আলবানী নিজেই নিজেকে খণ্ডন:
আলবানী এক হাদিসকে যঈফ বলে নিজেই আবার তার অপর আরেক গ্রন্থে নিজের মতকে রদকে রদ করে সহীহ বলেন, যা কোনো নির্ভরযোগ্য আলেমের কাজ নয়। এ বিষয়ে আমি কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরছি।
১. খতিব তিবরিযি (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-
وَعَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْجُمُعَةُ حَقٌّ وَاجِبٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ فِي جَمَاعَةٍ إِلَّا عَلَى أَرْبَعَةٍ: عَبْدٍ مَمْلُوكٍ أَوِ امْرَأَةٍ أَوْ صَبِيٍّ أَوْ مَرِيضٍ
-‘‘(তথ্য সূত্র: সুনানে আবি দাউদ, ১/২৮০ পৃ. হা/১০৬৭) এ হাদিসকে আলবানী স্ত্রী লোকদের মসজিদে গমন নিষেধ প্রমাণ হওয়ায় মিশকাতের তাহকীকে একে যঈফ বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। (আলবানী, তাহকীকে মিশকাত, ১/৪৩৪ পৃ. হা/১৩৭৭, মাকতুবাতুল ইসলামী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১০৮৫ খৃ.)।
❏ অপরদিকে আলবানী এ হাদিসকে তার একাধিক গ্রন্থে সহীহ বলে তাহকীক করেছেন। (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ৩/৫৪ পৃ. হা/৫৯২, সহীহ আবু দাউদ, হা/১০৬৭)
পাঠকবর্গ! আপনারাই চিন্তা করুন সে কেমন তাহকীককারী!
২. ইমাম আবু দাউদ ও খতিব তিবরিযি (رحمة الله)সহ আরও অনেকে সংকলন করেন-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ্রالْجُمُعَةُ عَلَى كُلِّ مَنْ سَمِعَ النِّدَاءَ
-‘‘যে জুম‘আর আযান শুনবে তার জন্যই জুম‘আ।’’
(তথ্য সূত্র: ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, ১/২৭৮ পৃ. হা/১০৫৬)
❏ অপরদিকে আলবানী এ হাদিসকে তার অন্য গ্রন্থে একে (حسن) ‘হাসান’ বলে তাহকীক করেছেন।
(আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, ৩/৫৮ পৃ. হা/৫৯৩)
পাঠকবর্গ! আপনারাই চিন্তা করুন সে কেমন তাহকীককারী!
তার বিষয়ে এ ধরনের উদাহরণ শত শত দেয়া যেতে পারে, যার বিস্তারিত আমার লিখিত ‘আলবানীর স্বরূপ উন্মোচন’ নামক গ্রন্থে পাবেন, ইনশা আল্লাহ।
━━━━━━━━━━━━━━━━
🌍 তথ্যসূত্রঃ [শহিদুল্লাহ বাহাদুর গ্রন্থসমগ্র এপ্স]
ডাউনলোড লিংকঃ bit.ly/Sohidullah
অথবা, এপ্সটি পেতে প্লে স্টোরে সার্চ করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন