শিয়াদের বিখ্যাত আকীদা ও বিধান "তাকিয়্যা (মুখে একটা, মনে আরেকটা --- এক কথায় মুনাফেকী )"।
আসুন, জেনে নেই যে, তাদের দাবীকৃত সনদ সহ সহীহ হাদিসটি কি?
حدثني إسحاق ، حدثنا عبد الرزاق ، أنبأنا معمر ، عن ابن طاووس ، عن أبيه ، عن عبدالله بن عمرو بن العاص قال : كنت جالساً عند النبي صلى الله عليه وآله وسلم فقال : (( يطلع عليكم من هذا الفج رجل يموت يوم يموت على غير ملتي )) . قال : وتركت أبي يلبس ثيابه فخشيت أن يطلع فطلع معاوية ]
সরল অনুবাদঃ"আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আ'স (رضي الله عنه) বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)'র নিকট বসে ছিলাম এমতাবস্তায় তিনি বললেন-" এ সংকীর্ণ উপত্যকা(বা রাস্তা) থেকে এমন একজন ব্যক্তি তোমাদের নিকট আসবে যে আমার মিল্লাত(ধর্ম)-এর উপর মৃত্যু বরন করবে না..................(আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আ'স বলছেন) অতঃপর সেখান থেকে মুয়াবিয়া (রাদিআল্লাহু আ'নহু) আসলেন !!!!
(তার মানে সে মুরতাদ আর কেউই না মুয়াবিয়া!!-নাউযুবিল্লাহ মিন যালিকা) !
এ হাদিসটি আছেঃ-
বালাযারীর "জুমালুম মিন আনসাবিল আশরাফ" ৫/১৯৭৮ কিতাবে। ইমাম বুখারী তার তারীখুল আওসাতেও এ হাদিস এনেছেন।
শিয়াদের মতে হাদিসটির সনদ মতন ২ টাই সহীহ!!! আর এ হাদীস বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে! এবং তাদের মতে শায়খ আহমাদ ইবনু সিদ্দীক আল গুমারী সহীহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন তার কিতাব"جؤنة العطار" ২/১৫৪এ।
তাহকীকঃ-
মূলত এ হাদিসটি ও এ প্রসঙ্গে সকল হাদিস এবং তার সনদ গুলো বাতিল ও জাল ।
২টি ছাড়া তবে সেখানে মুয়াবিয়া(رضي الله عنه) এর নাম নেই। (এ বিষয়ে নিচে আলোচনা হবে)।তিনি এ হাদিসটি সহীহ মুসলিমের শর্তে সহীহ এ দাবী করেছেন শায়খ আহমাদের হাওয়ালায়। আসলে তারা শায়খের কিতাব পড়ে নাই, মূলত তিনি শিয়াপন্থী শায়খ হাসান ফারহান আল মালেকীর (যাকে তারা সুন্নী বলে কথিত দাবী করে!!) রেফারেন্সের উপর অন্ধ বিশ্বাস করে একে সহীহ মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছে।
সহীহ মুসলিমের শর্তে সহীহ হাদিসটি এটি না বরং সেই হাদিস যেখানে মুয়াবিয়ার নাম উল্লেখ নেই সেটি সহিহ মুসলিমের শর্তে সহীহ। (নিচে আলোচনা করা হবে, ইনশাল্লাহ)
এ হাদিসের সনদ কেউ বলেছেন মাওজু কেউ বা যঈফুন জিদ্দান।
❏ ইবনু তাইমিয়া বলেন-
هَذَا الْحَدِيثُ مِنَ الْكَذِبِ الْمَوْضُوعِ بِاتِّفَاقِ أَهْلِ الْمَعْرِفَةِ بِالْحَدِيثِ، وَلَا يُوجَدُ فِي شَيْءٍ مِنْ دَوَاوِينِ الْحَدِيثِ الَّتِي يُرْجَعُ إِلَيْهَا فِي مَعْرِفَةِ الْحَدِيثِ، وَلَا لَهُ إِسْنَادٌ مَعْرُوفٌ
অর্থ-হাদিস শাস্ত্রে পন্ডিতদের ঐক্যমতে এ হাদিসটি মিথ্যাচার মূলক জাল হাদিস।......... আর এ হাদিসের সমর্থনে কোন মারুফ বা প্রসিদ্ধ হাদিস ও নেই।"
(মিনহাজুস সুন্নাহ ৪/৪৪৪)
❏ ইমাম বুখারী (رحمة الله) বলেন-
ويروى عن معمر عن بن طاوس عن أبيه عن رجل عن عبدالله بن عمرو رفعه في قصته وهذا منقطع لا يعتمد عليه
অর্থ- এর সনদ মুনকাতে' এর উপর আস্থা করা যাবে না।
(তারীখুল আওসাতঃ৭১)
❏ ইমাম ইবনু জাওযী (رحمة الله) হজরত মুয়াবিয়া(رضي الله عنه) জাহান্নামী এ বিষয়ক সকল হাদিসকে অত্যন্ত যঈফ বলেছেন।
(আল ইলালুল মুতানাহিয়া ফিল আহাদীসিল ওয়াহিয়া, ১/২৮০)
❏ ইবনু আদী (رحمة الله) এ হাদিসের সনদের রাবীর ব্যাপারে বলেন-
قال إسحاق بن إبراهيم بن عباد أبو يعقوب الدبري الصنعاني استصغرني عبدالرزاق ، أحضره أبوه عنده وهو صغير جداً فكان يقول : قرأنا على عبدالرزاق أي قرأ غيره وحضر صغيراً وحدث عنه بحديث منكر
(আল কামেল ১/৩৪৪)
❏ এ বাতিল হাদিস কখনোই আব্দুল্লাহ ইবনু আমর(رضي الله عنه) হতে পারে না । কেননা, তিনি হজরত মুয়াবিয়ার অনেক প্রশংসা করেছেন। তার ইতায়াত (আনুগত্য) করতে বলেছেন।
[সহীহ বুখারী হাঃ৫৬৮২;সহীহ মুসলিম হাঃ৪২৪৮;মাজমাউয যাওয়ায়েদ(সনদ হাসান) হাঃ১৫৯২৪]
সুতরাং তিনি কি করে মুয়াবিয়া জাহান্নামি এর পক্ষে হাদিস বর্ণনা করতে পারেন ?
এছাড়াও রাসুলুল্লাহ (আলাইহিস সালাম) মুয়াবিয়াকে জাহান্নামী বা মুরতাদ বলতে পারেন না। কারন, প্রিয় নবীজ্বির নূরানী পাক জবান মোবারক থেকে মুয়াবিয়াকে তিনি হিদায়াত প্রাপ্ত পথপ্রদর্শক ও জান্নাতী ঘোষণা করেছেন ।
❏ হাদিস ১৩:
সহীহ বুখারির হাদিসঃ ৬৬৯২ সহ ১ ডজন হাদিস গ্রন্থে সহীহ সনদে বর্ণিত হাদিস যেখানে হজরত আলি ও মুয়াবিয়ার (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)'র যুদ্ধের দিকে ইঙ্গিত করে রাসূলে আকরাম(আলাইহিস সালাম) হাসান (رضي الله عنه)-কে দেখিয়ে বলছেনঃ
إن ابني هذا سيد، وسيصلح الله به بين فئتين عظيمتين من المسلمين
অর্থ-"আমার এ নাতি (হাসান) সাইয়্যেদ! তাকে দিয়ে আল্লাহ অচিরেই মুসলিমদের মাঝে বিরাট ২ টি দলের সুলাহ (মীমাংসা) করিয়ে দিবেন (মানে শেরে খোদা মাওলা আলী আলাইহিস সালাম ও হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এঁর দলের মাঝে)।"
এ হাদিসে রাসূলুল্লাহ স্পষ্ট ভাষায় বলছেন যে, ২ টি দলই মুসলিম হবে । মানে, সাইয়্যিদুনা হযরত মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু তা'লা আনহুর দলও মুসলিম এবং হযরত মুয়াবিয়া(رضي الله عنه) এর দলও মুসলিম ।
সুতরাং মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) কাফের হয়, তাহলে বুখারী সহ সকল হাদিস গ্রন্থের হাদিস গুলো অস্বীকার করা হবে।
মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-কে মুরতাদ বানানোর
____________________
মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-কে মুরতাদ বানানোর অপচেষ্টার খন্ডন
এছাড়াও মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-কে মুরতাদ বলার হাদিসটির সনদ ও মতন গুলোতে ইজতেরাব (পরস্পর অসামঞ্জস্যতা) আছে।
❏ এর একটি সনদ হচ্ছে-
إنما رواه ابن طاوس ، عن أبيه ، عن عبد الله بن عمرو أو غيره
(ক) এখানে উপরে উল্লেখিত হাদিসটির মতই হুবহু সনদ তবে সনদের শেষে তাউস বলছে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আ'স "অথবা" অন্য কারো কাছ থেকে বর্ণিত!! এখানে "আও গাইরুহু (অথবা তিনি ছাড়া অন্য কেউ)" শব্দ ও বাক্য দ্বারা এ হাদিসটির রাবী সনদে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। যার কারনে সনদেও ইজতেরাবের পাশাপাশি সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।সুতরাং এ হাদিস কি করে সহীহ হতে পারে?
(খ) আর ইবনু তাউস কখনোই তার বাবা তাউস থেকে হাদিস সরাসরি শুনেননি । তাহলে কিভাবে এ হাদিস ও তার সনদ কে সহীহ বলা যায় ?
(গ)তাছাড়াও এ সনদে একজন রাবী সাকেত হয়েছে(বাদ পড়েছে)। অন্য একটি বর্ণনায় ইবনু তাউস "ফুরখাশ" নামক মাজহুল(অজ্ঞাত) রাবী থেকে বর্ণনা করেছে।আল্লামা খাল্লাল এ সনদটি এভাবে বর্ণনা করেন-
رواه عبد الرزاق ، عن معمر ، عن ابن طاوس قال : سمعت فُرخاش يحدث هذا الحديث عن أبي عن عبد الله بن عمرو
(আল মুন্তাখাব মিন ইলালিল খাল্লাল ১/১২৮ তরজমা-১৩৬)
সুতরাং এখান থেকেও হাদিসটির বর্ণনা সহীহ প্রমান হচ্ছে না। স্ববিরোধি ও ইজতেরাব পূর্ণ সনদ কি করে গ্রহন যোগ্য হবে? তাহলে হাদিস গুলো সব দিক থেকেই ভুলে ভরা দেখা যাচ্ছে। এটাকে সহীহ বলার কোন প্রশ্নই আসে না।
❏ হাদিস ১৪:
যেমন মাজমাউয যাওয়ায়েদের এক সহীহ রেওয়াতে আছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: يطلع عليكم رجل من هذا الفج من أهل النار وكنت تركت أبي يتوضأ فخشيت أن يكون هو فأطلع غيره فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: هو هذا
এ হাদিসটিও আব্দুল্লাহ ইবনু আমর থেকেই বর্ণিত ,এবং এর রাবীগন সহীহ। তবে এ হাদিসে পূর্বের হাদিসের মত "মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)"-এর নাম উল্লেখ নেই বরং উক্ত সাহাবীর বাবা আমর ইবনুল আ'সের বিষয়ে তার যে সন্দেহ ছিল তা নিরসনে তিনি "গাইরুহু (আমার বাবা ব্যতিত অন্য কেউ আসল)"শব্দ দ্বারা প্রকাশ করলেন।
এ হাদিসটিতে হজরত মুয়াবিয়ার বিন্দু মাত্র নাম ও নিশানা উল্লেখ নেই।
❏ হাদিস ১৫:
অন্য একটি সহীহ হাদিস যা ইমাম তবারানী তার আওসাতে বর্ণনা করেন। ,
ليطلعن عليكم رجل يبعث يوم القيامة على غير سنتي ، أو على غير ملتي "
অর্থ-"তোমাদের নিকট এমন এক ব্যাক্তি আসবে যে কিয়ামতের দিন আমার সুন্নতের উপর পুনরুত্থিত হবে না।" (মাজমাউয যাওয়ায়েদ ১/১৪৭)
এখানেও নির্দিষ্ট কোন লোকের ব্যাপারে বলা হচ্ছে তা বুঝা যাচ্ছে না। সুতরাং সহীহ হাদিসের বিপরীতে হাদীস জাল করতে গিয়ে জালিয়াতীরা সব দিক থেকেই ধরা খেয়েছে। কেনই বা ধরা খাবে না আল্লাহ যে নিজেই সাহাবা বিদ্বেষীদের দিফা করে (সূরা হজ্জ দেখুন)
❏ হাদিস ১৬:
মুসনাদে আহমাদে ১১/৭১; ইমাম তবারানী তার আওসাতে ইমাম বাযযার তার মুসনাদে আবার এ হাদিসের ব্যক্তির নাম ''হাকাম" বলা হয়েছে, সেখানেও মুয়াবিয়ার নাম ও নিশানা নেই। হাদিসটি হচ্ছে-
عن أبي أمامة بن سهل بن حنيف عن عبد الله بن عمرو قال : كنا جلوسا عند النبي صلى الله عليه وسلم، وقد ذهب عمرو بن العاصي يلبس ثيابه ليلحقني، فقال ونحن عنده: (ليدخلن عليكم رجل لعين)، فوالله ما زلت وجلا أتشوف داخلا وخارجا حتى دخل فلان يعني الحكم).
আর এটিই হচ্ছে সহীহ মুসলিমের শর্তে সহীহ।
হাদিসের সনদমান পর্যালোচনাঃ
হজরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) মুরতাদ হয়ে মারা যাবেন এ বিষয়ক হাদিসটির আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, সে সনদে ইমাম আব্দুর রাযযাক আস সানআনী (رحمة الله) রয়েছেন।
১ম কথা হচ্ছে, তিনি এ হাদিস কিন্তু তার কিতাবে বর্ণনা করেন নাই।
২য়ত, উনি একদল বড় বড় মুহাদ্দিসদের নিকট সমালোচিত আরেক দল মুহাদ্দিসদের নিকট সমালোচনার সাথে প্রশংসিত (তার তাওসিক বা জরাহ বর্ণনা এখানে উদ্দেশ্য না)। তার ব্যাপারে প্রসিদ্ধ রায় হচ্ছে উনি শেষ বয়সে ভুলে যেতেন, গুলিয়ে ফেলতেন তার অন্ধ হওয়ার পরে তার থেকে তার লিখিত কোন কিতাব ব্যতিত কোন হাদিস বর্ণিত হলে তা গ্রহনযোগ্য হবে না।
(বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ আল কামেল ফি যুয়াফায়ির রিজাল, ইবনু আদি ৬/৫৪৫;সুয়ালাতু আবী আব্দিল্লাহ ইবনু বুকাইর ওয়া গাইরুহু,দারুকুতনী পৃঃ৩৫;আস সিকাত,ইবনু হিব্বান ৮/৪১২;শরহু ইলালুত তিরমিযী,ইবনু রাজাব আল হাম্বালী ২/৫৭৭-৫৭৮,৫৮০;মীযানুল ই'তেদাল,যাহাবী ২/৬০৯ নং-৫০৪৪;তারীখুল কাবির,বুখারি ৬/১৩০ নং-১৯৩৩; তাহযিবুল কামাল ফি আসমায়ির রিজাল কিতাবে আব্দুর রাযযাক সানানী (رحمة الله)'র তরজমা)
যেহেতু এ হাদিসটি ইমাম আব্দুর রযযাক (رحمة الله) তার কোন কিতাবে বর্ণনা করেছেন বলে আমরা জানিনা, আর আব্দুর রাযযাক থেকে বকর ইবনু হুশাইম আর ইসহাক নামক রাবী বর্ণনা করেছে যারা গ্রহনযোগ্য না। তাই এ হাদিস গ্রহন করা যাবে না।
আসুন জেনে নিই রাবীদ্বয়ের ব্যাপারেঃ
(ক) বকর ইবনু হুশাইম মাজহুল রাবি।তার কোন পরিচয় পাওয়া যায় না।
(খ) এ হাদিসের সনদে ইসহাক ইবনু ইবরাহিম আদ দুবুরী রয়েছে(কেউ কেউ ধারনা করে ইসহাক ইবনু ইসরাঈল বুঝেছে যেমনটি ফারহান হাসান আল মালেকী।
অথচ আব্দুর রাযযাক থেকে এ রাবির কোন হাদিস বর্ণনা প্রমানিত নয়।)।
আর এ ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আদ দুবুরী সমালোচিত রাবী। (মুকাদ্দামা ইবনুস সালাহ পৃঃ৩৫৫)
সে ইমাম আব্দুর রাযযাক থেকে অনেক মুনকার হাদিস বর্ণনা করত।
❏ ইমাম ইবনু আদি ও ইমাম যাহাবী বলেন-
قال إسحاق بن إبراهيم بن عباد أبو يعقوب الدبري الصنعاني استصغرني عبدالرزاق، أحضره أبوه عنده وهو صغير جداً فكان يقول: قرأنا على عبدالرزاق أي قرأ غيره وحضر صغيراً وحدث عنه بحديث منكر
(আল কামেল ১/৩৪৪;সিয়ারু আ'লামিন নুবালা ১৩/৪১৭)
❏ তাছাড়া ইবরাহিম আল হাররানী বলেন-"ইসহাকের যখন ৬-৭ বছর তখন ইমাম আব্দুর রাযযাক মারা গেছেন ।"(শরহু ইলালিত তিরমিযি ২/৫৮১)
যদি সে তার থেকে শুনেও থাকে তাহলে এ উক্তির দ্বারা প্রমানিত হল সে ইমামের অন্ধ হওয়ার পরে হাদিস শুনেছে।সুতরাং উপরে উল্লেখিত নীতির ভিত্তিতেও তার হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়।
অবশেষে এ হাদিসের আলোকে তথাকথিত সুন্নীরূপী শিয়াদের কাছে কিছু প্রশ্নঃ যারা একে সহীহ মনে করে-
১।এ হাদিস বলার পরেও কি করে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) হজরত মুয়াবিয়া-কে ওহী লিখক হিসেবে নিযুক্ত রাখলেন?
২।রাসূলের সাহাবীরা কেন ব্যাপক ভাবে মুয়াবিয়ার জাহান্নামি ও মুরতাদ হওয়ার প্রসঙ্গে তার বিরুদ্ধে অবস্থান করলেন না। বরং তার আমীরত্ব গ্রহন করলেন?
৩। সুন্নীরূপী তথাকথিত শিয়াদের নিকট তো আশা করি হযরত ওমর ফারুক (رضي الله عنه) নিশ্চয়ই কাফের বা জালেম না ?
যদি তাই হয় তাহলে ১০ম হিজরীতে এ হাদিস জানা সত্তেও কি করে তিনি সাহাবীদের পরামর্শে মুয়াবিয়াকে শামের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত করলেন? যদি বলে জানত না, তাহলে বলব একজন সাহাবী মুরতাদ হবে এ কথার তো ব্যাপক প্রচলন থাকার কথা। আর হজরত উমরের মত এত বড় সাহাবী ও অন্য সাহাবারা এটা জানবে না কেমন কররে হয়?
_______________
হযরত আমীর মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)'র বিরোদ্ধে আণিত অভিযোগের জবাব
🖋 সাইয়্যিদ আব্দুল ক্বাইয়ুম আল হোসাইনী।
(সম্পাদনাঃ মাসুম বিল্লাহ সানি)
সূত্রঃ 🌍 ইসলামী বিশ্বকোষ এপ্স।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.islamboi.rizwan
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন