হযরত আল্লামা জামি (رحمة الله) বর্ণনা করেন, একদিন সরকারে দু’আলম (ﷺ) হযরত ইমাম হুসাইনকে ডানে এবং স্বীয় সাহেবজাদা হযরত ইবরাহিমকে বামে বসিয়ে ছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত জিবরাইল উপস্থিত হয়ে আরয করলেন: ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহ্ তা‘আলা এ দু’জন আপনার কাছে এক সঙ্গে রাখতে দিবেন না, উনাদের মধ্যে একজনকে ফিরিয়ে নিবেন। অতএব, এ দু’জনের মধ্যে আপনি যাকে ইচ্ছা পছন্দ করুন। হুযুর ফরমালেন: যদি হুসাইনকে নিয়ে যায় তাহলে এর বিরহে হযরত ফাতিমা ও হযরত আলি উভয়েরই কষ্ট হবে এবং আমার মনটাও ক্ষুন্ন হবে। আর যদি ইবরাহিমের ওফাত হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি দুঃখ একমাত্র আমিই পাব। এজন্য নিজে দুঃখ পাওয়াটাই আমি পছন্দ করি। এ ঘটনার তিনদিন পর হযরত ইবরাহিম ইনতিকাল করেন।
এরপর থেকে যখনই ইমাম হুসাইন হুযুর পাকের সমীপে আসতেন, হুযুর পাক তাঁকে মুবারকবাদ দিতেন ও কপালে চুমু দিতেন এবং উপস্থিত লোকদেরকে সম্বোধন করে বলতেন, আমি হুসাইন-এর জন্য আপন সন্তান ইবরাহিমকে কুরবানি দিয়েছি। ৩৪
৩৪ - শাওয়াহিদুন নবুওয়্যাত।
এদিকে ফোরাতকূলে ইমাম হুসাইনও কুরবানি হলেন নানাজির আদর্শের জন্য-দ্বিন ইসলামের জন্য। নবীজি এ কুরবানির কথা জেনেও তাঁর হিফাযতের জন্য দু‘আ করলেন না, শুধু দু‘আ করলেন, যেন আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণের তাওফিক দান করেন। আল্লাহু আকবার! কতই-না উত্তম কুরবানি।
শুধুই কি তাই? একে একে সকল সাহেবজাদাগণ যুবক পুরুষ হওয়ার আগেই ইনতিকাল করলেন। এর বিনিময়ে উম্মতের জন্য যাবতীয় কল্যাণ-বেহেশত-কাউছার গ্রহণ করে নিলেন। সুরা কাউছার এরই প্রমাণ বহন করে।
অতএব, উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে সুস্পষ্ট হল যে, হুযুর পাকের কুরবানি আল্লাহ’র সকল সৃষ্টির কুরবানি হতে উত্তম।
_________________
কুরবানি (ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও আহকাম)
গ্রন্থনা ও সংকলন:
মুফতি মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন আন-নাজিরী
অধ্যক্ষ, জামি‘আ-এ-‘ইলমে মদীনা, নেত্রকোণা
🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন