর ইয়াহইয়া (عليه السلام)-এর প্রশংসা আল্লাহ পাক করেছেন, এ কথা ঠিক। তবে এটা এ কারণে নয় যে তিনি লাজুক বা পৌরুষহীন ছিলেন, যেমনটি কেউ একজন অভিযোগ করেছেন। জ্ঞানী বিশ্লেষকবৃন্দ ও সূক্ষ্মতাত্ত্বিক আলেম-উলেমা এই ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এ কথা বলে যে, এতে (ওই পয়গম্বরের প্রতি) একটি ত্রুটি আরোপ করা হয়, আর কোনো পয়গম্বরের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘাটতি যথাবিহিত নয়। প্রকৃতপক্ষে এর মানে হচ্ছে তিনি সব রকম ভ্রান্ত কাজ হতে রক্ষাপ্রাপ্ত ছিলেন; অর্থাৎ, (খোদায়ী) হেফাযত-প্রাপ্ত ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি সমস্ত শারীরিক চাহিদা থেকে হেফাযত-প্রাপ্ত ছিলেন। আর কেউ কেউ বলেন, তিনি নারী-আসক্তি থেকে মুক্ত ছিলেন।


এ থেকে স্পষ্ট হয় যে বিয়ে করার সামর্থ্য না থাকাটা এক ধরনের বৈশিষ্ট্যগত ঘাটতি। অপরদিকে বিয়ে করতে পারা একটি গুণ। অতএব, এর অনুপস্থিতি আরেকটি পাল্টা গুণের অস্তিত্বের দ্বারাই (মোকাবেলা করা) সম্ভব, যেমনটি হচ্ছে পয়গম্বর ঈসা (عليه السلام)-এর সাধনা, কিংবা আল্লাহ হতে প্রাপ্ত পয়গম্বর ইয়াহইয়া (عليه السلام)-এর কৌমার্য-ব্রতের বৈশিষ্ট্য। কেননা, বিয়ে-শাদী ঘনঘন আল্লাহ হতে (মানুষের) চিত্তবিক্ষেপ ঘটিয়ে দুনিয়াতে নামিয়ে আনে।


কেউ বিয়ে করতে সামর্থ্যবান হলে এবং নিজ খোদাতা’লা হতে বিক্ষিপ্তচিত্ত না হয়ে বিয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সক্ষম হলে তিনি অবশ্যই মহামর্যাদাবান কেউ হবেন। এটাই হলো আমাদের মহানবী (ﷺ)-এর উচ্চমর্যাদা। তাঁর এতোজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তিনি আল্লাহ (ﷻ)'র এবাদত-বন্দেগী থেকে বিক্ষিপ্তচিত্ত হননি। বস্তুতঃ এতে বরং তাঁর এবাদত-বন্দেগী আরো বৃদ্ধি পেয়েছে, যার দরুন তিনি তাঁর স্ত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন, তাঁদের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন, আর তাঁদের জন্যে উপার্জন করেছেন এবং তাঁদেরকে হেদায়াত তথা সঠিক পথপ্রদর্শন করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছেন যে এসব বিষয় তাঁর দুনিয়াবী/পার্থিব জীবনের অংশ নয়, যদিও তা অন্যান্যদের দুনিয়াবী জীবনের অংশবিশেষ।


❏ মহানবী (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, “আল্লাহ পাক তোমাদের এই পৃথিবীর নারী ও সুগন্ধকে এবং এবাদত-বন্দেগীতে আমার নয়নের প্রশান্তি (মানে উৎফুল্লচিত্ত)-কে ভালোবাসতে দিয়েছেন” [আল-হাকীম ও নাসাঈ]। 


অতঃপর তিনি ইঙ্গিত করেন যে, নারী ও সুগন্ধের প্রতি তাঁর ভালোবাসা হচ্ছে অন্যান্যদের কাছে পার্থিব বস্তু-(তুল্য), অথচ এ দুইয়ের প্রতি তাঁর আকর্ষণ তাঁরই পার্থিব জীবনের খাতিরে নয়, বরঞ্চ পরবর্তী জগতেরই খাতিরে; কেননা এগুলো ইতোমধ্যে উল্লেখিত বিয়ের পরকালীন জগতের ভালাইয়ের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়; আর তিনি সুগন্ধের প্রতি আগ্রহ রেখেছিলেন যাতে ফেরেশতাদের সাথে দেখা করার সময় তিনি তা ধারণ করতে পারেন। অধিকন্তু, সুগন্ধ যৌনমিলনকে উৎসাহিত ও সহায়তা করে এবং জাগিয়েও তোলে। তিনি এই দুটো গুণকে অন্যদের খাতিরে পছন্দ করতেন, আর নিজের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণের খাতিরেও পছন্দ করতেন। তাঁর জন্যে খাস্ (সুনির্দিষ্ট) তাঁরই প্রকৃত ভালোবাসা অবশ্য নিহিত ছিল আপন প্রভুর (খোদাতা’লার) “জাবারুত” দর্শনে এবং তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ কথপোকথনে। এ কারণেই তিনি এই দুটো ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য ব্যক্ত করেন এবং দুটো অবস্থাকে আলাদা করে দেন এ কথা বলে, “এবাদত-বন্দেগীতে আমার নয়নের প্রশান্তি।”


পয়গম্বর ইয়াহইয়া (عليه السلام) ও ঈসা (عليه السلام) নারীবিষয়ক পরীক্ষার ব্যাপারে (মহানবী (ﷺ) এর) একই পর্যায়ভুক্ত ছিলেন (এই অর্থে যে তাঁরা নারীর কারণে আল্লাহর এবাদত-বন্দেগী হতে বিক্ষিপ্তচিত্ত হননি, ঠিক যেমনিভাবে মহানবী-ও হননি)। তবে নারীদের প্রয়োজন পূরণের মাঝে অতিরিক্ত একটি গুণ নিহিত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে এই যোগ্যতা বা সামর্থ্য দান করা হয়েছিল, আর তাঁকে এর অতিপ্রাচুর্য-ই দেয়া হয়েছিল। এ কারণেই অন্য যে কারো চেয়ে তাঁকে অনেক বেশি সংখ্যক স্ত্রীর অনুমতি দেয়া হয়।


❏ হযরত আনাস্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, “মহানবী (ﷺ) দিন বা রাতের একটি ঘণ্টায় তাঁর স্ত্রী (رضي الله عنه)-বৃন্দের সান্নিধ্যে যেতেন, আর তাঁরা ছিলেন এগারোজন।” [আল-বুখারী ও নাসাঈ]


❏ হযরত আনাস্ (رضي الله عنه) আরো বলেন, “আমরা বলাবলি করতাম যে হুযূর পূর নূর (ﷺ)-কে ত্রিশজন পুরুষের শক্তি প্রদান করা হয়েছে” [এটা নাসাঈ বর্ণনা করেন; আল-বুখারীতেও বিদ্যমান]। 

❏ আবূ রাফী’ হতেও অনুরূপ বর্ণনা এসেছে। তাউস্ বলেন, “রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে স্ত্রী সহবাসে চল্লিশজন পুরুষের সামর্থ্য মঞ্জুর করা হয়েছিল।” সাফওয়ান ইবনে সুলাইম হতেও অনুরূপ একটি বর্ণনা এসেছে।


❏ নবী করীম (ﷺ) কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত দাসী সুলামা (رضي الله عنه) বলেন, “মহানবী (ﷺ) তাঁর নয়জন বিবি সাহেবা (رضي الله عنه)-এর কাছে রাতে যেতেন; তিনি তাঁদের প্রতিজনের কাছ থেকে পবিত্র হয়ে পরবর্তীজনের কাছে যেতেন। মহানবী (ﷺ) বলেন, ‘এটা শ্রেয়তর ও সবচেয়ে বেশি নির্মল’।” [আবূ দাউদ বর্ণিত সহীহ হাদীস]


❏ পয়গম্বর সুলায়মান (عليه السلام) বলেছিলেন, “আমি রাতে এক’শ বা ৯৯ জন নারীর সহবাস করতাম” [প্রাগুক্ত আবূ দাউদ শরীফ]। অতএব, তাঁরও একই সামর্থ্য ছিল (বলে এতে নিশ্চিত হওয়া যায়)। 


❏ হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, “পয়গম্বর সুলাইমান (عليه السلام)-এর এক’শ জন পুরুষের শারীরিক সামর্থ্য ছিল, আর তাঁর স্ত্রী ছিলেন ৩০০ জন এবং দাসী ছিলেন (আরো) ৩০০ জন।” আন্ নাক্কাশ ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেন যে, তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৭০০ এবং দাসীর সংখ্যা ৩০০।


পয়গম্বর দাউদ (عليه السلام) কৃচ্ছ্বব্রত পালন ও নিজ হাতে কাজ করে খাওয়ার পাশাপাশি ৯৯ জন স্ত্রীকে ভরণপোষণ করতেন, আর তিনি উরিয়া’কে বিয়ে করে ১০০ সংখ্যাটি পূরণ করেন। 


❏ আল্লাহ (ﷻ) এ কথা উল্লেখ করেন তাঁর পাক কালামে – “নিশ্চয় এ আমার ভাই; তার কাছে নিরানব্বইটা মাদী দুম্বা আছে” [আল-কুরআন, ৩৮:২৩]।


❏ হযরত আনাস্ (رضي الله عنه)-এর বর্ণিত একটি হাদীসে মহানবী (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, “আমাকে চারটি বিষয়ের ক্ষেত্রে মানুষের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে: উদারতা, সাহসিকতা, অধিক সহবাসের ক্ষমতা এবং বিশাল (আধ্যাত্মিক) ক্ষমতা।” [আত্ তাবরানী]


পদমর্যাদার বিষয়ে বুদ্ধিমান মানুষেরা সাধারণত এর প্রশংসা করে থাকেন। মর্যাদানুযায়ী অতি উচ্চ শ্রদ্ধাবোধ অন্তরে লালিত হয়। তবে কিছু মানুষের বেলায় পরকালীন জগতের প্রেক্ষিতে এটা অনেক দুর্ভাগ্য ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে মানুষেরা এটার সমালোচনা করেছেন এবং এর বিপরীতটার প্রশংসা করেছেন। শরীয়ত-ও অখ্যাত হওয়াকে প্রশংসা করে এই জগতের উচ্চ মর্যাদার সমালোচনা করেছে।


মহানবী (ﷺ) বিনয়ী ও নিরহঙ্কারী ছিলেন, আর তাঁর নবুওয়্যতের আগে জাহেলীয়্যা যুগে এবং পরে (ইসলামী যুগে) মানুষের অন্তরে উচ্চমর্যাদার আসনে ছিলেন অধিষ্ঠিত। অতঃপর (কিছু) মানুষ তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে, তাঁকে এবং তাঁর সাহাবী (رضي الله عنه)-বৃন্দকে আঘাত দেয়, আর গোপনে তাঁর ক্ষতি করতে অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু যখনই তিনি তাদেরকে সামনাসামনি মোকাবেলা করেছেন, তারা তৎক্ষণাৎ তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেছে এবং তাঁর যা প্রয়োজন তা-ই দিয়েছে। এতদসংক্রান্ত হাদীসগুলো সর্বজনবিদিত যার মধ্য হতে আমরা কিছু পেশ করবো।


❏ মহানবী (ﷺ)-কে যে কেউ আগে দেখে না থাকলে দেখামাত্র-ই হতবুদ্ধি ও ভীত হয়ে যেতো। এটা ক্কায়লা (رضي الله عنه) সম্পর্কে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে দেখে ভয়ে কম্পমান হন। এমতাবস্থায় হুযূর (ﷺ) বলেন, “বেচারি মেয়ে, তোমাকে শান্ত হতে হবে।” [ইমাম তিরমিযী কৃত ‘শামায়েল’ ও আবূ দাউদ (رحمة الله) প্রণীত ‘সুনান’। ইবনে সা’আদ (رضي الله عنه) এটা বর্ণনা করেন]


❏ হযরত আবূ মাসউদ (رضي الله عنه) বর্ণিত হাদীসে জানা যায়, এক ব্যক্তি নবী পাক (ﷺ)-এর সামনে দাঁড়িয়ে কাঁপছিল। তিনি তাকে বলেন, “নিরুদ্বিগ্ন হও, আমি কোনো রাজা-বাদশাহ নই।” [কায়স (رضي الله عنه) হতে মুরসাল হাদীস এবং আল-বায়হাকীতে উদ্ধৃত; আল-হাকীমও রেওয়ায়াত করেছেন এবং এটাকে সহীহ বলেছেন]


হুযূর পূর নূর (ﷺ)-এর পয়গম্বর হওয়ার দরুন তাঁর যে অ-পরিমাপযোগ্য শ্রেষ্ঠত্ব, উচ্চমর্যাদা, আল্লাহ (ﷻ) কর্তৃক পছন্দকৃত হওয়ার মহাসম্মান এবং এই পৃথিবীতে প্রাপ্ত শ্রদ্ধা, সে ব্যাপারে তাঁর মাহাত্ম্যের কোনো সীমা-পরিসীমা-ই নেই। আর পরবর্তী জগতে তিনি হবেন আদম-সন্তানদের (মানে মনুষ্যজাতির) ইমাম [আল-বুখারী বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী]। বইয়ের এই অনুচ্ছেদে নিহিতার্থ এ পুরো অধ্যায়েরই ভিত্তি রচনা করেছে।

________________

কিতাবঃ আশ শিফা [অসম্পূর্ণ]

মূল: ইমাম কাজী আয়াজ (رحمة الله)

অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন


সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন