এমন অনেকগুলো প্রশংসনীয় গুণ ও মহৎ আদব (শিষ্টাচার) আছে যেগুলো অর্জন করা হয়। জ্ঞানী-গুণীজন সবাই একমত, যে ব্যক্তি সেগুলো ধারণ করেন তিনি সৎ ও পুণ্যবান, আর যিনি সেসব গুণের একটিও ধারণ করতে সক্ষম হন তিনি মহাসম্মানিত ব্যক্তি। শরীয়ত সেগুলোর প্রশংসা করে, সেগুলো ধারণের জন্যে আদেশ করে এবং যাঁরা সেসব গুণ ধারণ করেন, তাঁদেরকে চির সুখ-শান্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। এসব গুণের কিছু কিছুকে নবুওয়্যতের অংশ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এগুলোকে উত্তম স্বভাব-চরিত্র বলা হয়। উত্তম চরিত্রের সমষ্টি হচ্ছে ব্যক্তি-সত্তার বুদ্ধিবৃত্তি ও গুণাবলীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা, আর চরমপন্থার প্রতি না ঝুঁকে মধ্যম পন্থা অবলম্বন।
আমাদের রাসূল (ﷺ) এসব গুণ ও বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে ছিলেন একদম নিখুঁত এবং পুরোপুরি ভারসাম্যপূর্ণ, যার দরুন আল্লাহ পাক তাঁর প্রশংসা করেছেন এ কথা বলে,
❏ “নিশ্চয় আপনার চরিত্র তো মহা মর্যাদারই।” [আল-কুরআন, ৬৮:৪]
❏ হযরত মা আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, “তাঁর চরিত্র ছিল (মূর্তমান/জীবন্ত) কুরঅান। এ মহাগ্রন্থ যেসব বিষয়ের প্রতি রাজি, তিনিও সেগুলোর প্রতি রাজি ছিলেন, আর যেসব বিষয়ের প্রতি এটা না-রাজি, তিনিও সেগুলোর প্রতি না-রাজি ছিলেন। [আল-বায়হাকী]
❏ মহানবী (ﷺ) ইরশাদ ফরমান, “আমি সচ্চরিত্রকে পূর্ণতা দিতে প্রেরিত হয়েছি।” [ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (رحمة الله) ও আল-বাযযার; কিছুটা ভিন্নতর বর্ণনায় ইমাম মালেক (رحمة الله)-এর ’মুওয়াত্তা’ গ্রন্থেও বিদ্যমান, যেমনটি রয়েছে আল-বাগাউয়ী’র পুস্তকেও]
❏ হযরত আনাস (رضي الله عنه) বলেন, “মহানবী (ﷺ) মনুষ্যকুলের মাঝে সেরা চরিত্রের অধিকারী ছিলেন” [মুসলিম ও আল-বুখারী]। হযরত আলী ইবনে আবি তালেব (رضي الله عنه)-ও অনুরূপ কিছু বলেছিলেন।
উলামাদের মতানুযায়ী, মহানবী (ﷺ)-এর ক্ষেত্রে এসব গুণ/বৈশিষ্ট্য তিনি ধারণ করেছিলেন তাঁরই সৃষ্টিকাল হতে, অর্থাৎ, তাঁরই জাত মোবারক সৃষ্টির সূচনালগ্নে। তিনি এগুলো অর্জন করেননি কিংবা পড়ালেখার মাধ্যমেও এগুলো শেখেননি। তিনি এগুলো খোদায়ী দানের মাধ্যমে পেয়েছেন, আর এগুলো হলো আল্লাহ (ﷻ)'র বিশেষ উপহার।
এই একই অবস্থা বিরাজমান অন্যান্য সকল পয়গম্বর (عليه السلام)-এর বেলায়ও। তাঁদের শিশুবেলা হতে নবুওয়্যতপ্রাপ্তি পর্যন্ত ইতিহাস অধ্যয়ন করলে যে কেউ এটা বুঝতে পারবেন, যেমনটি পরিদৃষ্ট হয়েছে সর্ব-হযরত ঈসা (عليه السلام), মূসা (عليه السلام), ইয়াহইয়া (عليه السلام), সুলাইমান (عليه السلام) ও অন্যান্য পয়গম্বর (عليه السلام)-বৃন্দের ক্ষেত্রে। তাঁরা এসব গুণ সত্তাগতভাবে ধারণ করেছিলেন এবং সৃষ্টিলগ্নেই তাঁদেরকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দান করা হয়েছিল।
❏ আল্লাহ (ﷻ) ইরশাদ ফরমান, “আমি তাকে (ইয়াহইয়া আলাইহিস্ সালামকে) শৈশবেই নুবুয়্যত প্রদান করেছি।” [আল-কুরআন, ১৯:১২]
তাফসীরকার উলামা বলেন যে, আল্লাহ পাক পয়গম্বর হযরত ইয়াহইয়া (عليه السلام)-কে শিশু থাকতেই নবুওয়্যত দান করেছিলেন। মা’মার বলেন তিনি ওই সময় মাত্র ২-৩ বছর বয়সী ছিলেন [ইমাম আহমদ কৃত ‘যুহদ’, ইবনে আবি হাতেম প্রণীত তাফসীরগ্রন্থ, আদ্ দায়লামী ও হাকীম]। শিশুরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনি কেন আমাদের সাথে খেলেন না?” তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আমাকে কি খেলাধুলোর জন্যেই সৃষ্টি করা হয়েছে?”
❏ আল্লাহ (ﷻ) ইরশাদ ফরমান: “নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন ইয়াহইয়ার, যে আল্লাহর পক্ষের একটা কলেমার সত্যায়ন করবে।” [আল-কুরআন, ৩:৩৯; মুফতী আহমদ ইয়ার খান কৃত ‘নূরুল এরফান’ বাংলা সংস্করণ]
❏ পয়গম্বর ইয়াহইয়া (عليه السلام) তিন বছর বয়সেই পয়গম্বর ঈসা (عليه السلام)-এর ব্যাপারে সত্যায়ন করেন। তিনি সাক্ষ্য দেন যে হযরত ঈসা (عليه السلام) আল্লাহ (ﷻ)'র কলেমা-বাক্য (কুন্ তথা ‘হও’, আর তিনি হয়ে যান) এবং তাঁরই রূহ (রূহুল্লাহ)।
❏ কথিত আছে যে,পয়গম্বর ইয়াহইয়া (عليه السلام) যখন তাঁর মায়ের গর্ভে ছিলেন, তখনই তিনি এই সত্যায়ন করেছিলেন। হযরত ইয়াহইয়া (عليه السلام)-এর মা হযরত মরিয়ম (عليه السلام)-কে বলেন, “আমি অনুভব করি আমার গর্ভে যে (ইয়াহইয়া আলাইহিস্ সালাম) আছে, সে আপনার গর্ভে অবস্থিত জনের (অর্থাৎ, ঈসা আলাইহিস্ সালামের) প্রতি নত হয়ে সম্ভাষণ জানাচ্ছে।”
❏ হযরত ঈসা (عليه السلام) জন্মের সময় তাঁর মাকে যা বলেছিলেন, তা আল্লাহ পাক উদ্ধৃত করেন এভাবে: “অতঃপর তাকে তার নিম্নদেশ থেকে আহ্বান করলো, ‘তুমি দুঃখ করো না’।” [আল-কুরআন, ১৯:২৪]
❏ কোনো কোনো তাফসীরকার বলেন যিনি আওয়াজ দিয়েছিলেন, তিনি হযরত ঈসা (عليه السلام) স্বয়ং। দোলনায় অবস্থানকালে তাঁর কথাও কুরআন মজীদে উদ্ধৃত হয়েছে: “শিশুটি বল্লো, ‘আমি আল্লাহর বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব (ইনজীল) দিয়েছেন এবং নবী (তথা অদৃশ্যের সংবাদদাতা) করেছেন’।” [আল-কুরআন, ১৯:৩০]
❏ আল্লাহ (ﷻ) ইরশাদ ফরমান: “আমি ওই বিষয়ে (পয়গম্বর) সুলাইমানকে বুঝিয়ে (মানে সমঝ) দিয়েছি এবং উভয়কে রাষ্ট্রীয় শাসনক্ষমতা ও জ্ঞান দান করেছি।” [আল-কুরআন, ২১:৭৯]
হযরত সুলাইমান (عليه السلام) যখন ছোট ছিলেন, তাঁর তখনকার বিচার ক্ষমতা সম্পর্কে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে: পাথর নিক্ষেপের মুখোমুখি এক নারীর ঘটনা এবং একটি শিশুর ঘটনাও, যা’তে (সুলাইমান আলাইহিস্ সালামের পিতা) পয়গম্বর দাউদ (عليه السلام) তাঁরই রায় মেনে বিষয়টির মীমাংসা করেন। আত্ তাবারী বলেন, “তিনি (সুলাইমান আ:) রাজত্ব লাভ করেন ১২ বছর বয়সে।”
পয়গম্বর মূসা (عليه السلام) কর্তৃক ছোট বয়সে ফেরাউনের দাড়ি ধরার ঘটনাটিও একই রকমের।
❏ তাফসীরবিদ উলামা বলেন “নিশ্চয় আমি (পয়গম্বর) ইবরাহীমকে আগে থেকেই তার সৎপথ দান করেছি” [আল-কুরআন, ২১:৫১], খোদায়ী এই কালামের মানে হলো, “আমি তাকে ছোট বয়সেই হেদায়াত দিয়েছি।” মুজাহিদ (رضي الله عنه) ও অন্যান্যরা এ কথা বলেছেন।
❏ ইমাম ইবনে আতা’ (رحمة الله)বলেন, “আল্লাহ পাক তাঁকে সৃষ্টি করার আগেই মনোনীত করেছিলেন।”
❏ অপর কেউ একজন বলেন, “পয়গম্বর ইবরাহীম (عليه السلام)-এর বেলাদত হলে পরে আল্লাহ (ﷻ) নিজেকে আত্মিকভাবে চেনানোর জন্যে এবং জিহ্বা দ্বারা যিকির (স্মরণ) করানোর উদ্দেশ্যে ঐশী আজ্ঞাবহনকারী একজন ফেরেশতা পয়গম্বর ইবরাহীম (عليه السلام)-এর কাছে প্রেরণ করেন। তিনি উত্তর দেন, ‘আমি তা পালন করেছি।’ তিনি কখনো বলেননি, ‘আমি পালন করবো।’ এটাই তাঁর সঠিক পথপ্রাপ্তি।”
কথিত আছে যে,পয়গম্বর ইবরাহীম (عليه السلام)-কে যখন আগুনে নিক্ষেপ করে পরীক্ষা করা হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৬ বছর। নক্ষত্র, চাঁদ ও সূর্যের মাঝে তাঁর প্রমাণ খোঁজার সময় তিনি ১৫ মাসের শিশু ছিলেন।
❏ বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ (ﷻ) পয়গম্বর ইউসূফ (عليه السلام)-এর কাছে শিশু বয়েসে ওহী নাযিল করেন, যে সময়ে তাঁর ভাইয়েরা তাঁকে কুয়োর মধ্যে নিক্ষেপ করেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ ফরমান, “এবং আমি তার (হযরত ইউসূফ আলাইহিস সালামের) প্রতি ওহী প্রেরণ করলাম, ‘নিশ্চয় তাদেরকে (ভাইদেরকে) তুমি তাদের এ কাজের কথা জানিয়ে দেবে এমনি সময়ে যে তারা অনুধাবন করতে পারবে না’।” [আল-কুরআন, ১২:১৫]
আম্বিয়া (عليه السلام)-বৃন্দ সম্পর্কে এরকম আরো অনেক বর্ণনা রয়েছে।
❏ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মাতা আমিনা বিনতে ওয়াহহাব (عليه السلام)- বলেন, যখন মহানবী (ﷺ) ধরাধামে শুভাগমন করেন, তৎক্ষণাৎ তিনি মাটির ওপর নিজের পবিত্র হাত দুটো প্রসারিত করে পবিত্র শির মোবারক আসমানের দিকে উত্তোলন করেন। [আবূল হুসাইন হতে গ্রহণ করে ইমাম ইবনে জাওযী নিজ ‘ওয়াফা’ গ্রন্থে সংকলন করেন; বর্ণনাটি মুরসাল]
❏ মহানবী (ﷺ) নিজেই নিজের সম্পর্কে বলেন, “আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, তখন-ই (জাহেলীয়া যুগের) প্রতিমা/মূর্তিকে আমার কাছে ঘৃণিত করে দেয়া হয়েছিল, ঠিক যেমনিভাবে করা হয়েছিল (জাহেলীয়া যুগের) কাব্যচর্চাকে। অন্ধকার যুগের কোনো রসম-রেওয়াজ (কুপ্রথা)-এর প্রলোভনে আমি পড়িনি, ব্যতিক্রম শুধু দুটো ক্ষেত্রে। আল্লাহ (ﷻ) ওগুলো হতে আমাকে রক্ষা করেন এবং আমি আর ওগুলো পুনরায় পালন করিনি।” [আবূ নুয়াইম কৃত দালা’য়েল]
অতএব, পয়গম্বর (عليه السلام)-মণ্ডলী এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ তথা আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তাঁরা (অভীষ্ট) লক্ষ্যে না পৌঁছুনো পর্যন্ত একের পর এক আল্লাহ (ﷻ)'র (রহমতের) সুবাতাস আলতোভাবে তাঁদেরকে উৎকর্ষে ভাসিয়েছিল, আর মা’রেফতের (আধ্যাত্মিকতার) আলো/জ্যোতি তাঁদের অন্তরগুলোকে আলোকিত করেছিল। তাঁরা লক্ষ্যে পৌঁছেছিলেন, কেননা আল্লাহ পাক তাঁদেরকে পয়গম্বর হিসেবে মনোনীত করেছিলেন এবং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ ব্যতিরেকেই মহৎ গুণ অর্জনের জন্যে বেছে নিয়েছিলেন।
❏ আল্লাহ (ﷻ) ইরশাদ ফরমান, “আর সে (মূসা আলাইহিস্ সালাম) যখন আপন যৌবনে উপনীত হলো এবং পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হলো, তখন আমি তাকে হুকুম ও জ্ঞানদান করলাম।” [আল-কুরআন, ২৮:১৪; মুফতী আহমদ ইয়ার খান সাহেব নিজ ‘নূরুল এরফান’ গ্রন্থে এই আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন যে খোদাপ্রদত্ত এ হুকুম ও জ্ঞান নব্যুওয়ত নয়, বরং তারও আগে মঞ্জুরিকৃত এলমে লাদুন্নী তথা আধ্যাত্মিক জ্ঞান – বঙ্গানুবাদক]
আমরা দেখতে পাই যে অন্যান্য মানুষের মাঝেও এসব গুণের কিছু কিছু বিদ্যমান, কিন্তু সবগুলো নয়। কোনো ব্যক্তি জন্মগতভাবে এগুলোর কিছু কিছু পেয়ে থাকেন, কিন্তু তিনি আল্লাহ (ﷻ)'র আশীর্বাদধন্য হয়েই কেবল এগুলো সহজে পূর্ণ করার সুযোগ পান। আমরা এর বাস্তব চিত্রটি দেখতে পাই যে আল্লাহ (ﷻ) কিছু শিশুকে উত্তম স্বভাব-চরিত্র ও আচরণ, বুদ্ধিমত্তা ও সততা, সত্যবাদিতা ও উদারতাসহ সৃষ্টি করেন, আর কিছু শিশুকে এর বিপরীতও সৃষ্টি করেন।
অতঃপর যা ঘাটতি থাকে, তা মানুষেরা অর্জনের মাধ্যমে মেটাতে পারেন। তাঁদের মধ্যে যে অভাব, তা তাঁরা নিয়ম-শৃঙ্খলা ও সাধনার মাধ্যমে দূর করতে পারেন এবং নিজেদের ভারসাম্যহীনতারও সুসামঞ্জস্য বিধান করতে পারেন। এই দুটো অবস্থা অনুযায়ী মানুষের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। প্রত্যেকেই যে উদ্দেশ্যে সৃষ্ট হয়েছে, তাতে সহজে অভ্যস্ত। এ কারণেই সালাফ (প্রাথমিক যুগের পুণ্যবান মুসলমান)-বৃন্দ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণ সহজাত না অর্জিত, তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছিলেন।
❏ আত্ তাবারী (رحمة الله) জনৈক সালাফের বাণী উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন, “আল্লাহর প্রিয় বান্দার ক্ষেত্রে উত্তম চরিত্র জন্মগত এবং সহজাত প্রবৃত্তি।”
তিনি এ কথা সর্ব-হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) ও আল-হাসান বসরী (رحمة الله) হতে বর্ণনা করেন। আর আমরা এটাকে সহীহ (বিশুদ্ধ/নির্ভরযোগ্য) হিসেবে পেয়েছি।
❏ হযরত সা’আদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) মহানবী (ﷺ)-এর বাণী উদ্ধৃত করেন, যিনি বলেন, “বিশ্বাসঘাতকতা ও মিথ্যে ছাড়া প্রকৃতিগতভাবে ঈমানদার মুসলমানের সব ধরনের চারিত্রিক অপূর্ণতা থাকতে পারে।” [ইবনে ‘আদী; ইমাম ইবনে হাম্বল বর্ণিত সহীহ হাদীস]
❏ হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (رضي الله عنه) বলেন, “সাহসিকতা ও কাপুরুষতা এমন প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যা আল্লাহ যেখানে ইচ্ছে সেখানে স্থাপন করে থাকেন।”
এই সব প্রশংসনীয় ও সুন্দর মহৎ গুণ অসংখ্য, তবে আমরা এগুলোর মৌলভিত্তি উল্লেখ ও ইঙ্গিত করবো। ইনশা’আল্লাহ তা’লা আমরা প্রতিপাদন ও প্রতিষ্ঠা করবো যে মহানবী (ﷺ)-এর মাঝে সমস্ত গুণেরই সমাহার ছিল।
________________
কিতাবঃ আশ শিফা [অসম্পূর্ণ]
মূল: ইমাম কাজী আয়াজ (رحمة الله)
অনুবাদ: কাজী সাইফুদ্দীন হোসেন
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন