যে সাওয়াবের আশায় আমার রওজা যিয়ারত করবে আমি তার সাক্ষী ও সুপারিশকারী হবো


ইমাম বায়হাকী (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-


أَخْبَرَنَا أَبُو سَعِيدِ بْنُ أَبِي عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الصَّفَّارُ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الدُّنْيَا، حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عُثْمَانَ الْجُرْجَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي فُدَيْكٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الْمُثَنَّى سُلَيْمَانُ بْنُ يَزِيدَ الْكَعْبِيُّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ زَارَنِي بِالْمَدِينَةِ مُحْتَسِبًا كُنْتُ لَهُ شَهِيدًا وَشَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ


-‘‘হযরত আনাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে মদীনা মুনাওয়ারা হাজির হয়ে আমার যিয়ারত করবে কিয়ামত দিবসে আমি তার সাক্ষী এবং শাফায়াত কারী হব।’’  ২৪

➥২৪. ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ঈমান : ৬/৫০পৃঃহা/৩৮৭০,  ইমাম সুবকী : শিফাউস সিকাম-ফি যিয়ারাতিল খায়রিল আনাম :১৫পৃঃ,  ইমাম যাহাবী : মিযানুল ইতিদাল : ৩/৩২১পৃঃরাবি, ৩৫২৪, ইবনে হাজার আসকালানী : তালখিসুল হাবীর : ২/২৬৭ পৃঃ,  ইমাম জুরজানী : তারীখে জুরজান :১/২২০ পৃঃ, কাজী শাওকানী : নায়লুল আউতার : ৫/১৭৯ পৃঃ, ইমাম সূয়তী : জামেউস সগীর : ২/৬০৫ পৃঃ হা/৮৭১৬,  জালালুদ্দীন সূয়তী : জামিউল আহাদিস, ২০/৩৪৯ পৃঃ হাদিস, ২২৩০৬, শায়খ ইউসূফ নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২০৬ পৃঃ, মোল্লা আলী ক্বারী : শরহে শিফা : ২/১৫০ পৃঃ,  ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০২ পৃঃ, মুত্তাকী হিন্দী : কানযুল উম্মাল : ১৫/৬৫১ পৃঃ হা/৪২৫৮৪, জুরজানী, তারীখে জুরজান, ১/৪৩৩পৃ, ইবনে হাজার আসকালানী, তালখিসুল হুবাইর,  ২/২৬৭পৃঃও ৫৭০ পৃঃ ক্রমিক নং.১০৭৫, ইমাম ইরাকী, তাখরীজে ইহইয়াউল উলূম, ২/৬৬৬পৃঃ শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর, ৩/১৮৬ পৃঃ হাদিস:১১৮২৩, যিয়া মুকাদ্দাসী, আল মুনতাকী মিনাল মুসমুআত, ১/২৭৭ পৃঃহাদিস,  ৫১৫, আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসুদ্ দ্বঈফাহ, ১০/১১২ পৃঃ হাদিস:৪৫৯৮, তিনি বলেন হাদিসটির সনদ দ্বঈফ।


সনদ পর্যালোচনা:


ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) বলেন, এই হাদিসটি হাসান।  ২৫

➥২৫. ইমাম সূয়তী : জামেউস সগীর ২/৬০৫ : হা/৮৭১৬, ইমাম সুয়ূতি : জামিউল আহা/৪/৩৬ পৃ


আল্লামা মানাভী (رحمة الله) তার সমাধান মেনে নিয়ে লিখেন-


رمز الْمُؤلف لحسنه ونوزع


-‘‘গ্রন্থকার (ইমাম সুয়ূতি ) এ সনদকে ‘হাসান’ বলে সনাক্ত করেছেন।’’ (মানাভী, তাইসীর, ২/৪২০ পৃ.)

তিনি এ অভিমত ব্যাখ্যা করে কোনো সমালোচনা করেননি। আল্লামা সান‘আনী (رحمة الله) ইমাম সুয়ূতির মতামত উল্লেখ করেন এভাবে- رمز المصنف لحسنه -‘‘ গ্রন্থকার (ইমাম সুয়ূতি ) এ সনদকে ‘হাসান’ বলে সনাক্ত করেছেন।’’ (সান‘আনী, তানভীর শারহে জামেউস সগীর, ১০/২৪২ পৃ. হা/৮৬৯৭)



আপত্তি ও নিষ্পত্তি:


“হাদীসের নামে জালিয়াতি” গ্রন্থের ৫৮৩ পৃষ্ঠায় উক্ত সহীহ হাদিসকে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর উক্ত হাদিসের এক বর্ণনাকারী ‘আবুল মুসান্না সুলাইমান ইবনু ইয়াযিদ’ নামক রাবীকে দ্বঈফ প্রমাণ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। অথচ পৃথিবী বিখ্যাত তিনজন আসমাউর রিজালবিদ, ইমাম যাহাবী (رحمة الله), ইমাম মিয্যী (رحمة الله) এবং ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله) তার জীবনীতে উল্লেখ করেন-


وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي تَارِيخِ الثِّقَاتِ


-‘‘ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) তাকে সিকাহ রাবীর জীবনী গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।’’ (ইমাম যাহাবী, তারিখুল ইসলাম, ৪/৫৬৩ পৃ. ক্রমিক.৪৭২, মিয্যী, তাহযিবুল কামাল, ৩৪/২৫৩ পৃ. ক্রমিক.)

এমনকি আহলে হাদিসদের ইমাম শাওকানী রাবী ‘সুলাইমান ইবনে ইয়াযিদ’ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন-


وَذَكَرَهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي الثِّقَاتِ


-‘‘ইমাম ইবনে হিব্বান (رحمة الله) তাকে সিকাহ রাবীর তালিকায় স্থান দিয়েছেন।’’ (শাওকানী, নায়লুল আউতার, ৫/১১৪ পৃ.)


উক্ত রাবীর বিষয়ে ইমামদের অভিমত খুব কম পাওয়া যায়, তাকে কয়েকজন মুহাদ্দিস দ্বঈফ বলেছেন, আবার কতিপয় মুহাদ্দিস সিকাহ বা বিশ্বস্ত বলেছেন।


ইমাম মিয্যী (رحمة الله)  বলেন,


روى له التِّرْمِذِيّ، وابْن مَاجَهْ


-‘‘তার হাদিস সুনানে তিরমিযি এবং ইবনে মাযাহ শরীফে বর্ণিত হয়েছে।’’ ২৬

➥২৬. ইমাম মিয্যী, তাহযীবুল কামাল, ৩৪/২৫৩ পৃঃ ক্রমিক নং.৭৬০২


(উক্ত রাবীর বর্ণিত হাদিস দেখুন-সুনানে তিরমিযি, হা/১৪৯৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩১২৬, তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান, গরীব।)


ইমাম তিরমিযি (رحمة الله)-এর মত মহান ইমাম তার হাদিস ‘হাসান’ বলেছেন, তাই ইমাম সুয়ূতি (رحمة الله) তার মতকে গ্রহণ করেছেন।


━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন