নামাযের জন্য কয়েকটি সূরা নিম্নে দেয়া হলো (৫টি সূরা)


(সূরা ফাতেহার সাথে যে কোন সূরা মিলিয়ে পড়তে পারবেন)


সূরা নছর

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ

إِذَا جَآءَ نَصْرُ اللهِ وَالْفَتْحُ  وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِيْنِ اللهِ أَفْوَاجًا  فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا


উচ্চারণ: ইযা জা-আ নাছ্রুল্লাহি ওয়াল্ ফাত্হু। ওয়া রাআইতান্ নাছা ইয়াদ্ খুলূনা ফী দীনিল্লাহি আফ্ওয়াজা। ফাছাব্বিহ্ বিহাম্দি রাব্বিকা ওয়াছ্তার্গ্ফিহু ইন্নাহু কা-না তাওবা-বা।


অর্থ: আল্লাহ্ তা‘আলার সাহায্য আর বিজয় যখন এসে পড়ে এবং আপনি দেখেন যে, লোকজন দলে দলে আল্লাহর দ্বীন তথা ইসলাম ধর্মে প্রবেশ করতেছে, তখন আপনি আপনার প্রভুর প্রশংসার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকুন এবং তাঁরই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি বহু তওবা কবুলকারী।



সূরা লাহাব


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ


تَبَّتْ يَدَا أَبِيْ لَهَبٍ وَتَبَّ  مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُه وَمَا كَسَبَ  سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ  وَّامْرَأَتُه حَمَّالَةَ الْحَطَبِ  فِي جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَسَدٍ


উচ্চারণ: তাব্বাত্ ইয়াদা আবী লাহাবিওঁ ওয়াতাব্বা। মা আগ্না ‘আন্হু মালুহু ওয়ামা কাছাব। ছাইয়াছ্লা নারান্ যা-তা লাহাবিওঁ ওয়াম্রাআতুহু হাম্মা লাতাল্ হাত্বাব্। ফী জীদিহা হাব্লুম্মিম্মাছাদ্।


অর্থ: আবু লাহাবের হাত দু’টি ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে। তার ধন-সম্পদ এবং যা কিছু সে অর্জন করেছে ঐগুলো তার কোন কাজেই আসল না। সে তো শীঘ্রই লেলিহান আগুনের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং তার স্ত্রী কাষ্ঠ বহণকারিণীও। তার গলার মধ্যে খেজুর গাছের ছালের রশি রয়েছে।




সূরা ইখলাস


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ


قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ  اللهُ الصَّمَدُ  لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ  وَلَمْ يَكُنْ لَه  كُفُوًا أَحَدٌ  


উচ্চারণ: ক্বুল্ হুওয়াল্লাহু আহাদ্। আল্লাহুছ্ ছামাদ্। লাম্ ইয়ালিদ্ ওয়া লাম্ ইউলাদ্। ওয়া লাম্ ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান্ আহাদ্।


অর্থ: (হে রাসূল (ﷺ)! আপনি বলুন, তিনি আল্লাহ্ এক ও অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি। আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।



সূরা ফালাক


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ


قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ  مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ  وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ  وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ  وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ


উচ্চারণ: ক্বুল্ ‘আউযু বিরাব্বিল্ ফালাক্ব। মিন র্শারি মা খালাক্ব। ওয়া মিন্ র্শারি গা-ছিক্বিন্ ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন র্শারিন্ নাফ্ফা-ছা-তি ফিল্ ‘উক্বাদ। ওয়া মিন্ র্শারি হা-ছিদিন্ ইযা হাছাদ্।


অর্থ: হে রাসূল (ﷺ)! আপনি বলুন, আমি প্রভাতের প্রভুর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে এবং অন্ধকার রাতের অপকার হতে, যখন এর অন্ধকার বিস্তৃতি লাভ করে এবং গিরা সমূহে ফুঁৎকারকারিনী নারীদের অনিষ্ট হতে এবং হিংসুক লোকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসায় মেতে উঠে।




সূরা নাস


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ


قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ   مَلِكِ النَّاسِ  إِلَهِ النَّاسِ  مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ  الَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ  مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ


উচ্চারণ: ক্বুল্ ‘আউযু বি-রাব্বিন্ না-ছ্। মালিকিন্ না-ছ্। ইলাহিন্ না-ছ্। মিন্ র্শারিল ওয়াছ্ওয়াছিল্ খান্নাছ্। আল্লাযী ইউওয়াছ্ওবিছু ফী ছুদুরিন্ নাছ্, মিনাল্ জিন্নাতি ওয়ান্নাছ্।


অর্থ: হে রাসূল (ﷺ)! আপনি বলুন, আমি মানব জাতির প্রভুর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, যিনি সমগ্র মানবের মালিক, মানব গোষ্ঠীর মা‘বুদ, আত্মগোপনকারী শয়তানের কুমন্ত্রণার অনিষ্ট হতে, যে মানুষের     অন্তর সমূহে কুমন্ত্রণা দিয়ে থাকে, জ্বীন ও মানবের মধ্য হতে।

___________________

গাউছিয়া আজিজিয়া নামায শিক্ষা

রচনায়ঃ মুহাম্মদ আজিজুল হক আল্-কাদেরী (রহ)

সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন